বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ বিকাল ৫:২০
Home / প্রতিদিন / মজলুম সাহাবি হযরত মুআবিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহু

মজলুম সাহাবি হযরত মুআবিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহু

মুফতি জিয়াউর রহমান :
সাহাবী হযরত মুআবিয়া রা. মক্কা বিজয়ের সময় ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দিলেও মূলত এর অনেক আগেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করে নিয়েছিলেন৷ ঐতিহাসিক বর্ণনামতে হুদায়বিয়ার সন্ধির পরপরই তিনি ইসলামের ছায়াতলে এসে পড়েছিলেন৷ কিন্তু বেশ কিছু অসুবিধার কারণে তখন তিনি তাঁর ইসলাম গ্রহণ প্রকাশ করেন নি৷ এজন্যে বদর, ওহুদ ও খন্দকের মতো গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে তিনি অনুপস্থিত থাকেন৷ তাঁকে কাফিরদের পক্ষ হয়ে যুদ্ধ করতে ইতিহাসের কোনো বিবরণে পাওয়া যায় না৷ তাই মক্কা বিজয়ের সময় ইসলাম গ্রহণ করেছেন বলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অত্যন্ত আস্থাভাজন এই বুযুর্গ সাহাবিকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই৷ মুআবিয়া রা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খুবই প্রিয় এবং স্নেহের ছিলেন৷ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুআবিয়া রা, এর জন্যে এই দুআ করেন:
أللهم اجْعَلْه هادياً مَهْدياً، واهْدِ به. (رواه البخاري في التاريخ: 5/240 والترمذي: 3842 وابن سعد: 7/418)
হে আল্লাহ! তাকে পথপ্রদর্শক ও পথ প্রাপ্ত করে দাও৷ এবং তার মাধ্যমে মানুষকে হেদায়াত দান করো৷ (তারিখে বুখারী: ৫/২৪০, তিরমিযী: ৩৮৪২, ইবনে সা’দ: ৭/৪১৮)
এই দুআও করেন:
اللهم علِّم معاويةَ الكتابَ والحِساب، وقِهِ العذاب. (رواه أحمد في المسند: 4/127 وابن خزيمة: 1938)
হে আল্লাহ! মুআবিয়াকে কিতাব এবং হিসাবের জ্ঞান দান করো, এবং তাকে (জাহান্নামের) আযাব থেকে রক্ষা করো৷
أردف النبي- صلى الله عليه وسلم- معاوية خلفه فقال: ما يليني منك؟ قال: بطني يا رسول الله. قال: اللهم املأه علما. (سير أعلام النبلاء: ٣/١٢٧)
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত মুআবিয়া রা.কে একবার সওয়ারিতে নিজের পিছনে বসিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন৷ কিছু দূর গিয়ে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, মুআবিয়া! তোমার দেহের কোন অংশ আমার দেহের সঙ্গে মিশে আছে? তিনি আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পেট (ও বুক) আপনার পবিত্র দেহের সাথে মিশে আছে৷ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন দুআ দিয়ে বললেন- হে আল্লাহ সেটাকে ইলম দ্বারা পূর্ণ করে দাও৷ (সিয়ারু আ’লামিন নুবালা: ৩/১২৭, তারীখুল ইসলাম: ২/৩১৯)
ওহী লেখক মুআবিয়া রা.
ইনি হলেন হযরত মুআবিয়া রা, যিনি সার্বক্ষণিক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে ছায়ার মতো থাকা, সান্নিধ্য লাভ এবং উচ্চমার্গীয় ও ঈর্ষণীয় যোগ্যতার ফলস্বরূপ রাসূল সা, তাঁকে ওহী লেখার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্পণ করেন৷ মুআবিয়া রা.এর পিতা আবু সুফিয়ান রা. এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এসে প্রস্তাব করলেন-
يا نبي الله ثلاث أعطنيهن قال نعم قال عندي أحسن العرب وأجمله أم حبيبة بنت أبي سفيان ازوجكها قال نعم قال ومعاوية تجعله كاتبا بين يديك قال نعم قال وتؤمرني حتى أقاتل الكفار كما كنت أقاتل المسلمين قال نعم. (رواه مسلم: 2501)
হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে তিনটি জিনিসের অনুমতি দান করুন৷ রাসূলুল্লাহ সা, বললেন, অবশ্যই! অতঃপর তিনি বললেন: (১) আমার কাছে (আমার মেয়ে) আরবের সর্বোৎকৃষ্ট ও সুন্দরি মেয়ে উম্মে হাবীবা বিনতে আবী সুফিয়ান আছে৷ তাকে আপনার কাছে বিয়ে দিতে চাই৷ রাসূলুল্লাহ সা, বললেন: হ্যাঁ (আমি সম্মত)৷ (১) আমার ছেলে মুআবিয়াকে আপনার সামনে (ওহীর) লেখক হিসেবে নিযুক্ত করে নিন৷ রাসূলুল্লাহ সা, বললেন: হ্যাঁ অবশ্যই৷ (১) আমাকে কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুকুম দিন, যেভাবে আমি মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি৷ (সহীহ মুসলিম: ২৫০১)
وقال عبد الله بن عمرو رضي الله عنهما :”كان معاوية يكتب لرسول الله صلى الله عليه وسلم. (السير للذهبي: 123/3)
আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা, বলেন: মুআবিয়া রাসূলুল্লাহ সা,এর পক্ষ থেকে (ওহী) লিপিবদ্ধ করতেন৷ (সিয়ারু আ’লামিন নুবালা: ৩/১২৩)
قال شيخ الاسلام ابن تيمية رحمه الله عن معاوية رضي الله عنه :”هو واحد من كتاب الوحي. (منهاج السنة: 442/4)
ইবনে তাইমিয়া রাহ, বলেন: মুআবিয়া রা, ওহী লেখকদের মধ্য থেকে একজন লেখক ছিলেন৷ (মিনহাজুস সুন্নাহ: ৪/৪৪২)
এই সমস্ত বিবরণ থেকে বুঝা যায়, আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ ওহীর একজন সম্মানিত লেখক তিনি৷ যে ওহীর উপর এই দ্বীনে শরীয়তের সম্পূর্ণ কাঠামো নির্ভর করে৷ তাছাড়া ওহী লেখক হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করা মানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নৈকট্যশীল, আস্থাভাজন ও আমানতদার হওয়ারই দলিল বহন করে৷ তাই ওহী লেখক এই সাহাবির উপর অনাস্থা জ্ঞাপন মানে ওহীর উপর অনাস্থা জ্ঞাপনের শামিল৷ আর ওহীর উপর অনাস্থা মানে দ্বীনে শরীয়তের উপর অনাস্থার নামান্তর৷ রাসূলের সিদ্ধান্ত অবজ্ঞার শামিল৷ যা ঈমানের জন্যে ক্ষতিকর না শুধু ধ্বংসাত্মকও বটে৷ আল্লামা ইবনে কাসীর রাহ, আল-বেদায়া ওয়ান-নেহায়া’র মধ্যে ২৩ জন কাতিবে ওহী তথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে ওহীর লেখকের নাম এনেছেন৷ তারা হলেন- প্রথমত খুলাফায়ে রাশেদীন; আবু বকর সিদ্দীক, উমারে ফারুক, উসমান যুন্নুরাইন, আলী কাররামাল্লাহ রাযিয়াল্লাহু আনহুম৷ এরপর আবান ইবনে সাঈদ ইবনুল আস, উবাই ইবনে কা’ব, যায়দ বিন সাবিত, মু’আয বিন জাবাল, আরকাম ইবনে আবিল আরকাম, সাবিত বিন কায়স বিন শাম্মাস, হানযালা বিন রাবী, খালিদ বিন সাঈদ ইবনুল আস, খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ, যুবায়র ইবনুল আওয়াম, আবদুল্লাহ ইবনে সা’দ, আমির বিন ফুহায়রা, আবদুল্লাহ ইবনে আরকাম, আবদুল্লাহ বিন যায়দ বিন আবদে রাব্বিহি, আ’লা ইবনুল হাযরামী, মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামাহ, মুআবিয়া ইবনে আবী সুফিয়ান, মুগীরা ইবনে শু’বাহ রাযিয়াল্লাহু আনহুম আজমাঈন৷ (আল-বেদায়া ওয়ান-নেহায়া: ৫/২২৯)
একবার হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মোবারক রা. কে প্রশ্ন করা হলো, কে উত্তম? হযরত মুআবিয়া রা. না কি উমর ইবনে আব্দুল আযীয রাহ.? তিনি উত্তর দিলেন- আল্লাহর শপথ, রাসূল স. এর সাথে চলার সময় হযরত মুয়াবিয়া রা. এর নাকে যেই ধুলাবালি প্রবেশ করেছে, সেটি হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয থেকে হাজারগুণ উত্তম। (ওফায়াতুল আইয়ান, খ.৩, পৃ.৩৩, ইবনে খল্লিকান)
আবদুল্লাহ ইবনে মুবারক রাহ. আরও বলেন: মুআবিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহু আমাদের জন্যে এক পরীক্ষা (অর্থাৎ তাঁকে কেন্দ্র করে আমারা পরীক্ষার শিকার)৷ তাঁকে জাতির সামনে সমালোচিত করার মতো ন্যূনতমও কোনো যৌক্তিকতা পাচ্ছি না। (আল-বেদায়া ওয়ান-নেহায়া: ৮/১৩৯)

