বিজয় নাম্বিয়ার ২০১২ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। এ সময় তিনি দেশটির গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বক্তব্য মিয়ানমারের কাছে তুলে ধরেন। রোববার নিউইয়র্কে তাঁর সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি হাসান ফেরদৌস
প্রথম আলো: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের অবস্থা আপনি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন বেশ কয়েকবার। সেখানকার পরিস্থিতি আপনি কীভাবে বর্ণনা করবেন?
বিজয় নাম্বিয়ার: ২০১২ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি প্রথম রাখাইন রাজ্য সফর করি। সে সময় (রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর) বড় ধরনের হামলা হয়েছিল। সে সময় আমিই ছিলাম প্রথম আন্তর্জাতিক পরিদর্শক। শেষবারের মতো রাখাইন রাজ্যে আমি গেছি গত বছর অক্টোবরে। রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু শিবিরে আমি গেছি, মংডাওতে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আমি দেখা করেছি। আমি একদিকে যেমন এসব মানুষের অসহায়ত্ব দেখেছি, তেমনি এই সংকটের জটিলতাও বুঝতে পেরেছি। আমি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে বরাবর একটা কথা বলেছি, তারা যদি আরও সংবেদনশীল না হয় এবং সংকটের মূল চরিত্র, বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়টি বিবেচনায় না আনে, তাহলে সেখানে জঙ্গিবাদ আরও জেঁকে বসার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রথম আলো: আপনার শেষ সফরের পর আপনি বলেছিলেন সেখানে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ‘টার্গেট কিলিং’ হচ্ছে।
বিজয় নাম্বিয়ার: না, শেষ সফরের পর নয়, এ কথা আমি বলেছিলাম ২০১২ সালে। সে বছর অক্টোবরে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী জানায় (রোহিঙ্গাদের) সশস্ত্র গ্রুপ সামরিক ছাউনির ওপর আক্রমণ করেছে। সেই সময় বেশ কিছু ‘টার্গেটেড কিলিং’ হয়েছিল, আমি সে কথা বলেছি। কে সাধারণ নাগরিক, কে সশস্ত্র গ্রুপের সদস্য, তা আলাদা করা কঠিন ছিল, ফলে ‘টার্গেটেড কিলিং’-এর বিপদ ছিল।
প্রথম আলো: কিন্তু আন্তর্জাতিক তথ্যমাধ্যমে তো ব্যাপক সংঘর্ষ, আগুন ধরানোর ঘটনা, এমনকি ধর্ষণের ঘটনা এখনো চলছে বলে জানিয়েছে।
বিজয় নাম্বিয়ার: হ্যাঁ, সে কথা আমি জানি, কিন্তু স্থানীয় লোকজন সে কথা অস্বীকার করেছে। পরখ করা যায় এমন নিরপেক্ষ তথ্য পাওয়া অত্যন্ত কঠিন ছিল। সে দেশের সরকারও এসব অভিযোগ, বিশেষত ধর্ষণের কথা, প্রবলভাবে অস্বীকার করেছে। আমরা যেসব তথ্য পাই সেখানে বলা হয়, প্রথম কয়েক সপ্তাহ কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি, কিন্তু তারপর পত্রপত্রিকায় এসব খবর প্রকাশিত হতে থাকে। আমি মনে করি, (দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের) প্রতিক্রিয়া হিসেবে নারী ও বালিকাদের ওপর হামলা হতে পারে। তবে এসব হামলা সুপরিকল্পিত কি না, আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।
প্রথম আলো: ঢাকায় জাতিসংঘের উদ্বাস্তু হাইকমিশনার তো বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে যা হচ্ছে তা একধরনের ‘জাতিহত্যা’ বা জেনোসাইড।
বিজয় নাম্বিয়ার: না না, তিনি জাতিহত্যার কথা বলেননি। তিনি বলেছিলেন ‘এথনিক ক্লেনজিং’-এর কথা, তবে পরে উদ্বাস্তু হাইকমিশনারের অফিস থেকে জানানো হয়, এটি তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত, সংস্থার মতামত নয়।
প্রথম আলো: তাহলে আপনি বলছেন অবস্থা এখন আগের চেয়ে ভালো?
