শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ৮:৪৭
Home / অনুসন্ধান / সরেজমিন : সিলেট ইজতেমা মাঠ
ইজতেমা মাঠে চলছে জোর প্রস্তুতি

সরেজমিন : সিলেট ইজতেমা মাঠ

মুফতি জিয়াউর রহমান :

সিলেট জেলা ইজতেমা মাঠে গিয়েছিলাম৷ বিশাল আয়তনের মাঠ৷ টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠের মতোই প্রায়৷ নানা সুবিধাদি ও মাঠের বিশালত্বের দিক দিয়ে টঙ্গীর মাঠ থেকেও উন্নত ব্যবস্থাপনা৷ মাঠের বিশালত্বের মতো সেই এলাকার মানুষের ভেতরটাও বিশালতায় রূপ নিচ্ছে মাশা আল্লাহ৷

যে এলাকায় তাবলীগ জামাত প্রবেশ ছিলো একরকম অঘোষিত নিষিদ্ধ৷ মসজিদে তাবলীগ জামাত ঢুকতে বাধা দেয়া হতো৷ কোনো মসজিদে তাবলীগ জামাত ঢুকলে ওয়াহাবীর বাচ্চা বলে তাড়িয়ে দিতো৷ কিংবা তাড়িয়ে না দিলেও এই তিনদিন মানুষ মসজিদে আসত না৷ আকণ্ঠ বিদআতে নিমজ্জিত দুনিয়ালোভী আলিমরা মানুষের ভেতর দাওয়াত ও তাবলীগ সম্পর্কে হিংসাত্মক ও নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টিতে সফল হয়ে গিয়েছিল৷ যার কারণে তাবলীগ জামাত দেখলে মানুষ নাক ছিটকাতো৷ দাওয়াত ও তাবলীগের ব্যাপারে মানুষ হয়ে গিয়েছিল বীতশ্রদ্ধ৷

কিন্তু আল্লাহ তাআলার কৌশল এবং হেকমত মানুষের পক্ষে বোঝা তখনই সম্ভব হয়, যখন আল্লাহ তাঁর কৌশল প্রয়োগ করেন৷ এর আগে মানুষ অন্ধকারে থেকে যায়৷ যুগের পর যুগ দ্বীনের প্রকৃত স্বাদ থেকে মানুষদের বঞ্চিত রেখে বিদআতী কর্মকাণ্ডে জুড়িয়ে রেখে শেষতক আল্লাহর কৌশলের কাছে হার মেনে বিশাল এলাকার সাম্রাজ্য হারাতে হলো তাদের৷

যে মানুষগুলো তাবলীগ জামাতকে ওয়াহাবীর বাচ্চা বলে গালি দিতো, আজ সেই মানুষগুলোই স্বেচ্ছাশ্রমে নিজের মাথার ঘাম পায়ে ফেলছে৷ শামিয়ানা তৈরির জন্যে বাড়ীর বাঁশ, গাছ, প্রয়োজনীয় খাবার এনে দিচ্ছে৷ ইজতেমা আয়োজনের জন্যে নিজ নিজ জমির স্থায়ী বন্দোবস্ত করে দিচ্ছে৷ দলীল করে মাঠের জন্যে নিজেদের মালিকানার জমিগুলো স্থায়ীভাবে দান করে দিচ্ছে৷ যারা টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমাকে ‘বিশ্ব ইস্তেনজা’ বলত, আজ তারাই তাদের এলাকায় ইজতেমা আয়োজনকে নিজেদের জন্যে গৌরবান্বিত মনে করছে৷

প্রতিদিন বিভিন্ন মাদরাসা থেকে বাস ভাড়া করে তালিবে ইলমরা এসে স্বেচ্ছাশ্রমে প্যান্ডেলের কাজ করে যাচ্ছে অবিরত৷ কলেজ-ভার্সিটির তরুণ-যুবক ভাইয়েরাও কম যান না৷ তাদের এক টিমকেও দেখেছি মাঠে কাজ করতে৷ কেউ কেউ স্বেচ্ছাশ্রমের ভাইদের জন্যে শুকনো খাবার, পানি নিয়ে আসছেন৷ এভাবেই আল্লাহ ওয়ালাদের কর্মতৎপর ও কর্মমুখর পরিবেশে মুখরিত হয়ে আছে মোল্লার গাঁও ইউনিয়নে অবস্থিত সিলেটের বিশাল ইজতেমা মাঠ৷

ইতোমধ্যেই কয়েক বিঘা জমি নিয়ে একটি বিশাল টিনশেডের মসজিদ কায়েম হয়ে গেছে৷ শুনেছি মসজিদের জায়গা এক ব্যক্তিই দিয়ে দিয়েছেন৷ এই মসজিদকে ঘিরে হবে সিলেটের তাবলীগের বিশাল মারকায৷ এখান থেকেই পরিচালিত হবে জেলার সমস্ত দাওয়াতী কার্যক্রম৷

আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে দাওয়াতের অনুর্বর জমিন আজ উর্বর ভূমিতে পরিণত হয়েছে৷ এই উর্বরতাকে কাজে লাগাতে হবে৷ মেহনত করতে হবে৷ পানি সেচ করতে হবে৷ ফসল ফলাতে হবে৷ পরিচর্যা করতে হবে৷ ইন শা আল্লাহ ফলন হবে; বাম্পার ফলন৷

About Abul Kalam Azad

mm

এটাও পড়তে পারেন

আল্লামা আহমদ শফীকে কি আসলেই তিলে তিলে হত্যা করা হয়ছে?

আল্লামা শফী সাহেবের মৃত্যু নিয়ে ওনার খাদেম  শফীর সাক্ষাৎকার। সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০। ...