কমাশিসা বিশেষ ডেস্ক: আগামি ৩ অক্টোবর সোমবার সকল বোর্ড গুলোর সমন্বয়ে নীতিনির্ধারনী বৈঠকের জন্য আল্লামা আহমদ শফী দামাত বারাকাতুহুম নির্দেশ দিয়েছেন। সে মতে প্রস্তুতিও চলছে। তার সাথে কিছু মন্দ নিউজও আমাদের কানে আসছে।আমরা এখন কানে থালা মেরে রাখবো, দেখতে চাইবো অপেক্ষায় থাকবো চুড়ান্ত দিকনির্দেশনার জন্য। তবে কিছু পরামর্শ মূলক কথা বলবো।আমরা আশা করবো সকল বোর্ডের প্রতিনিধিগণ যেন উপস্থিত থাকেন। আর সকল উপস্থিত যাতে হোন সেরকম ইন্তেজামও যেন থাকে। এমন যেন না হয় বেছে বেছে দাওয়াত দিয়ে রাজনৈতিক কুটকৌশল অবলম্বনের মতো হঠকারি কিছু করা। টুকটাক আওয়াজ যেগুলো আসছে তা যেন মিছা হয়। সকল কল্পনা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে কওমি আকাশে যেন একফালি পুর্ণিমার চাঁদ উঠে। অনাগত ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় ইতিহাস তারা সৃষ্টি করে নিতে পারেন।
ফরমায়েশী গবেষণা কেউ নিয়ে উপস্থিত হবেন কিনা আমরা জানিনা। তবে নিজস্ব প্রচেষ্টায় দু’একজন হয়তো কিছু নিয়ে যাবেন। বিশেষ করে সৈয়দ শামছুল হুদা ভাইর খসড়া প্রস্তাব গুলো খুব গুরুত্বপুর্ণ। আল্লাহর ওয়াস্তে গদি নিয়ে পদ ও পদবী নিয়ে যেন কোন দুরত্ব সৃষ্টি না হয়। কিভাবে কোন সুরতে মংগল বয়ে নিয়ে আসবে গোটা উম্মাহর তাই ভাববেন। স্বীকৃতি যেন বিক্রিতে পরিণত না হয় সেইদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন। শুধু যদি কে বসবেন আর কাকে নামাবেন এমন আলোচনায় সময় ব্যয় হয় তাহলে ফলাফল জিরো হবে। আমরা আলামতে দেখতে পাচ্ছি কোন প্রকার আগাম প্রস্তুতি পরিকল্পনা ছাড়াই চলছে মিটিংগের প্রস্তুতি। একটি বিল্ডিং তৈরির জন্য আগে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন তারপর স্ট্রাক্চার পরিকল্পনা তারপর ইস্টেমেইট মেস্তরি নির্ধারণ অতঃপর সামানা ক্রয় করে কাজের উদ্বোধন। কাজ উদ্বোধনের জন্য একজন ঠিকাদার নিয়োগ। সে হিসাবে বোর্ড কর্তৃপক্ষ আগে পরিকল্পনা তৈরি করুন। আপসের মধ্যে বসে পরিকল্পনা চুড়ান্ত করুন। সবকিছু রেডি করে নেতা নির্বাচনে হাত দিন। বোর্ডের পদতো আজীবন নয়। সময়ে সময়ে বদল হতে থাকবে। একটি সর্বোচ্চ পরামর্শ কমিটি তৈরি করে তাদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে তা নির্ধারণ হতে পারে যদি আলোচনার মাধ্যমে তা সম্ভব না হয় বা একাধিক যোগ্য চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকেন। মহাসচিবের পদ তথধিক গুরুত্বপুর্ণ অন্য যে কোন পজিশনের চেয়ে। একজন চৌকশ যোগ্য চেতনা সম্পন্ন মেধাকে রেডি করুন। একাধিক ব্যক্তি হলে ভোটের মাধ্যমে নির্ধারীত হউক।
প্রসংগ বোর্ড সমুহের কপালে কি হবে?
সকল বোর্ড বিলুপ্তির কোন দরকার আছে বলে মনে করিনা। বিভাগওয়ারী জোনে বিভক্ত করে ৮টি বোর্ডকে আট বিভাগের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহনের দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে । বেফাকের যেহেতু দেশব্যাপী সদস্য আছে। সেহিসাবে ক্রমান্বয়ে বেফাককে বিশ্বাবিদ্যালয়ের মানে উন্নিত করে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক ডিগ্রির পরীক্ষা গ্রহনের দায়িত্ব দেয়া যুক্তিযুক্ত। সরকার কর্তৃক কমিশন ‘কওমি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ’ কে সরাকারি আইন ও সকল বোর্ডের সাথে সমন্বয়ের কাজ চালিয়ে যাওয়া। সিলেবাস প্রণয়ন সহ শিক্ষা সংক্রান্ত সকল প্রকার কাজ এই বোর্ডের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। সচল বোর্ডগুলো কেন্দ্রীয় বোর্ডের কার্যক্রম গুলো কেবল বাস্তবায়ন করবে। স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের দেখাশোনা স্থানীয় বোর্ডগুলো করবে। বিকেন্দ্রীকরণ হলে কাজের সুবিধা হবে। তিলে তিলে গড়া বোর্ডগুলোও বেকার থাকলোনা। বাড়তি আঞ্চলিক বোর্ডগুলোকে পরামর্শের মাধ্যমে অন্যবোর্ডের সাথে মিলিয়ে দেয়া।
আবারও বলছি কওমি শিক্ষাবোর্ড নিয়ে রাজনৈতিক গুটি চালাবেন না। রাজনীতি করুন স্বচ্ছন্ধে ভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ে নয়।একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক যাতে আমরা একবার হলেও একজাগায় বসতে পারি চেহারা ছবি একে অন্যের দেখি। সুন্দর ভবিষ্যতের আশায় লাখ লাখ তরুণ বুক বেঁধে আছে। তাই ব্যক্তিগত স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে হলেও কাঙখিত মন্জিলে আমাদের যেতেই হবে। মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলের প্রচেষ্টাকে কবুল করুন আমীন।