বিলম্বে হলেও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া কওমী মাদরাসার সনদের স্বীকৃতির বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করায় ‘কওমী শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদ’ অভিনন্দন জানিয়েছে। পরিষদের আহ্বায়ক মুফতি আবুল কাসেম ও সদস্যসচিব মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ একবিবৃতিতে বলেন, বিলম্বে হলেও বেফাকের বোধোদয়ে আমরা খুশি। স্বীকৃতি এ দেশের কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থীদের আমানত। কওমী মাদরাসার স্বকীয়তা রক্ষা করা, দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতির উপর যথাযথভাবে স্বীকৃতি তাদের হাতে পৌঁছে দেয়া অনেক বড় দায়িত্ব। বেফাক বৈঠকে শীর্ষ সবাই স্বীকৃতির পক্ষে মতামত ব্যক্ত করায় স্বীকৃতি পরিষদ সন্তোষ প্রকাশ করছে।
স্বীকৃতির সঙ্গে আমেরিকাকে টেনে আনাকে মুর্খতা দাবি করে তারা বিবৃতিতে বলেন, স্বীকৃতি অধিকার। আলেমদের তত্ত্বাবধানে তা আদায় হলে এখানে আমেরিকা কিভাবে আসে। যারা কথা কথায় আমেরিকা-ভারতকে টেনে আনে তাদের বুদ্ধি ও চিন্তার পরিপক্বতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে পরিষদ নেতৃবৃন্দ।
স্বীকৃতি অগ্রযাত্রা এখন মহাসড়কে দাবি করে তারা বিবৃতিতে বলেন, ইরান-তুরান বলে স্বীকৃতির অগ্রযাত্রাকে আর রুখে দেয়া যাবে না। আজকের তারুণ্য যেকোনো মূল্যে স্বীকৃতি চান। শাক দিয়ে মাছ ঢাকলে এর পরিণাম শুভ হবে না।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে মাওলানা মাসউদুল কাদির স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো কওমী শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রণালয় কতৃক গঠিত যাচাই-বাছাই ও নিরীক্ষণ কমিটিকে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে তারা বলেন, চিন্তাশীল যোগ্য আলেমদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আপনারা এগিয়ে যান। অনেকেই মুখস্থ বুলি আওড়াচ্ছে দাবি করে তারা বলেন, স্বীকৃতির অগ্রযাত্রাকে মহাসড়ক থেকে নামানোর জন্যই যাচ্ছেতাই বলে যাচ্ছে অনেকে।
উল্লেখ্য, স্বীকৃতি বিষয়ে ২ অক্টোবর ২০১৬ রবিবার সন্ধ্যায় বারিধারায় জরুরি বৈঠকে বসছে কওমী শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদ।
সূত্র : কওমিনিউজ