মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ১১:৪৩
Home / আন্তর্জাতিক / ‘মুসলিম নিষিদ্ধ’ নির্দেশের ভবিষ্যত কি!

‘মুসলিম নিষিদ্ধ’ নির্দেশের ভবিষ্যত কি!

কমাশিসা অনলাইন : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ‘মুসলিম নিষেধাজ্ঞা’র ভবিষ্যত কি হবে এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ৭টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের পরিণতি কি হবে তা নিশ্চিত হয়ে যাবে আজ মঙ্গলবারই। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর যতগুলো নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তাতে সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত হয়েছে ৭টি মুসলিম প্রধান দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। ওয়াশিংটনের সিয়াটলের একজন ফেডারেল বিচারক জেমস রবার্ট ট্রাম্পের ওই আদেশকে স্থগিত করেন। এর পর পরই সরকারের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। সেই আপিলে হেরে যায় সরকার। কিন্তু আজ আবার সান ফ্রান্সিসকোতে বিরোধী পক্ষের মুখোমুখি হচ্ছে আইন মন্ত্রণালয় । এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, গত শুক্রবার ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা বিচারক জেমস রবার্ট স্থগিত করেন। এর ফলে আক্রান্ত ৭টি দেশের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জানালা খোলা দেখতে পান। আজ সান ফ্রানসিসকোতে নবম ইউএস সার্কিট কোর্ট অব আপিলে এ বিষয়টি উঠছে। মিনেসোটা ও ওয়াশিংটনের বিরোধী পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক তুলে ধরবেন। স্থানীয় সময় আজ বিকাল ৩টায় এর কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে সোমবার রাতে টুইট করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাতে তিনি বলেছেন, ইসলামপন্থি জঙ্গিদের হুমকি অত্যন্ত বাস্তবিক। শুধু ইউরোপ বা মধ্য প্রাচ্যের দিকে তাকিয়ে দেখুন। দ্রুততার সঙ্গে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে আদালতকে। এর আগে তিনি বার বার বলেছেন, তার ওই নিষেধাজ্ঞা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নয়। তিনি শুধু তার দেশকে জঙ্গি হামলার হুমকি থেকে রক্ষার জন্য ওই নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বিচারক জেমস রবার্টকেও এক হাত নিয়েছেন। বলেছেন, তিনি তথাকথিত বিচারক। উল্লেখ্য, এই বিচারককে নিয়োগ দিয়েছিলেন তার নিজ দলের পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। ওদিকে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয় থেকে ট্রাম্পের নির্দেশের পক্ষে কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে বিরোধীরা বলছেন, ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে অবৈধ কাজ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার এ নির্দেশের ফলে ওয়াশিংটন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। কারণ, নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ফ্যাকাল্টি সদস্য বিদেশে গিয়ে সেখানে আটকে পড়েছে। ওদিকে ২৭শে জানুয়ারি ট্রাম্পের নির্দেশের পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

:

ইআম

About Abul Kalam Azad

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...