বিজয় নাম্বিয়ার: পরিস্থিতির অবনতি হয়নি, এ কথা বলা যায়। সামরিক কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করছে তাদের বিরুদ্ধে হামলার আশঙ্কা এখনো রয়েছে। ফলে সেখানে এখনো সেনা অবরোধ (বা ‘লক ডাউন’) অব্যাহত রয়েছে। সামরিক কর্তৃপক্ষ বলেছে তারা সংবাদমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সেখানে যেতে দেবে, কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনো সেনা অবরোধ রয়েছে। পরিস্থিতি কখনো ভালো, কখনো মন্দ—এভাবে চলছে। স্থানীয় জনগণ ভীষণ উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। তারা ভীত, আরও কত দিন অবস্থা এই রকম থাকবে, সেটা তাদের উদ্বেগের বিষয়। আমার মনে হয়, মিয়ানমার সরকারের উচিত হবে স্থানীয় জনগণকে আশ্বস্ত করার জন্য নিজ থেকে উদ্যোগ নেওয়া। যারা সামরিক হামলার জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার কর্তৃপক্ষের আছে, কিন্তু তাই বলে পুরো সম্প্রদায়কে সে হুমকির মুখে রাখা যুক্তিযুক্ত নয়। বেসামরিক নাগরিকদের এই আশ্বাস দিতে হবে যে তারা নিরাপদে থাকতে পারে।
প্রথম আলো: আপনি ১৭ নভেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কাছে পরিস্থিতি বিষয়ে প্রতিবেদন পেশ করেছেন। পত্রপত্রিকায় পড়েছি, আপনি বলেছেন পরিষদ সদস্যদের উচিত হবে ‘মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ’ প্রয়োগ না করা।
বিজয় নাম্বিয়ার: না, আমি সে কথা বলিনি। আমি যা বলেছি তা হলো সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অং সান সু চির প্রয়োজন আছে আরও সময় ও স্থানের। গত বছর সেপ্টেম্বরে অং সান সু চি যখন জাতিসংঘে আসেন, সে সময় তিনি দেশের সব মানুষের মানবাধিকার ও মানবিক মর্যাদার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছিলেন। সহিংসতা শক্তভাবে প্রতিহত করবেন, সে কথাও বলেছিলেন। আমার এখনো এই বিশ্বাস আছে যে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা তাঁর রয়েছে। অবস্থার পরিবর্তন হয়, এমন ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা তাঁর রয়েছে, আমি সে কথা মনে করি। এ জন্য যে নৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব দরকার, দুটোই তাঁর রয়েছে। যদি (অর্থপূর্ণ) কিছু করা হয়, তো সেটা অং সান সু চি ও তাঁর সরকারের হাত দিয়েই হওয়া সম্ভব। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তিনি ঠিক কাজটিই করবেন। এ জন্য জনগণের উচিত হবে তাঁর ওপর আস্থা রাখা।
প্রথম আলো: কিন্তু সামরিক বাহিনী কি তাঁকে সমর্থন করবে?
