হোটেল রুমে জায়নামাজ, কোরান শরীফ, কাবার দিক জানার জন্য কম্পাস, পশুর চর্বি ও অ্যালকোহল ছাড়া তৈরি শ্যাম্পু, সাবান – এসব কিছুই রয়েছে৷ মুসলিম পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এই ব্যবস্থা৷
ইউক্রেন ইস্যুকে ঘিরে পশ্চিমা বিশ্ব থেকে রাশিয়ায় পর্যটকদের উপস্থিতি কমে গেছে৷ এক হিসেবে সেটা প্রায় ৩০-৩৫ শতাংশ হতে পারে বলে জানা গেছে৷ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রাশিয়ার একটি হোটেল মুসলিম দেশের অতিথিদের আকর্ষণের চেষ্টা করছে৷
হোটেলটির নাম এয়ারোস্টার হোটেল৷ অবস্থান মস্কোতে৷ এই হোটেলটির ৩০৮টি রুমের মধ্যে ২০টিতেহালাল সেবা দেয়া হচ্ছে৷ শুরুতে যেসব সেবার কথা বলা হয়েছে তার সবই পাওয়া যাবে এসব রুমে৷ এর বাইরে নামাজ পড়ার জন্য নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা স্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ রয়েছে হালাল খাবার রান্নার জন্য আলাদা রান্নাঘর৷ সেখানে রান্না করার জন্য নতুন বাসনকোসনও কেনা হয়েছে৷
হোটেলের বিপণন পরিচালক লিওবোভ শিয়ান বলছেন, ‘‘আমাদের হোটেলের প্রায় ৭০ ভাগ অতিথিই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের৷ এর মধ্যে প্রায় ১৩ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় পাঁচ হাজার জন আসেন মুসলিম বিশ্ব থেকে৷ তাঁরা সবসময় আলাদা নামাজ পড়ার জায়গা ও বিশেষ খাবারের কথা বলতেন৷”
এই চাহিদা মেটাতে গিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করে৷ পরে মস্কোর ‘হালাল ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যান্ড সার্টিফিকেশন’ সংস্থার কাছ থেকে ‘হালাল’ সার্টিফিকেট লাভ করে৷
রাশিয়ায় প্রায় দুই কোটি মুসলমান বাস করলেও সেখানে মাত্র দুটি হোটেল ‘হালাল’ বলে অনুমোদন পেয়েছে৷ এদিকে এ বছরের প্রথম দিকে রাশিয়ার যে শহরে শীতকালীন অলিম্পিক আয়োজিত হয়েছিল সেই সোচির একটি হোটেল ‘হালাল’ হওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে৷ অলিম্পিক চলাকালীন মুসলিম অ্যাথলিটরা এমন হোটেলের চাহিদা অনুভব করেন বলে জানা গেছে৷
২০১৮ সালে রাশিয়ায় যখন বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে তখন সোচিতেও কয়েকটি খেলা হতে পারে৷ সে সময় মুসলিম দর্শকদের আকৃষ্ট করতে সোচির আরও কয়েকটি হোটেল হালাল হওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছে৷
সূত্র : ডি ডব্লিউ