রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ সকাল ৮:০৮
Home / অনুসন্ধান / দারুল উলূম দেওবন্দে ভর্তি : কিছু কথা!

দারুল উলূম দেওবন্দে ভর্তি : কিছু কথা!

মুহাম্মদ নাজমুল ইসলাম :

কওমি মাদরাসায় পড়ে আর দেওবন্দ পড়ার স্বপ্ন নেই এমন ছাত্র আজ খুবই কম। আর হবেই বা নে কেনো; তা যে আমাদের শিকড়। বিশ্বখ্যাত একমাত্র কওমি বিদ্যাপীঠ। অনেকেই বিভিন্ন সময় আসার, ভর্তি হওয়ার এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনা জানতে প্রায়ই ফেসবুকে ইনবক্স করেছেন। মাঝে মাঝে কারো কারো টুকটাক উত্তরও দিয়েছি। পরিপূর্ণভাবে বিশদ আলোচনার সময় সুযোগ হয়ে ওঠেনি। আর যেহেতু সময় একদম নিকটে তাই আজ সংক্ষেপে সে সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করছি…

→ আসার পন্থা:
১. সম্ভব হলে ১বছর মেয়াদি একটা মেডিকেল বা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে নিন। অন্যথায় সপ্তাহখানেকের জন্য ভিসা পেলেও একটা ভিসা নিয়ে নিন।
(যেহেতু মোদির দেশ) তাই এক্ষেত্রে যদ্দূর সম্ভব আগেভাগে ভিসার এপ্লাই করাই ভালো। যাতে নরমালে না পেলে রমজানের আগে কণ্টাক্টে হলেও নির্দিষ্ট টাইমের ভেতরে ভিসা নিতে পারেন।
২. আসার ক্ষেত্রে আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলে প্লেইনে আসাই ভালো ।এক্ষেত্রে স্মরণ করে ভিসাতে ‘বাই-এয়া’ অপশন দিতে ভুলবেন না। আর ট্রেনে আসলে কলকাতা থেকে রাজধানী এক্সপ্রেস দিয়ে দুদিনে সাহারানপুর চলে আসতে পারেন। আর সাহানপুর থেকে আবার ট্রেনে দেওবন্দ।
স্মরণ রাইবেন! ইন্ডিয়ায় চলাফেরার একমাত্র বাহন ট্রেন। তাই অযথা বাস খোঁজলে অতিরিক্ত পেরেশানিতে ভুগতে হবে।
৩. আসার ক্ষেত্রে আবার কলকাতায় এসে ট্রেনের টিকিট কাটতে UP যাবো বলবেন না! অন্যথায় দুই স্টেটের একি মিনিং হওয়ার কারনে উত্তরা প্রদেশ না এসে আন্দ্রা প্রদেশ চলে যাবেন। তাই পরিস্কার বলবেন উত্তরা প্রদেশ “সাহারানপুর” যাবো।
৪. আসার সময় যতটুকু সম্ভব সামান কম আনুন। যাতে ইমেগ্রেশনে ঝামেলা পোহাতে না হয়।
৫. আসার সময় স্মরণ করে কলকাতায় এসে একটা সিম কিনে নিন। অন্যথায় বিপদাপদে সাথি ভাইদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না আর দেওবন্দ আসার আগ পর্যন্ত সিমও কিনা সম্ভব হবে না।

→কখন আসবেন?
সম্ভব হলে শা’বানের ভেতরেই আসা ভালো। যেহেতু আসার পর বাংলাদেশী ছাত্রদের কিছুটা ভেতরগত ঝামেলা পোহাতে হয়। তাছাড়া থাকার (পরীক্ষার প্রস্তুতির সময়) জন্য সিটের সুবিধারও একটা ব্যাপার আছে।

→এডমিশন পরিক্ষার্থীর সংখ্যা?
প্রায় পাঁচহাজার। প্রর্যায়ক্রমে প্রতিবছর তা বাড়ে।

→নেবে?
৪৫০জন। (এর মধ্যেও আবার দেশ ও স্টেইটভিত্তিক কোটা এবং তাকাবুল তো আছেই)

→পরীক্ষা?
কি কি কিতাব পরীক্ষা নেয়া হয়?
১. মিশকাত
২. হেদায়া ৩-৪
৩. শরহু নুখবাতিল ফিকার
৪. শরহুল আকাঈদ
৫. সিরাজি।
(সব লিখিত)

→পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে?
১. উত্তরপত্র ফুল আরাবিতে দিন।
২. উর্দূ এবং আরাবি সুন্দর খতে লিখুন।
আর বেশি করে শেষ রাত্রিতে তাহাজ্জুদ পড়ে মাওলার দরবারে অশ্রু বিসর্জন দিন। স্মরণ রাখবেন! যোগ্যতাবলে কখনো কিচ্ছু হয় না যদি মাওলার রেজা না থাকে। আর দেওবন্দ’র ইতিহাস তো জানা আছেই।

→পরীক্ষা শুরু?
:: ১০ই শাওয়াল। প্রতি পরীক্ষার আগে একদিন খালি আছে।

→রেজাল্ট!
::পরীক্ষা শেষ হয়ার ১০দিন পর।

→একান্ত দাখেলা না পেলে?
এই নিয়ত এখনি বাদ দিন। কেনো হবে না? মাওলা তো আছেন ই। অশ্রুর বন্যা ভাসিয়ে দিন।

→একটা ছাত্রের জন্য দেওবন্দ কর্তৃক সুবিধাদি!
::
১. ভর্তি, কিতাব,থাকা-খাওয়া সম্পূর্ণ ফ্রি।
২. মাসে ২০০ রুপি বৃত্তি।
৩. শীতে কম্বল। পুরাতন ছাত্রদের জন্য আদিকালের ঐতিহ্য ধরে রাখতে লেমটন’র জ্বালানি তৈল এবং ঝাড়ু’র টাকা।
৪. একটা সিট।একটা আলমারি।

বি দ্র:
দেওবন্দ আসবেন এমন সিলেটি ছাত্র ভাইরা আসার আগে ফেসবুকে আমার ইনবক্সে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা সিলেটবাসি আপনার ইস্তেকবালের অপেক্ষায়।

ফেসবুক আইডি

মুহাম্মদ নাজমুল ইসলাম
শিক্ষার্থী: দারুল উলূম দেওবন্দ, ভারত।

About Abul Kalam Azad

mm

এটাও পড়তে পারেন

সিলেটের পবিত্র মাটি আবারও কলংকিত হলো রায়হানের রক্তে!

পুলিশ ফাড়িতে যুবক হত্যা: সিলেটজোড়ে চলছে রহস্য! এলাকাবাসীর প্রতিবাদ!! সিলেট নগরীতে রায়হান নামক এক যুবকের ...