মাওলানা আবু সুফিয়ান রাহতুল্লাহর মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহতও মর্মাহত।
কমাশিসা সম্পাদকীয় ডেস্ক: সিরিয়া ফিলিস্তিন আর কাশ্মিরের কত মানুষ রোজানা বোমার আঘাতে প্রাণ হারায়? ঠিক বাংলাদেশের কোণায় কোণায় রাস্তায় রাস্তায় কত মানুষ রোজানা মাতাল চালকের হাতে খুন হচ্ছেন?
বন্ধুরা রাজনীতি তো সবাই করছি। মানব বন্ধন ফতোয়া অংকন নাকে খতদিয়ে লাইনে লাইনে করছি। কিন্তু প্রতিটা দিন যে কত মায়ের কুল খালি হচ্ছে, কত নারী বিধবা হচ্ছে, কত যুবক আক্বদের শেরওয়ানীটা কেবল গায়ে জড়িয়েছে, কত যুবতী মেহদী হাতে হবু স্বামীর অপেক্ষায় উপলপ্রহর গুনছে, ষোড়শী ঠিকই কবুল বলেছে কিন্তু অপর কবুলটি আর শোনা হলোনা।এই গেল বছর ৫৭ জন স্কুল ছাত্রের সলীল সমাধী হলো। বিমান বন্দর থেকে সন্তানকে আগাইয়া নিতে আসা মা বাবা লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন। লাখে লাখে বণী আদম এতীম হচ্ছে। কিন্তু নেই কোন সুরাহা নেই কোন ভাল উদ্যোগ। পশু মানসিকতার দানবীয় চালকগুলোকে কি সামলাবার কেউ নেই? দুনিয়ার আরোতো দেশ আছে গাড়ি চলছে এক্সিডেন্ট হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তার কোন মিল নেই। যারা মরলো শুধু রোঁদন ছাড়া কোন ইনসাফ বিচার কিছুই নেই।এভাবে কি চলতে দেয়া যায়?এটা কি কোন সভ্য মানুষের সমাজ হতে পারে?
ফেবু বন্ধুদের অনুরোধ জানাই নিরাপদ সড়কের জন্য আইন আরো কঠোর করার আন্দোলন নিয়ে মাঠে নামতে হবে। বেপরোয়া খুনি চালকের অবশ্যই ফাঁসি দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের অবশ্যই ক্ষতিপুরণ দিতে হবে।এই আন্দোলনে আপনারা পুরো জাতির সাপোর্ট পাবেন। পুরো জাতি আপনার আমার পাশে দাঁড়াবে। তাই আসুন একযোগে নিরাপদ সড়কের ন্যায্য দাবী নিয়ে মাঠে ঝাপিয়ে পড়ি।

আন্দোলন শুরু হউক বিভিন্ন পর্যায়ে। লেখালেখি সেমিনার প্রতিবাদ সভা মানব বন্ধন সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মসুচি নিয়ে আগাইয়া যেতে হবে।
আসুন একটি জাতিকে অন্ততঃ রাস্তার ধংসযজ্ঞ থেকে মুক্তি দেই।