সাকিব মুস্তাবি :
ইতিহাস সম্পর্কে সামান্যতম ধারণা রাখেন অথচ চেঙ্গিস খানের নাম শোনেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম অপরাজিত জেনারেল তিনি। তার সমকক্ষ সেনাপতির সংখ্যা মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন। যিনি এককভাবে জয় করেছিলেন পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি অঞ্চল এবং যিনি একই সাথে ৪ কোটি নিরাপরাধ মানুষের মৃত্যুর দায়ী। ধ্বংস, হত্যা, চাতুর্য, ক্ষমতা, লিপ্সা এবং রণকুশলতার এক অভূতপূর্ব মিশেলে গড়া চেঙ্গিস খানের জীবন কাহিনী যেন একটি জীবন্ত সিনেমার মত। তার ঘটনা বহুল জীবনের রোমাঞ্চকর উত্থান পতন এবং অচিন্তনীয় ধ্বংসলীলা সম্পর্কে না জানলে ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ত আপনার অজানাই থেকে যাবে। তাই চেঙ্গিস খানের জীবনের কিছু বিস্ময়কর তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের ফিচারটি।
জন্ম ও জন্মস্থান
মঙ্গোলিয়ার স্তেপ বা তৃণ চারণভূমিতে জন্ম হয়েছিল ইতিহাস সৃষ্টিকারী দাপুটে এই বিজেতার। ধারণা করা হয় চেঙ্গিসে জন্মস্থান ছিল উত্তর মঙ্গোলিয়ার খেনতি পর্বতমালার অন্তর্ভুক্ত বুরখান খালদুন পর্বতের খুব কাছে দেলুন বলদাখ নামের এক জায়গায়। সেটা জন্ম খুব সম্ভবত ১১৬২ সালে। বলা হয়ে থাকে ওনন নদীর পাড়ে তৃণচারণ ভূমিতেই তার বেড়ে ওঠা।
চেঙ্গিস তার প্রকৃত নাম নয়
যদিও সারা পৃথিবীর কাছে তিনি পরিচিত চেঙ্গিস খান নামে, তবে এই বিশ্ব বিজেতার আসল নাম কিন্তু চেঙ্গিস নয়। “চেঙ্গিস খান” তার উপাধি। “তেমুজিন” তার প্রকৃত নাম। অনেক যুদ্ধ এবং রক্তপাতের পর ১২০৬ সালে তেমুজিন যখন সমগ্র মঙ্গোলিয়ান স্তেপের একক অধিপতি হিসাবে আবির্ভূত হন তখন তাকে “চেঙ্গিস খান” উপাধি দেওয়া হয়। যার বাংলা অর্থ খুব সম্ভবত সমগ্র পৃথিবীর অধিপতি বা এই জাতীয় কিছু। হয়ত একারণেই তার পিতৃদত্ত নাম তেমুজিন কালের অতলে হারিয়ে গেছে চেঙ্গিস নামের গৌরব ও পরাক্রমের কাছে।
বাল্যকাল ও প্রাথমিক জীবনের প্রতিকূলতা
চেঙ্গিস খানের ছেলেবেলা ছিল ঘটনাবহুল। চেঙ্গিসের পিতা ছিলেন স্থানীয় গোত্রপতি। তাই আভিজাত্য ছিল চেঙ্গিস খানের জন্মগত। মঙ্গোল রীতি অনুসারে বার বছর বয়সে বিয়ে দেওয়া হয় তাকে বোর্তে নামের এক ফুটফুটে মেয়ের সাথে । তবে ছোট্ট তেমুজিনের কপালে সুখ বেশি দিন সইল না।সে সময়ের ইউরেশিয়ান স্তেপ অঞ্চলে এখনকার দিনের আধুনিক জাতি রাষ্ট্রের মত একক কোন জাতি বসবাসা করত না। বরং লক্ষ লক্ষ বর্গমাইল জুড়ে বিস্তৃত এই তৃণচারণ ভূমি বিভক্ত ছিল বিভিন্ন গোত্রে গোত্রে, দলে ও উপদলের মাঝে। না ছিল তাদের সরকার কিংবা আইন কানুন। গোত্র বা কবিলা তান্ত্রিক সমাজে গোত্রের রীতিনীতিই ছিল চূড়ান্ত। ছিলনা পুলিশ, কোটাল কিংবা কাজী। ইউরেশিয়ান স্তেপ অঞ্চলে বিভিন্ন তাতার, টার্কিক এবং মোঙ্গল গোত্র বসবাস করত। চেঙ্গিসের জন্মের সময় স্তেপ ভূমিতে ছিল তাতারদের বড্ড আধিপত্য।চেঙ্গিসের পিতা ছিলেন তাতারদের ঘোর শত্রু। মোঙ্গল জনশ্রুতি অনুসারে তাতারদের দেওয়া বিষমিশ্রিত ঘোড়ার দুধ পানে মৃত্য হয়েছিল চেঙ্গিসের পিতার।
