ভারতের দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) নিখোঁজ হওয়া ছাত্র নাজিব আহমেদের উদ্ধারের দাবিতে দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে তুমুল বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার ওই বিক্ষোভে শামিল হওয়ার জন্য নাজিব আহমেদের মা ফাতিমা নাফিস সেখানে যেতে গেলে দিল্লি পুলিশ তাকে আটক করে। এ সময় পুলিশ বেশ কিছু ছাত্রকেও আটক করে।
ফাতিমা নাফিস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাকে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার হাতে পায়ে ব্যথা। আমি উচ্চ রক্তচাপের রোগী। আমার অবস্থা ভালো নয়। আমি তো এটাই বলেছি, আমার ছেলেকে এনে দিন। আমি তাকে নিয়ে চলে যাব।’
পুলিশ বলছে, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার দায়ে এসব লোককে আটক করা হয়। দিল্লি পুলিশের দাবি, তারা ১৪৪ ধারা জারিকৃত এলাকায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন।
এদিকে, নিখোঁজ ছাত্র নাজিব আহমেদের মাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়ায় এর তীব্র সমালোচনা করেছেন ‘আপ’ নেতা ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
তিনি টুইটারে এক ছবি শেয়ার করেন যাতে নাজিব আহমেদের মাকে পুলিশ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি ওই ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘নাজিব, যিনি ২৩ দিন ধরে নিখোঁজ হয়ে রয়েছেন, তার মাকে দিল্লি পুলিশ টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে মৃত রাম কিষাণের ছেলেকেও পেটানো হয়েছিল।’
কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনি যত যুবকদের থামাবেন, ওরা ততই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে।’
কেজরিওয়াল আজ নাজিব নিখোঁজ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখোপাধ্যায় বিষয়টি আমলে নেয়ার আশ্বাস দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এ ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করবেন বলে জানিয়েছেন।
জেএনইউ-র বায়োটেকনলজি বিভাগের ছাত্র নাজিব আহমেদের সঙ্গে গত ১৪ অক্টোবর হোস্টেলে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি’র ছাত্র সংগঠন এবিভিপি’র কিছু সমর্থকের সঙ্গে তার সংঘাত বাধে। তার পর থেকেই খোঁজ নেই নাজিবের। তার সহপাঠীদের অভিযোগ, সেদিন এবিভিপি’র সদস্যরা নাজিবকে ব্যাপক মারধর করেছিল। এবিভিপি নেতারা অবশ্য নাজিবকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
সূত্র: পার্স টুডে