শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ সকাল ৬:৫৫
Home / কওমি অঙ্গন / কমাশিসার পক্ষে বিপক্ষে বিভিন্ন অভিযোগ কর্তৃপক্ষের সাফ জবাব!

কমাশিসার পক্ষে বিপক্ষে বিভিন্ন অভিযোগ কর্তৃপক্ষের সাফ জবাব!

দয়া করে চুলকানি মার্কা বক্তব্য যেন কেউ নিয়ে না আসেন এই অনুরোধ
বেফাক কমাশিসাকমাশিসা বিশেষ নিবন্ধ:
আমাদের অনেক ফেবু বন্ধুরা, নিকটজন ইনবক্স করে মেইল করে কমাশিসার বর্তমান বিতর্ক নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। যারা আগে কাছে ছিলেন অনেকে বিরক্ত বা দূরে চলে যাচ্ছেন। বলছেন বিষয়টা নিয়ে ভাবার জন্য।
বিষয়টা কি?
বেফাক নিয়ে লেখালেখি!
বেফাক নিয়ে তীর্যক লেখায় স্বাভাবিক মহাসচিব মহুদয়ের নাম চলে আসে।অতএব এখানে মহাসচিব নিয়ে লিখার কারণে:
-আকাবিরের বিরুদ্ধে লিখা হচ্ছে
-আকাবিরের শানে বেয়াদবি হচ্ছে
-বেফাক নিয়ে সমালোচনা মানে কওমির বিরুদ্ধাচরন
অতএব এই কমাশিসা আমরা মানিনা।
এর বিপরীত দিকে শতশত ইনবক্স যে ভাই সকল তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবো।আপনি লিখে যান। বেফাক আমাদের ডুবাচ্ছে। বেফাক হেফাজতের মত জামাত বিএনপির দালালিতে নেমেছে। শিক্ষার কাজ ফেলে রেখে বেফাক নেমেছে রাজনীতিতে। অতএব বেফাক এখন কওমির নয় কিছু চিহ্নিত সিন্ডিকেটের হাতে বন্দী।
 
