বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ সকাল ৭:৩৫
Home / এশিয়া / রোহিঙ্গাদের ত্রাণ পাঠাতে চায় মালয়েশিয়া
Boys stand among debris after fire destroyed shelters at a camp for internally displaced Rohingya Muslims in the western Rakhine State near Sittwe, Myanmar May 3, 2016. REUTERS/Soe Zeya Tun - RTX2CMC2

রোহিঙ্গাদের ত্রাণ পাঠাতে চায় মালয়েশিয়া

অনুমতি দেবে না মিয়ানমার

অনলাইন ডেস্ক : মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য জরুরি খাদ্য ও রসদবাহী ত্রাণবহর পাঠাবে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়া। ১০ জানুয়ারি এক হাজার টন চাল, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ত্রাণবহরটি মালয়েশিয়া ছাড়বে। তবে এ জন্য অনুমতি চেয়েও মালয়েশিয়া কোনো সাড়া পায়নি। আর আবেদন পাওয়ার কথাই অস্বীকার করেছে মিয়ানমার।
মালয়েশিয়ান কনসালসটেটিভ কাউন্সিল অব ইসলামিক অর্গানাইজেশনসের সেক্রেটারি জেনারেল জুলহানিস জাইনল গতকাল শুক্রবার জানিয়েছেন, ত্রাণ যাতে মিয়ানমারে প্রবেশ করতে পারে, সে জন্য দেশটির কুয়ালালামপুরের দূতাবাসে আবেদন করা হয়েছে। জুলহানিস জাইনল বলেছেন, ‘আমরা যদি আবেদনে সাড়া না পাই, তবু ত্রাণবহর পাঠাব। কারণ, আমরা মনে করছি যে এটি গুরুত্বপূর্ণ এক মানবিক মিশন।’
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের দপ্তর এ ধরনের কোনো আবেদন পাওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেছে, অনুমতি ছাড়া কোনো ত্রাণবহর ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রেসিডেন্টের দপ্তরের মুখপাত্র নজো থে বলেন, ‘আমাদের নৌসীমায় অনুমতি না নিয়ে মিয়ানমারের নাগরিক ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। যদি কেউ করে, আমরা এর জবাব দেব—আমরা তাদের হামলা করব না কিন্তু তাদের অভ্যর্থনাও জানাব না।’
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে সম্প্রতি সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর সেনাবাহিনীর রক্তক্ষয়ী অভিযানে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে অনেক লোকের প্রাণহানি এবং তিন লাখ লোক বাস্তুহারা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোনো রাখঢাক ছাড়া মিয়ানমার সরকারের কড়া সমালোচক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে মালয়েশিয়া।
মিয়ানমার এর আগে জানিয়েছিল, মানবিক সহায়তার জন্য রাখাইনে প্রবেশ করা যাবে। তবে এখন নিরাপত্তার কারণে কয়েকটি রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের কাছে ত্রাণ সংস্থাগুলোকে যেতে দিচ্ছে না।
রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত করা এবং মানবিক সাহায্য পাঠানোর জন্য চলতি মাসের শুরুতে মালয়েশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের কাছে সুপারিশ করেছিল।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার ও মালয়েশিয়া দুই দেশই আসিয়ানের সদস্য। এই দুই দেশ দীর্ঘদিন ধরে কারও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলে আসছে। মিয়ানমারে আগেকার সহিংসতায় বাস্তুহারা হওয়া আনুমানিক দেড় থেকে দুই লাখ রোহিঙ্গা মালয়েশিয়ায় বসবাস করছে।

 

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...