বিজয় নাম্বিয়ার: বর্তমানে সে দেশের সামরিক বাহিনী বিষয়টি শুধু নিরাপত্তা হুমকি হিসেবেই দেখছে। হাতুড়িমাত্রই তো পেরেক খোঁজে, ব্যাপারটা সেই রকম। কিন্তু সমস্যার রাজনৈতিক চেহারার প্রতি দৃষ্টি দিতে সামরিক কর্তৃপক্ষের ওপর চাপের প্রয়োজন রয়েছে। আসল কথা হলো, জনগণকে আশ্বস্ত করতে হবে। আমার মনে হয় না সেনাবাহিনীকে সে পথে ঠেলে দিতে চাপ প্রয়োগের ক্ষমতা অং সান সু চির রয়েছে। তবে এই কাজ যদি কারও পক্ষে করা সম্ভব হয়, তো সেটা হলো এই মহিলার। মিয়ানমারের শাসনতন্ত্রে সে দেশের ১৩৫টি নৃগোষ্ঠীর স্বীকৃতি রয়েছে। অং সান সু চি (ও তাঁর পিতা) মনে করেন মিয়ানমারকে গোত্রভেদের ঊর্ধ্বে উঠে এক জাতিতে সম্মিলিত হতে হবে। কিন্তু দেশটির ভেতর সংখ্যাগুরুদের মধ্যে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীসমূহের অধিকারের স্বীকৃতির ব্যাপারে এখনো আপত্তি রয়েছে। এই অবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন।
প্রথম আলো: প্রাক্তন জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনান সম্প্রতি মিয়ানমার ঘুরে এসেছেন। তাঁর গলায় নরম সুর শুনতে পেয়েছি।
বিজয় নাম্বিয়ার: কফি আনানের অনেক কথার সঙ্গেই আমি একমত। বিশেষত সমস্যার জটিলতা ও দেশটির নেতৃত্ব যাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সমূহকে রক্ষার ব্যাপারে তাদের নৈতিক কণ্ঠস্বরটি আরও স্পষ্ট ও উঁচু করে এবং মানবিক সাহায্য ও তথমাধ্যমের উপস্থিতির অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে তিনি যে কথা বলেছেন, তার সঙ্গে। আমি তাঁর সঙ্গে এ বিষয়েও একমত যে সমস্যার একটি রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন। এ জন্য ‘হালকা চাপ’ (সফট প্রেশার) দরকার। আমার মনে হয় না জেনোসাইড বা এথনিক ক্লেনজিং জাতীয় কথা প্রয়োগ করা সঠিক। এসব অভিযোগ খুব হালকাভাবে তোলা উচিত নয়। আমি দেখেছি মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের কোনো কোনো কর্মকর্তা বলেছেন, পরিস্থিতি যথেষ্ট সাবধানতার সঙ্গে মোকাবিলা না করলে সেখানে জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে পরতে পারে। সে জন্য পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয়, সে জন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রথম আলো: জঙ্গিবাদের বিষয়টি একটু ব্যাখ্যা করবেন?
বিজয় নাম্বিয়ার: আমার মনে হয় রাজনৈতিকভাবে অগ্রসর হলে অবস্থার মোকাবিলা সহজতর হবে। স্থানীয় জনগণ যদি নিজেদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বস্ত না হয় তাহলে জঙ্গিবাদ ছড়ানোর উর্বর জমি তৈরি হবে।
প্রথম আলো: সমস্যা সমাধানে আঞ্চলিক উদ্যোগের ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?
বিজয় নাম্বিয়ার: আসিয়ান এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে। মালয়েশিয়া যে প্রস্তাব করেছে—মিয়ানমার সমুদ্রসীমায় নৌবহর পাঠানো—তাতে খুব ফলদায়ক কিছু হবে বলে আমার মনে হয় না। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়া ২০১২ থেকে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে কাজ করে চলেছে, তারা মানবিক সাহায্য পাঠাতে বিভিন্ন উদ্যোগও নিয়েছে। ‘বালি প্রক্রিয়া’র (উদ্বাস্তু সমাধানের লক্ষ্য ২০০২ সালে ইন্দোনেশিয়ার নেতৃত্ব ৪৮-জাতি কর্মসূচি) অধীনেও আলাপ-আলোচনার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা, এ ব্যাপারে যাদের উদ্যোগী হওয়া দরকার সেটা হলো দ্বিপক্ষীয়ভাবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের। আমি যদ্দূর জানি, মিয়ানমার সরকার আলাপ-আলোচনার জন্য তার একজন সহকারী মন্ত্রীকে ঢাকায় পাঠাচ্ছে। জাতিসংঘ থেকেও একজন র্যাপোর্টিয়ার যাচ্ছেন।
প্রথম আলো: বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আপনার কী পরামর্শ?