সাহাবি কাকে বলে?

মুআবিয়া রা, কি সাহাবি নন? (নাউযুবিল্লাহ)৷
তিনি সাহাবি না হলে সাহাবি আর কাকে বলে?
সাহাবি বলা হয়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে যার ঈমানের অবস্থায় স্বাক্ষাত হয়েছে এবং ঈমানের অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণও করেছেন৷ এতে সামান্য সময়ের জন্যে স্বাক্ষাতই হোক না কেনো৷ তিনিই সাহাবি৷ (তাদরীবুর রাবী: ২/৬৭২, আল-ইসাবাহ: ১/১৫৮,)
এই সংজ্ঞার উপর সমস্ত উলামায়ে উম্মত একমত৷ তাহলে মুআবিয়া রা,কে সাহাবি হওয়ার মর্যাদা থেকে জোর করে বের করে দেয়ার সাধ্য কার আছে? অথচ একদল হতভাগা সেই ব্যর্থ চেষ্টাই করে যাচ্ছে৷ আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মতে রাসূল সা, এর সমস্ত সাহাবি আদিল বা ন্যায়-পরায়ণ। তাদের কেউই ফাসিক বা অগ্রহণযোগ্য নন। শরীয়তে ফাসিকের কোনো বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। অথচ হাদীস শাস্ত্রে প্রত্যেক সাহাবির হাদীসই গ্রহণযোগ্য। কারণ আমাদের নিকট-
الصحابة كلهم عدول
সমস্ত সাহাবি ন্যায়-পরায়ণ ও সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত।

সাহাবির মর্যাদা কী?

সাহাবায়ে কেরাম হলেন ঈমানের মাপকাঠি, হকের মানদণ্ড, ওহীর আমানতদার, শরীয়তের আলম-বরদার (পতাকাবাহী)৷ পবিত্র কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন সাহাবায়ে কেরামকে ঈমানের মাপকাঠি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন৷ পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
فإن امنوا بمثل ما امنتم به فقد اهتدوا و إن تولوا فإنما هم في شقاق
“যদি তারা ঈমান আনে, যেরূপ তোমরা ঈমান এনেছ, তবে তারা হেদায়াতপ্রাপ্ত হবে। আর যদি তারা (এথেকে) মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে তারা হঠকারিতায় রয়েছে।” (সূরা বাক্বারা: ১৩৭)

এ তো গেলো ঈমানের মাপকাঠির প্রশ্ন৷ পাশাপাশি আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদার উপর পবিত্র কুরআনে অসংখ্য আয়াত নাযিল করেছেন৷ সময়, প্রেক্ষাপট, ঈমান আনয়ন প্রভৃতি প্রশ্নে তাঁদের স্তর বিন্যাসে কিছু তারতম্য এলেও সাহাবিত্ব এবং আল্লাহ তাআলার ক্ষমাপ্রাপ্তির আলোকে সবাই সমান৷
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
أولئك هم المؤمنون حقا لهم درجت عند ربهم و مغفرة و رزق كريم.
“এমন সব লোকই (সাহাবিরা) সত্যিকারের মুমিন (যাদের ভেতর ও বাহির এক রকম এবং মুখ ও অন্তর ঐক্যবদ্ধ)। তাদের জন্য রয়েছে স্বীয় পরওয়ারদিগারের নিকট সুউচ্চ মর্যাদা ও মাগফিরাত এবং সম্মানজনক রিয্ক।” (সূরা আনফাল: ৪)

