বুধবার, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ বিকাল ৪:২৭
Home / প্রতিদিন / আহলে বাইত, কারবালা ও ইয়াযীদ

আহলে বাইত, কারবালা ও ইয়াযীদ

মুফতি শায়খ জিয়া রাহমান ::

hijri-salআহলে বাইত তথা নবী-পরিবারের প্রতি অন্তরে ভালোবাসা পোষণ করা ঈমানের দাবি৷ নবীজীর ভালোবাসাই উম্মতের ভালোবাসা৷ নবীয়ে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত হাসান ও হুসাইন রাযিয়াল্লাহু আনহুমাকে প্রচণ্ড রকমের ভালোবাসতেন৷ তাই আমাদের ভালোবাসাও এই দুই মহান ব্যক্তিত্বের সঙ্গেই রয়েছে৷

তাই বলে এই নয় যে, ইয়াযীদ ইবনে মুআবিয়াকে অযৌক্তিকভাবে গালিগালাজ ও লা’নত-অভিশাপ করতে হবে৷ ক্ষমতার মোহে অন্ধ, ভোগ-বিলাসিতায় মত্ত ইয়াযীদ নিঃসন্দেহে এক হতভাগা শাসক৷ কারণ তার অধিনস্থ ও বিশ্বস্ত সেনাপতি উবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদের নেতৃত্বেই ইতিহাসের নিকৃষ্টতম ও বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়৷ হযরত হুসাইন রা, ও সঙ্গী-সাথীগণ কারবালা প্রান্তরে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেন৷ এর দায় ইয়াযীদ কোনোভাবে এড়াতে না পারলেও ইয়াযীদকে সরাসরি হত্যাকারী আখ্যা দিয়ে লা’নত-অভিশাপ করাও ইনসাফের দাবি নয়৷

হুসাইন রা, যার হাতে শাহাদাত বরণ করেন, যার হাত হুসাইন রা,এর রক্তে রঞ্জিত হয়েছে, নিঃসন্দেহে সে ইতিহাসের অন্যতম নিকৃষ্টতম ব্যক্তি৷ সীমার বিন যুল-জাওশান নামক হতভাগা লোকটির নিকৃষ্টতম হাত দিয়েই ইতিহাসের এই ন্যাক্কারজনক কাজটি সংঘটিত হয়েছে৷ যে বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলো উবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদ৷ সব ঘৃণা আর থুতু তাদের প্রতি বরাদ্দ থাকাটা অযৌক্তিক কিছু নয়৷ কিন্তু ইয়াযীদ; যে কী না নিজের ক্ষমতা নিষ্কন্টক করতে কেবল চেয়েছিল হুসাইন রা, যেন কুফায় প্রবেশ করতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে৷ কখনোই হুসাইন রা,কে হত্যা করা তার উদ্দেশ্য ছিলো না৷

তাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকীদা হচ্ছে, ইয়াযীদের প্রতি ভালোবাসাও রাখব না৷ আবার ইয়াযীদকে কাফির আখ্যা দেয়া, গালিগালাজ, লা’নত-অভিশাপ করাও যাবে না৷ কারণ ইয়াযীদকে গালি দিলে তো সওয়াবের আশা নেই৷ বরং গালি দিলে গোনাহের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে৷ বরং এক্ষেত্রে তাকে একজন অন্য সাধারণ ত্রুটিপূর্ণ মুসলিম শাসক হিসেবে দেখাই ইনসাফের দাবি৷

About Abul Kalam Azad

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...