কমাশিসা ডেস্ক: গৃহযুদ্ধ-কবলিত সিরিয়ার ভেতরে নজরদারি কার্যক্রম চালাতে মানুষবিহীন বিমান (ড্রোন) ওড়ানো শুরু করেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা গত সোমবার এ কথা বলেছেন। সিরিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে মিত্র দেশ রাশিয়া কথিত সামরিক কার্যক্রম শুরুর পর একে দেশটির আকাশে প্রথম রুশ সামরিক কার্যক্রম হিসেবে দেখা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
মস্কোর সাম্প্রতিক তৎপরতাকে সিরিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের পরিকল্পনার জন্য একটি সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সিরীয় গৃহযুদ্ধ নিয়ে জোটের সঙ্গে কোনো প্রকার সমন্বয় ছাড়া দেশটির সীমিত আকাশসীমায় রুশ সামরিক যানগুলো কীভাবে তৎপরতা চালাবে, সে ব্যাপারে ধোঁয়াশা রয়েছে।
সিরিয়ার একটি অংশের নিয়ন্ত্রণে থাকা জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই শত্রু হিসেবে দেখছে। তবে আইএসকে ঠেকাতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে রাশিয়া সহায়তা করুক, তা চায় না যুক্তরাষ্ট্র।
সিরিয়ায় রুশ ড্রোন ওড়ানোর বিষয়ে বাড়তি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। পেন্টাগন বলেছে, গোয়েন্দা-সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে তারা আলোচনা করে না। তবে সিরিয়ায় লড়াইয়ের ময়দানে কী কী ঘটছে, সেসব বিষয়ে তারা পুরোপুরি অবগত।
হোয়াইট হাউস স্বীকার করেছে, সিরিয়ায় মস্কোর আসল উদ্দেশ্য তাদের কাছে পরিষ্কার নয় এবং প্রেসিডেন্ট বাশারকে সহায়তা করতে সেখানে রুশ সামরিক কার্যক্রম সম্প্রসারণের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগের সঙ্গে নিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি গত সপ্তাহে বলেন, তাঁরা সিরিয়ায় আইএসের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে দমনে মস্কোর ভূমিকাকে স্বাগত জানান। কিন্তু সিরীয় গৃহযুদ্ধের কারণে বর্তমানে যে হারে শরণার্থী সংকট শুরু হয়েছে, তা এই গৃহযুদ্ধের ইতি ঘটানোর প্রয়োজনীয়তাকে আবার সামনে এনেছে। দেশটিতে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটলেই তা সম্ভব হতে পারে।
পুতিন-নেতানিয়াহু মতৈক্য’: সিরিয়ায় ‘ভুল-বোঝাবুঝি’ এড়াতে সম্মত হয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মস্কোয় দুই নেতার মধ্যে গত সোমবার এক বৈঠকে এ সমঝোতা হয়েছে বলে এএফপির খবরে বলা হয়েছে। সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক উপস্থিতি জোরদার করা নিয়ে আলোচনার মধ্যে এই বৈঠক হলো।
সুত্র: অনলাইন পত্রিকা