পিতার মৃত্যুর পর অপ্রাপ্ত বয়স্ক তেমুজিনের নেতৃত্ব মেনে নিতে চাইলনা তার গোত্রের লোকজন। তাই একে একে গোত্রের সব মানুষ তাদের পরিবারকে রেখে চলে যেতে শুরু করল। এই সময়টা ছিল চেঙ্গিস খানের জীবনের সবেচেয়ে কঠিন সময়। বালক চেঙ্গিস পরবর্তী জীবনের বিপদসঙ্কুল পথ চলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন সে সময় থেকেই। শৈশবের প্রতিকূলতা তাকে তিলে তিলে মজবুত করে গড়ে তুলছিল ভবিষ্যতের জন্য। চেঙ্গিসের চরিত্রের কঠোরতা কিন্তু বাল্যকাল থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। মাত্র তের বছর বয়সে নিজের সৎ ভাইকে হত্যা করেছিলেন নিখুঁত তীরন্দাজ বালক তেমুজিন। হত্যার কারণ খুব সামান্য। খাবারের ভাগাভাগি নিয়ে ঝগড়া।
যৌবন ও উত্থানকাল
১৭ বছর বয়সে তেমুজিন ঘরে তুলে আনলেন তার বাল্যবধূ বোর্তেকে। বহুগামী চেঙ্গিসের জীবনের হাজার হাজার নারীর সঙ্গ আসলেও বোর্তে ছিল তার প্রথম ও শেষ ভালবাসা। অসংখ্য সন্তানের পিতা হওয়া সত্ত্বেও শুধু বোর্তের গর্ভে জন্ম নেওয়া চার ছেলেকেই উত্তরাধিকারী হিসাবে মনোনীত করেছিলেন তিনি। বোর্তে আর তেমুজিনের এই ভালবাসা ইতিহাসে বেঁচে আছে অনন্য হয়ে। বেঁচে আছে বোর্তের গর্ভে জন্ম নেওয়া চেঙ্গিসের চার ছেলের নাম জোচি, তুলুই, ওদেগিই, চুঘতাই খানের মাধ্যমে।
সে যাই হোক। বোর্তেকে নিয়ে খুব বেশি দিন একসাথে থাকা হল না তেমুজিনের। কিছুদিনের মধ্যেই আবারও এল বিচ্ছেদ। প্রতিপক্ষ অতর্কিত হামলা চালিয়ে হত্যা করল তেমুজিনের গোত্রের লোকদের সেই সাথে তুলে নিয়ে গেল বোর্তেকেও। এই ঘোর বিপদে তেমুজিন পিতৃবন্ধু তুঘরুল খানের শরণাপন্ন হলেন। তুঘরুল খান ছিলেন এক শক্তিশালী গোত্র প্রধান এবং চেঙ্গিসের পিতার রক্তের ভাই। সেকালে মোঙ্গলরা ছোটবেলায় ব্লাড ব্রাদার বা রক্তের ভাই সম্পর্কে আবদ্ধ হতেন হাত কেটে রক্ত বিনিময় করে। ব্লাড ব্রাদাররা আজীবন একে অপরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতেন। এছাড়াও বোর্তেকে উদ্ধার করতে চেঙ্গিস সাহায্য চাইলেন তার নিজের “রক্তের ভাই” জমুখার কাছে। অবশেষে উদ্ধার করা হল বোর্তেকে। ফিরিয়ে আনার কিছুদিন পরেই বোর্তের গর্ভে জন্ম নিল চেঙ্গিসের বড় ছেলে জোচি। কিন্তু শত্রু শিবির থেকে বোর্তের মুক্ত হওয়ার মাত্র নয় মাস পর জন্ম হওয়ায় জোচির পিতৃ পরিচয় নিয়ে কানাঘুষা শুরু হল। তবে চেঙ্গিস আজীবন জোচিকে নিজের সন্তান হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন।