সূরা নিসার ৯৫ নং ও সূরা হাদীদের ১০নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন-
وكلا وعد الله الحسنى
“তাদের (মধ্যে পারস্পরিক তারতম্য থাকা সত্ত্বেও) সবাইকে আল্লাহ তা‘আলা হুসনা তথা উত্তম পরিণতির (জান্নাত ও মাগফিরাতের) ওয়াদা দিয়েছেন।”

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামদের ব্যাপারে উম্মতদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন-
الله الله فى أصحابى لا تتخذوهم غرضا من بعدى فمن أحبهم فبحبى أحبهم ومن أبغضهم فببغضى أبغضهم

“সাবধান! তোমরা আমার সাহাবিগণের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। আমার পরে তোমরা তাঁদেরকে (তিরস্কারের) লক্ষ্যবস্তু বানাইও না। যে ব্যক্তি তাঁদের প্রতি ভালোবাসা পোষণ করে সে আমার প্রতি ভালোবাসা বশেই তাঁদেরকে ভালোবাসে। আর যে ব্যক্তি তাঁদের প্রতি শত্রুতা ও বিদ্বেষ পোষণ করে সে আমার প্রতি বিদ্বেষবশত তাঁদের প্রতি শত্রুতা ও বিদ্বেষ পোষণ করে থাকে।” (তিরমিযী: ৩৮৬১, ইবনে হিব্বান: ২২৮৪, মুসনাদে আহমদ, খ.৪, পৃ.৮৭)

তিনি আরো ইরশাদ করেন-
لاَ تَسُبُّوا أَصْحَابِى فَلَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا بَلَغَ مُدَّ أَحَدِهِمْ وَلاَ نَصِيفَهُ
“তোমরা আমার সাহাবিদেরকে গালি দিও না। তোমাদের মধ্যে যদি কেউ উহুদ সমপরিমাণ স্বর্ণও আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, তবুও তাঁদের এক মুদ্দ বা তার অর্ধেক পরিমাণ (এক মুদ=১ রতল। আল্লামা শামী রাহ, বয়ান করেছেন যে, এক মুদ্দ ২৬০ দিরহামের সমপরিমাণ। দ্রষ্টব্য: আওযানে শরিয়্যাহ) আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করার সমতূল্য হবে না।” (সহীহ বুখারী: ৩৭১৭)

ইবনে আব্বাস রা, হতে বর্ণিত রাসূলুুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
من سب اصحابي فعليه لعنة الله والملائكة والناس اجمعين ”
“যারা আমার সাহাবিদেরকে গালি দেয়, তাদের প্রতি আল্লাহর, ফেরেস্তাদের, এবং জগতবাসীর অভিশাপ বর্ষিত হোক।” (তাবারানী: ১২৭০৯)

শিয়া সম্প্রদায়ের মতো সুন্নি নামধারী অনেকেও ইয়াযীদের সঙ্গে মুআবিয়া রা,কে দোষারোপ করে৷ উভয়কে এক পাল্লায় মাপে৷ এটি একটি মারাত্মক ভ্রান্তি, চরম পর্যায়ের অন্যায়৷ কেননা মুআবিয়া রা, হচ্ছেন একজন সম্মানিত ও গুরুত্বপূর্ণ সাহাবি৷ উপরে সাহাবির সংজ্ঞা ও ওহী লেখার বিবরণ থেকেও সুস্পষ্টভাবে প্রতিয়মান হয় যে, তিনি সাধারণ পর্যায়েরও কোনো সাহাবি নন, বরং গুরুত্বপূর্ণ, নির্বাচিত, ওহী লেখক ও একজন প্রাজ্ঞ ফকীহ সাহাবি৷

তাই আসুন, কতেক অপরিণামদর্শী, অভিশপ্ত সাহাবা বিদ্বেষির অপপ্রচার ও ইনসাফবিহীন, একপেশে ইতিহাস চর্চায় প্রভাবিত হয়ে একজন মুখলিস ও বুযুর্গ সাহাবীর প্রতি জুলুম না করি৷ তাঁর ব্যাপারে নিজের জবানকে হেফাজত করি৷ নতুবা দুনিয়া-আখেরাতে নিশ্চিত ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে নিঃসন্দেহে৷ আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন৷

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...