জহির বিন রুহুল ● কওমি শিক্ষাসনদের স্বকৃতি চলমান কওমি মাদরাসা শিক্ষা কমিশনে চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ শফীর নেতৃত্বেই স্বীকৃতি আসছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, আলেমদের পরামর্শের বাইরে কোনো কিছু হবে না। কওমি স্বীকৃতি তাদের অধিকার।
আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের প্রস্তাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইনশাআল্লাহ আমরা সতের সালের কওমি সনদের মান দিয়ে পরীক্ষা নিতে পারবো।
নতুন কোনো কর্তৃপক্ষ গঠন হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান কমিশনের মাধ্যমেও পরীক্ষা নেওয়ার কাজ চালানো যেতে পারে।
রবিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপাড়ার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের বাসভবনে আলেমদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আলেমদের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার গ্র্যান্ড ইমাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। তিনি বলেন, সহজতর প্রক্রিয়ায় স্বীকৃতি হওয়া উচিত।
আল্লামা মাসঊদ শাহ আহমদ শফীকে চেয়ারম্যান করার প্রস্তাব দিলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইনশাআল্লাহ বর্তমান কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বেই সতের সালের শিক্ষাসনদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
স্কুলের শিক্ষাসিলেবাসে ধর্ম অবমাননাকর কিছু কিছু উক্তি থেকে যাওয়ার বিষয়টি আল্লামা মাসঊদ তুলে ধরলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই বিষয়গুলো আমরা দেখেছি। কিছু সংশোধনী এনেছি। কিছু ছাপা হয়ে যাওয়ার পরও আবার সম্পাদনা করে ছাপতে দিয়েছি।
এরপরও ভুল থাকতে পারে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভুল থাকলে আবার দেখা হবে। পরবর্তীতে এই সংশোধনী কমিটিতে আলেমদেরকেও রাখার কথা চিন্তা করছি।
আল্লামা মাসঊদ একলাখ আলিম, মুফতি ও ইমামের স্বাক্ষর সম্বলিত মানবকল্যাণে শান্তির ফাতওয়া শিক্ষামন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
এ সময় আলেমদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আবদুর রহীম কাসেমী, মুফতি ইবরাহীম শিলাস্থানী, মাওলানা নাসির উদ্দীন কাসেমী, মাওলানা শরফউদ্দীন, মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ, মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা হোসাইনুল বান্না, মুফতি আবদুল কাইয়ুম খান, মাওলানা সাঈদ নিজামী, মাওলানা আবদুল আলীম ফরিদী, মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন, মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন, মাওলনা ইলিয়াস আহমদ কাসেমী, মাওলানা মাসউদুল কাদির, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা ফারুক হোসাইন, মাওলানা আবদুল্লাহ শাকির, মাওলানা জহির বিন রুহুল প্রমুখ।