আস্তে আস্তে জমুখা ও তুঘরুলের সহযোগিতায় শক্তিশালী হয়ে উঠছিলেন তেমুজিন। তবে উচ্চাভিলাষী তেমুজিন প্রস্তুত হচ্ছিলেন আরও বড় কোন সাম্রাজ্যের মালিক হওয়ার জন্য। তিনি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের জন্য বংশ পরিচয়ের চেয়ে যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিতেন যেটা ছিল মোঙ্গল রীতি বিরুদ্ধ এবং তার রক্তের ভাই জমুখার কাছে খুবই অপছন্দনীয়। এছাড়া দুজনেরই চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল একাধিকপত্য কায়েম করার। তাই দুজনের মধ্যে সংঘাত অনিবার্য হয়ে দাঁড়াল। এককালে তেমুজিনের রক্তের ভাই জমুখা পরিণত হলেন চেঙ্গিসের ঘোর দুশমনে। সময়ের সাথে সাথে আধিপত্য বিস্তারের এই সংঘাত কমলনা বরং বেড়েই চলল।
তবে চূড়ান্ত মীমাংসা পেতে বেশি দিন অপেক্ষা করতে হল না। চেঙ্গিস খানের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটি ঘটল ১২০৬ সালের দিকে অর্থাৎ চেঙ্গিসের বয়স যখন মোটামুটি ৩৫ বছর। মঙ্গোলিয়ান স্তেপ তখন দুই শিবিরে বিভক্ত। একদিকের নেতৃত্বে চেঙ্গিস অন্যদিকে জমুখা। জুমখার উপাধি তখন “গুর খান”। তেমুজিনের সাথে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ জমুখার পরাজয়ের পর জমুখার লোকেরাই তাকে চেঙ্গিসের হাতে তুলে দেয়।
তবে চেঙ্গিস খানের কাছে সবচেয়ে মারাত্মক অপরাধ ছিল বিশ্বাসঘাতকতা। জমুখার যে জেনারেলরা চেঙ্গিসের কাছে পুরস্কৃত হওয়ার আশায় নেতাকে তুলে দিয়েছিল শত্রুর কাছে তাদের বিশ্বাসঘাতকতার পরিণতি হয়েছিল খুবই ভয়ঙ্কর। চেঙ্গিস তাদের সবাইকে বিশ্বাসঘাতকতার অপরাধে ফুটন্ত পানিতে সেদ্ধ করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। জমুখাকে তার নিজের ইচ্ছা অনুসারেই মোঙ্গল রীতি অনুসাতে পিঠ ভেঙে হত্যা করা হয়েছিল। যদিও চেঙ্গিস জমুখাকে হত্যা করতে চান নি বলে বেশ কিছু সূত্রে উঠে এসেছে কিন্তু জমুখা নিজেই পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে বেঁচে থাকতে চাননি। জমুখাকে পরাজিত করার পর মঙ্গোলিয়ার বাকি গোত্রগুলোও একে একে চেঙ্গিসের বশ্যতা মেনে নিতে থাকে। সে বছরই তাকে “চেঙ্গিস খান” উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
রাজ্য জয় ও ধ্বংসলীলা
“চেঙ্গিস খান” হওয়ার পর তেমুজিন আরও ২১ বছর বেঁচে ছিলেন আর সেটাই ছিল তার জীবনের স্বর্ণযুগ। সেই সময়ের মধ্যে তিনি জয় করেছিলেন চীন, ভারত, ইউরোপ, ভারত ও এশিয়ার প্রায় ১ কোটি বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত অঞ্চল। ১২১১ সালে পশ্চিম Jin সাম্রাজ্য, ১২১৫ সালের ঐশ্বর্যমণ্ডিত xia সাম্রাজ্য, ১২২০ সালে প্রবল প্রতাপশালী খোয়ারেজেম সাম্রাজ্য তার পদানত হয়। এছাড়া আফগানিস্তান হয়ে ভারতের পাঞ্জাব পর্যন্ত চলে এসেছিল মোঙ্গল বাহিনী। ককেশাস ও কৃষ্ণসাগরের আশে পাশের অঞ্চল গুলোও একে একে অন্তর্ভুক্ত থাকে চেঙ্গিসের সাম্রাজ্যে। ইউরোপে চেঙ্গিসের জয়রথ পৌঁছেছিল বুলগেরিয়া হয়ে ইউক্রেন পর্যন্ত। অবাক করা ব্যাপার চিরকাল অজেয় রাশিয়া জয় করতে চেঙ্গিস খানের বাহিনীর একটুও বেগ পেতে হয়নি। অবশেষে ১২২৭ সালে মৃত্যু হয় পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্যে বিজেতার। চেঙ্গিসের সমাধি কোথায় সেটা কেউই জানেনা। কারণ তার শেষকৃত্যের উপস্থিত সবাইকে হত্যা করা হয়। আর চেঙ্গিসের উত্তরাধিকারীরাও সেটা গোপন রাখেন। তাই আজ পর্যন্ত চেঙ্গিসের সমাধি এক অজানা রহস্য।
