কমাশিসা : নিজের ‘অবস্থান’ ও ‘আদর্শ’ থেকে সরে আসবেন না বলে জানিয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি অভিযোগ করেছেন, তার ওপর ‘রিমান্ডের’ নামে যে নির্যাতন হয়েছে, এমন নির্যাতন আর কারও ওপর হয়নি। আজ সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মাহমুদুর রহমান এ কথা বলেন। গত ২৩ নভেম্বর কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি লাভের পর এই প্রথম মিডিয়ার মুখোমুখি হন মাহমুদুর রহমান। প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, দীর্ঘ চার বছর তিনি কারাগারে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তার শারিরীক অবস্থাও ভাল না। ঢাকা মেডিকেলের ৩ সদস্যের একটি বোর্ড তাকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছেন। এর প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ তাকে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা করানোর জন্য অনুমতি দিয়েছে। তবে আপিল বিভাগ চারটি শর্ত দিয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- যুক্তরাজ্যে তিনি ৩০ দিনের বেশি অবস্থান করতে পারবেন না, সেখানে গিয়ে রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালনা করতে পারবেন না, চিকিৎসা শেষে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পাসপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে মামলার নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে।
এসব শর্তের প্রেক্ষিতে তার নাগরিক অধিকার ক্ষুণœ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, আমার চিকিৎসার অধিকার, বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী আমার রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে। আমার ওপরে যে নির্যাতন হয়েছে তার আর কারও ক্ষেত্রে হয়নি। তারপরও আমি আমার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবো না। ইসলামের পক্ষে মৃত্যু পর্যন্ত অবিচল থাকবো।
যুক্তরাজ্যে চিকিৎসার জন্য ভিসা না পাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, তিনি এ ঘটনায় দুঃখিত হলেও অবাক হননি। নিজের শারিরীক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বলেন, তার কোনো কর্মক্ষেত্র নেই। জেলখানায় বসেও তিনি লিখতেন। বর্তমানে ডান হাত তুলতে পারেন না। ঠিকভাবে লিখতেও পারেন না।
প্রেস ব্রিফিংয়ের মঞ্চে ফরহাদ মাজহার, শওকত মাহমুদ, রুহুল আমিন গাজী, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ইলিয়াস খানসহ সাংবাদিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এটাও পড়তে পারেন
কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ
খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...