বিজয় নাম্বিয়ার: আমার তো মনে হয় বাংলাদেশ এ পর্যন্ত খুবই গঠনমূলক ভূমিকা গ্রহণ করেছে। উদ্বাস্তুদের অব্যাহত আগমনের ফলে তাদের ওপর যে চাপ রয়েছে, সেটাও আমি বুঝি। উদ্বাস্তুদের সংখ্যা যত বাড়বে, বাংলাদেশের উদ্বেগও সেই পরিমাণ বাড়বে। (অবস্থা না বদলালে) পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠবে। এসব উদ্বাস্তুকে যাতে তাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়, সে ব্যাপারে এই দুই দেশকে দ্বিপক্ষীয়ভাবে সম্মতি অর্জন করতে হবে। যদ্দূর মনে পড়ে, নব্বই দশকে সেই রকম একটি চুক্তি হয়েছিল।
প্রথম আলো: তাহলে মোদ্দা কথা দাঁড়াল কী?
বিজয় নাম্বিয়ার: প্রথম কাজ হলো, মিয়ানমার সরকার ও তার শীর্ষ নেতাদের নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলার পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যের জনগণকে, বিশেষত সেখানকার মুসলমানদের, নিরাপত্তা ও আত্মমর্যাদার ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে হবে। ইতিমধ্যে মাত্রাতিরিক্ত যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার মোকাবিলায় দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে স্থানীয় জনগণ নিজেদের শুধু হামলার শিকার বা ‘ভিকটিম’ না ভাবে।
দ্বিতীয়ত, রাখাইন রাজ্যে যে ঘটনা ঘটেছে তার নির্ভরযোগ্য তদন্ত হতে হবে। জনগণকে এই ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে হবে যে নিরাপত্তা বাহিনী যে ব্যবস্থা নেবে তা দেশের আইনের ভিত্তিতে। আর এই কাজটা করতে হবে সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে, যাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়
তাতে আশ্বস্ত হতে পারে। তা না হলে (মিয়ানমার সরকারের ব্যাপারে) সন্দেহ ও অবিশ্বাস চলতেই থাকবে।
তৃতীয়ত, সরকারকে সমস্যার মূল কারণ, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের প্রশ্ন, বিবেচনায় আনতে হবে। আমি জানি অধিকাংশ রোহিঙ্গাকে ইতিপূর্বে সে দেশের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। রোহিঙ্গাদের মনে অবশ্যই এই মনোভাব জাগাতে হবে যে দেশের সরকার তাদের নাগরিক হিসেবে মনে করে, তাদের ফেডারেল রাষ্ট্রকাঠামোর অন্তর্গত মনে করে। একমাত্র তাহলে এই দেশটি যে তাদের—এই বোধ তাদের মধ্যে সংক্রমিত হবে এবং তারা দেশের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে সক্ষম হবে।
প্রথম আলো: এ ব্যাপারে জাতিসংঘ কী ভূমিকা পালন করতে পারে?
বিজয় নাম্বিয়ার: জাতিসংঘ তার ভূমিকা পালনে আগ্রহী, তবে মূল কাজটা হতে হবে জাতীয় পর্যায়ে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি সে প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত হয়, তাহলে এই রাজনৈতিক প্রক্রিয়া একদিকে যেমন অধিক গ্রহণযোগ্যতা পাবে, তেমনি সে সমস্যার সমাধান ত্বরান্বিত হবে।
প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।
বিজয় নাম্বিয়ার: সদ্য বিদায়ী জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার-বিষয়ক উপদেষ্টার বিশেষ সাক্ষাৎকার।
প্রথম আলোর সৌজন্যে