মুহাম্মাদ নাজমুল ইসলাম :
আকবিরে দেওবন্দ সবসময় সুন্নতের উপর অটল!
বহুকার আগের কথা। একবার ভারতের রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দীন আলী সাহেব তার অনেক দিনের স্বপ্নপুরী দারুল উলূম দেওবন্দ দেখতে আসেন। ঠিক আসার আগেই তিনি দারুল উলূম কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রাখেন, যেন তার খানার ব্যবস্থা ফিদায়ে মিল্লাত মাওলানা আসআদ মাদানি রহ.-এর এর বাসায় করা হয়।
প্রেসিডেন্ট বলে কথা! তার সফরকে উপলক্ষ্য করে সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে পুলিশ অফিসার চলে আসলেন দারুল উলূম।
দেখলেন এবং জানলেন কোথায় কীভাবে মেহমানদারী করা হবে?
সে হিসেবে প্রথমে জানতে চাইলেন খানার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে।
উওরে মাদানী সাহেব স্বীয় মেহমানখানা দেখিয়ে বললেন এখানে মাটিতে বসিয়ে খাওয়ানো হবে!
এ কথা শুনেতো পুলিশবাবুর মাইন্ডে লাগলো! চোখ মুখ তো লাল! একজন রাষ্ট্রপ্রধান নিচে বসে খাবেন?
মাদানী সাহেব বললেন, দেখুন! আমাদের এখানে শুধু সুন্নত তরীকায় খাওয়ার ব্যবস্হা আছে। আপনি রাষ্ট্রপতিকে অবগত করুন তিনি অপছন্দ করলে আমাকে মাফ করবেন। এর বিপরীত ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব না।
রাষ্ট্রপতিকে জানানো হলে তিনি বললেন, চলো ঠিক হে! তিনি যেভাবে বলবেন ইনশাআল্লাহ সেভাবেই খাবো।
রাষ্ট্রপতি হেলিকপ্টারযুগে দেওবন্দ আসলেন। দারুল উলুম পরিদর্শন শেষে মাদানি রহ.-এর ভোঁজসভায় অংশগ্রহণ করলেন।
কিন্তু এবার চিত্রটা আরো উপভোগ্য হলো। দস্তরখানার পরিবেশ দেখে রাষ্ট্রপতি তো মাশাআল্লাহ হেব্বি খুশি। যেনো খুশিয়ে পেট ফেটে যাচ্ছে।
তার সঙ্গে ছিলো এক হিন্দু এম.এল.এ। তাকেও ডেকে এনে রাষ্ট্রপতি তার সঙ্গে মাটিতে বসিয়ে খাওয়ালেন এবং নিজেকে ধন্য করে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকলেন।
তো প্রিয় পাঠক!
বুঝতেই পারছেন উলামায়ে দেওবন্দ কতটুকু সুন্নতের পাবন্দি করেন। যেভাবেই যে অবস্থায়ই থাকেন নিজের রাসূলের আদর্শকে কখনও ভুলেনন না। প্রতিটা কদমে কদমে রাসূলের সুন্নত মেনে চলাকে নিজের জীবনের মাপকাঠি বানিয়ে নেন।
কিন্তু আমরা..?
আরও পড়ুন : অজানা দেওবন্দ ১৫; দেওবন্দের ছাত্ররা রাসূল সা. থেকে দুধ সংগ্রাহক!
লেখক : শিক্ষার্থী, দারুল উলুম দেওবন্দ