মাহমুদ আল হাসান আকাশ :
তুরস্কে সংবিধান সংশোধনী সংক্রান্ত একটি বিল নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা চলছে। এ বিলটি পাস হলে সেখানে মৃত্যুদণ্ড পুনর্বহাল হতে পারে। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান নিজের হাতে পাবেন অসীম ক্ষমতা। এ বিল পাস হলে মন্ত্রীপরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করতে পারবেন প্রেসিডেন্ট। কারো কোনো তোয়াক্কা না করেই সরকারের যেকোনো শীর্ষ পদে নিজে নিয়োগ দিতে পারবেন। সাংবিধানিক সংশোধনের বিষয়ে গণভোট দেয়া নিয়ে জারি করতে পারবেন ডিক্রি। তবে তিনি নিজ দলের সদস্যদের বরখাস্ত করতে পারবেন না। এ বিল পাস হলে সশস্ত্র বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সরাসরি প্রেসিডেন্টের অধীনে চলে আসবে। বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তুরস্কের সুপ্রিম মিলিটারি কাউন্সিলের অধীনে।
সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে এমন ১৭টি আর্টিকেলের ওপর তুরস্কের পার্লামেন্টে আলোচনা চলছে ৯ই জানুয়ারি থেকে। সংবিধান সংশোধনের এই বিলটি পার্লামেন্টে চূড়ান্তভাবে গৃহীত হলে পার্লামেন্টই তা গণভোটে পাঠাবে। এ জন্য দরকার হবে ৩৩০ জন এমপির সমর্থন। যদি গণভোটে তা পাস হয় তাহলে তা কার্যকর হবে এ বছরেই গ্রীষ্মে। বিলটি পাস হলে তুরস্কে ফিরবে মৃত্যুদন্ড। এ শাস্তি বাতিল করে দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হয়েছিল। কিন্তু গত বছর জুলাইয়ে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর তা পুনর্বহাল করার কথা বলা হয়। তারই প্রক্রিয়া চলছে। ওই অভ্যুত্থান চেষ্টার পর তুরস্কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে। ধারণা করা হয়, বিলটি আইনে পরিণত করা হলে অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষের ফাঁসি হবে। এ বিলে প্রেসিডেন্ট এরদোগান এতটাই ক্ষমতা পাবেন যে তাকে রাশিয়ার অনলাইন প্রাভদা ‘গ্রেট সুলতান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।