এছাড়া চেঙ্গিস খান নিজের প্রতিকৃতি আঁকা মোটেও পছন্দ করতেন না। তাই চেঙ্গিস খানের কোন আসল ছবি আমাদের কাছে নেই। যেগুলো তার ছবি বলে চালিয়ে দেওয়া হয় সেগুলো আসলে পরবর্তী প্রজন্মের শিল্পীদের কল্পনা। নিজের জীবন কাহিনী তিনি তার জীবদ্দশাতেই লিপিবদ্ধ করার আদেশ দেন যা “সিক্রেট বুক অফ মোঙ্গলস” নামেই বেশি পরিচিত। বলতে গেলে রহস্যময় এই মানুষটির জীবন সম্পর্কে জানার একমাত্র বিশ্বস্ত সূত্র এটি।
মোঙ্গল বাহিনী বর্বরতা
চেঙ্গিস খানের রাজ্য জয় করার পদ্ধতি ছিল ভয়াবহ রকমের বীভৎস। কোন শহর জয়ের আগে সে শহরের মানুষদের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের আদেশ করা হত। সেটা না মেনে নিলে শুরু হত অবরোধ, তারপর একসময় অনাহার ক্লিষ্ট নগরবাসীর উপর চালানো হত অতর্কিত হামলা। নারী, পুরুষ, শিশু কেউই মোঙ্গল বাহিনীর বর্বরতা থেকে বাঁচতে পারেনি। মারভ, বেইজিং, সমরখন্দের মত মধ্যযুগের জনবহুল শহরগুলো মোঙ্গল বাহিনীর পাশবিকতায় একদম মাটির সাথে মিশে গিয়েছিল। বর্তমান তুর্কমেনিস্তানের উরগেঞ্জ ছিল মধ্যযুগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর একটি। সেটিও মোঙ্গল বাহিনী পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলে। প্রায় ১২ লক্ষ মানুষের এই শহর জয় করার সময় চেঙ্গিসের বাহিনীর ৫০ হাজার সৈনিকের প্রত্যককে গড়ে ২৪ জন করে নিরীহ মানুষ হত্যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
মোঙ্গল বাহিনী যেসব এলাকায় হামলা চালাত সেগুলো হয়ে পড়ত জনশূন্য। হাজার হাজার বর্গমাইল জুড়ে বিস্তৃত সভ্যতা পরিণত হত ভূতুড়ে নগরীতে। আজও সেন্ট্রাল এশিয়ার বেশ কিছু শহরের ধ্বংসাবশেষ টিকে আছে মোঙ্গল আক্রমণের ভয়াবহতার সাক্ষী হিসাবে। ধারণা করা হয় চেঙ্গিস খানের বিভিন্ন অভিযানে মারা পড়েছিল প্রায় ৪ কোটির মত সাধারণ মানুষ যা তৎকালীন পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ১১ শতাংশ।
চেঙ্গিস খানের জীবন কাহিনী নিয়ে এত কিছু জানার পর একটি প্রশ্ন সবার মনে আসতে বাধ্য “মানব ইতিহাসে চেঙ্গিসের স্থান তাহলে কোথায়” ?
প্রশ্নটির উত্তর বোধহয় এত সহজ নয়। কোটি কোটি নিরীহ মানুষের হত্যাকারী এক যুদ্ধবাজ বর্বর এক জেনারেলকে আপনি নিছক ঘাতক হিসাবে ইতিহাসে স্থান দিতে পারবেন না। কারণ চেঙ্গিসের উত্থান পাল্টে দিয়েছিল পৃথিবীর চেহারা সূচনা করেছিল নতুন এক অধ্যায়ের। তাই যতই ধিক্কার জানানো হোক চেঙ্গিস খানের ঐতিহাসিক গুরুত্বকে কেউই অস্বীকার করতে পারবেনা। আর সেজন্যই চেঙ্গিস পৃথিবীর ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন ধ্বংস ও রক্ত পাতের এক ভয়াল প্রতিশব্দ হিসাবে। তবে মোঙ্গলদের কাছে এখনও তিনি দেবতুল্য। চেঙ্গিস খানকে নিয়ে এখনও তারা গর্ব করে। চেঙ্গিস এখনও তাদের কাছে একটি অনুপ্রেরণার নাম।
তথ্যসূত্র
১) wikipedia
২) history.com
৩) The 100 by Michael H Hart