রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ সকাল ১০:৫৮
Home / অনুসন্ধান / বিনাশী সভ্যতা! ৩০০- ৫০০ কোটি টাকার বাড়ি!

বিনাশী সভ্যতা! ৩০০- ৫০০ কোটি টাকার বাড়ি!

কমাশিসা অভিমত: অন্ন বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা এবং চিকিৎসা হলো মানুষের মৌলিক ৫টি অধিকার। রাষ্ট্র সাধ্যমত নাগরিকের জন্য তা নিশ্চিত করতে বাধ্য। অথচ আমাদের সমাজে বিত্তশালীরা কেবল রাষ্ট্রের সুবিধা ভোগ করছে। শুধু তা না, তারা লোপাটে ব্যস্ত। মাত্র ১০-২০ পার্সেন্ট লোক পুরো দেশটাকে জিম্মি করে লুটে পুটে খচ্ছে। ক্ষমতা অস্ত্র আদালত লাঠিয়াল সবকিছু তাদের দখলে। গরীব বঞ্চিতরা কথাও বলতে পারেনা প্রতিবাদ তো অনেক দূরের বিষয়। যে দেশের কোটি কোটি মানুষ সীমাহীন দরীদ্রতার মাঝে বসবাস করে অথচ একদল ধনের কুমিররা তাজমহল বানাতে মরিয়া। কার চেয়ে কে দামী ঝৌলুস পুর্ণ প্রাসাদ বানাবে তাতে চলছে প্রতিযোগিতা। আমরা এইসব অমানুষদের ধিক্কার জানাই। লুটেরাদের প্রতি জানাই হৃদয় নিংড়ানো ঘৃণা আর অভিশাপ। আল্লাহ তাদের সহীহ সমুজ এবং হেদায়েত করুন, আমীন।
লিখেছেন: ইকবাল হাসান জাহিদ

14333080_1316287555090601_8874712608332665787_nসিলেটের ৩০০ কোটি টাকার বাড়িকে হার মানিয়েছে বগুড়ার এই বাড়ি…

ধারনা করা হচ্ছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে বগুড়ার মোকামতলায়। অত্যাশ্চার্য বাড়িটি দূর থেকে দেখলে ভারতের আগ্রার তাজমহলের মত মনে হয়। সিলেটের মাহতাব উদ্দিনের কাজি ক্যাসেল ছিলো বাংলাদেশের সবচে ব্যয়বহুল বাড়ি। কিন্তু বগুড়ার কোন সে ব্যাক্তি যে নাকি ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে নির্মান করলো এমন অত্যাধুনিক বাড়ি। গত ১২ বছর ধরে নির্মান করে যাওয়া এই বাড়ির কাজ এখনো শেষ হয়নি। প্রসঙ্গত: কাজি ক্যাসেলের কাজ শেষ করতে লেগেছিলো ৮ বছর।

জানা যায়, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ করে বাড়ি নির্মাণের নজির আছে সিলেটে। সেই বাড়িটি প্রায় ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হয়। বগুড়ার এ বাড়িটি যেহেতু ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হয়েছে, তাই এখন এটিই হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি বাড়ি। তবে খরচের এই তথ্য এখনো আনুমনিক ধরা হচ্ছে। করাণ এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য এখনো মেলেনি।

বাড়িটির অবস্থান বগুড়ার মোকামতলা থেকে ২০ কিলোমিটার পূর্বে। প্রায় ১২ বছর ধরে নির্মাণ করা হয়েছে বাড়িটি। দেশ-বিদেশের মূল্যবান পাথর দিয়ে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে। সাধারণত এত টাকা খরচ করে বসবাসের জন্যে কেউ বাড়ি নির্মাণ করে না।

বাড়িটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এখনো কাউকে এটিতে বসবাস করতে দেখা যায়নি। বাইরে কয়েকজন কেয়ারটেকার সেটিকে পাহারা দিচ্ছেন। এখনো বাড়িটি ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রবেশ নিষেধ লিখে বাড়ির বাইরে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বাড়িটিকে নিয়ে একটি ভিডিও পাঠকদের জন্য দেওয়া হলো-

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...