দালিলিক অভিযোগ:
বেফাকের মহাসচিব মহুদয় বেফাক গঠনের শুরুতে স্বীকৃতির জন্য অনেক দৌড়ঝাপ করেছেন। বিপএনপির শেষ জামানায় স্বীকৃতির জন্য সরকারি অফিসে অনেক ধর্ণা দিয়েছেন। তারপর অকেন দিন চুপ থাকার পর আওয়ামীলীগের সময়ে আবার স্বীকৃতির দাবী জোরালো হলো। কমিশন গঠিত হলো। কিন্তু সমস্যা দেখা দিলো পদ পদবী নিয়ে। বেফাক চায় তার অধীনে স্বীকৃতি আসুক। বাকিরা চায় স্বীকৃতি আসুক স্বাধীন ভাবে।এই টানা হেচড়ার মাঝে ঘটলো শাপলার ট্রাজেডি। অনেকদিন চুপ থাকার পর সেই বিষয় আবার সামনে আসলো। ফরীদ উদ্দীন মাসুদ সাহেব কলকব্জা নাড়ছেন।চেষ্টা করছেন কিছু একটা করতে। অথচ বেফাক নীরব। শুধু নীরব নয় মহাসচিব মহুদয় মাঠে ময়দানে বেলে বেড়ান বেফাক স্বীকৃতি চায়না। তাহলে এখানে তিনির দ্বৈত চেহারা কেন? অথচ হাজার হাজার বেফাক অন্তরভুক্ত যুবকরা স্বীকৃতি চায়। তিনি কিভাবে ময়দানে এভাবে বলে বেড়ান?
ছোট বোর্ডগুলো বার বার বেফাকের নেক নিয়ত নিয়ে সন্দেহ করে। তাই অনেকের অভিযোগ মহাসচিব মহুদয় নিজে এবং হাতে গুনা কয়েকজন কে নিয়ে এভাবে উল্টা পাল্টা কাজ চালাচ্ছেন।
পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এখন প্রতিবছর ফাস হয়।আমাদের কাছে প্রমাণ আছে কেমনে ফাস হয় এবং পরে সমাধান কেমনে হয়।
বেফাক একদিকে বলে আমরা পরীক্ষা গ্রহন ছাড়া আর কিছুই করিনা।অথচ সস্তা মানের বিভিন্ন বই তারা ছাপান এবং বিক্রিও করেন। তাহলে মিথ্যা কথা বলে বেড়ান কেন?
এই দেশের হাজার হাজার কওমি মাদরাসার অভিভাবক বেফাক। বেফাক শিক্ষার মান বাড়ছে না কমছে তার কোন পর্যায়ে আছে তা নিয়ে কোন ভাবনা নেই। শুধু সদস্য বাড়ানো ফিস গ্রহন।আর ছাত্রদের কাছ হতে পরীক্ষার ফিস গ্রহন। বেফাকের পরীক্ষার ফিস না দিতে পেরে কত ছাত্র যে দূরে সরে যাচ্ছে তার হিসাব কে রাখে? মাত্র ২% ছাত্র আরবি এবারত পড়তে পারে বাকিদের অবস্থা ভয়াবহ। বেফাকের কোন দায়ীত্ব নেই? উসুলে হাসতেগানার মধ্যে কি এভাবে বোর্ড কায়েম করে ফিস গ্রহন সনদ বিতরণ লিখা আছে? যদি না থাকে আর করা লাগে তাহলে অন্য জিনিস নিয়ে কেন ভাবা হয়না?
বিভিন্ন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা মতো শি্ক্ষক রাখেন বিদায় দেন। ইচ্ছামতো ছাত্র ভর্তি করেন বিদায় দেন। টিসি ভিসি কিছুইর বালাই নেই। ইচ্ছা মতো ক্লাস খোলেন। শিক্ষার পরিবেশ বলতে কোন নিয়ম নীতি বিধিবিধান সেখানে কার্যকর নেই। বোর্ড হিসাবে তাদের কোন দিকনির্দেশনা থাকার কথা ছিলোনা?
পরিবর্তনশীল এই পরিবেশে আমরা কত প্রতিকুল পরিস্থিতি মোকাবেলা করছি। সে হিসাবে বর্তমান সংকটময় মুহুর্তে করণীয় কি আমাদের ঠিক করা লাগবেনা? কমাশিসা মনে করে বেফাক উদার মনে ভাল করে উদ্যোগ নিলে সমস্যার ব্যাপক সমাধান সম্ভব।কিন্তু কেন স্থবির? কেন তারা কওমির ভাল মেধাবী তরুণদের কাজে লাগায়না? কেন বেফাকের উপর বিস্তর অভিযোগ কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রভাবে বেফাক প্রভান্বিত? বেফাক পুর্ণগঠনের সময় পকেট কমিটি তৈরী হয়। দায়ীত্বশীলদের ঠিকমতো কাজ করতে দেয়া হয়না। কমাশিসা বিশ্বাস করে বেফাক নড়ে চড়ে বসলে অনেক কিছু সম্ভব। হাজার হাজার তরুণ চেয়ে আছে বেফাকের পানে।
আমাদের চোখের সামনে হাফিজ্জি হুজুরের খেলাফত আন্দোলন ভেংগে খান খান। জমিয়ত ভেংগে খান খান। ইসলামি ঐক্যজোট ভেংগে খান খান। খেলাফত মজলিস ভেংগে খান খান। ছোট্ট একটি দেশে ১৯টা বোর্ড আছে। কেউ কাউকে মানতে পারেন না একও হতে পারেন না। পদ ও কুরসির মহব্বত। আমাদের তরুণরা বসে বসে আংগুল চুষুক। বড়রা ভাংগুক আর গন্ডায় গন্ডায় আমাদের বিভক্ত করে রাখুক। না আমরা কিছুই বলতে পারবোনা। বলার কোন অধিকার নেই? তরুণরা জংগীর অপবাদ নিক। রাষ্ট্রের খাতায় তারা মুর্খ হিসাবে পরিচিতি পাক? তাদের কিছুই করতে দেয়া হবেনা! বিষয়টা যদি এমনই হয় তাহলে আমরা আপনাদের কথা রাখতে অপারগ।আর যদি পজিটিভ হয় তাহলে বলুন। পরামর্শ দিন। দিক নির্দেশনা দিন। আমাদের শুধু কলম নয় অর্থ নয় আমাদের পুরো জীবনটা আপনাদের জন্য বরাদ্দ করে দেবো। এই কলম দিয়ে আপনাদের পদধুলি ছাড়া আর কিছুই বেরোবেনা।
এখন বলুন আমাদের করণীয় কি? আমরা শুধু বলবো বড়রা যা করেন মংগলের জন্য করেন।বিভক্তি করেন ভাংগা ভাংগী করেন দলাদলি করেন সবই আমাদের উজ্জল ভবিষ্যতের জন্য? আমরা কমাশিসার পক্ষথেকে বেফাক অফিসে গিয়ে ধর্ণা দিয়েছি। বই লিখে বার বার গুরুজনদের হাতে পৌছিয়ে দিয়েছি। তারা থুড়াই কেয়ার করেন।
আজ গোটা দেশ হিন্দুদের দখলে চলে যাচ্ছে। জংগী ইস্কন যারা চলমান সনাতন হিন্দু থেকে আলাদা আরেক গোষ্ঠী। ইসরাইল যাদের ফান্ড দেয়। তাদের অর্থায়নে মুসলমানদের ঘাড়ে সওয়ার হয়েছে এই ইস্কন। স্কুল কলেজ অফিস পুলিশ আদালত সবই ইস্কনদের দখলে। কওমির ছেলেরা দেখতে থাকবে যে তাদের চোখের সামনে ইস্কনরা মুসল্লীদের হামলা করে আহত করবে। মসজিদ বানাতে বাধা প্রদান করবে। আমরা স্বকীয়তার নামে আমাদের ধার্মিক ছেলেদের মসজিদ মাদরাসায় বন্দী করে রাখবো? ঘোর বিপদ যখন আমাদের মাথার উপর তখন বলা হচ্ছে স্বীকৃতি মানে বিকৃতি।কেন খোলে বলবেন? কমাশিসা বলেনা আগে স্বীকৃতি নিতেই হবে।আমরা বলি আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন করুন। যেহেতু সরকার স্বীকৃত একটি শিক্ষা ব্যবস্থা আছে আমরা সেটা থেকে কিছু ফায়দা আহরণ করি। ইউরোপ আমেরিকার আদলে মেট্রিক পর্যন্ত কওমি এবং সরাকারি সিলেবাস চলুক। আমরা সরকারের সাথে দরকষাকষি করি। যে স্কুলের সিলেবাসের জন্য আমাদের ফান্ড দাও। কওমি চলবে কওমির মত করে। মেট্রিক বা ১০মের পর শুধু কওমির লেখাপড়া।৬ বছর ব্যাপী করুন। যাদের ইচ্ছা তারা কলেজ ভার্সিটিতে যাক। যারা আলেম মুফতি হতে চায় তারা শুধু কওমিতে পড়ুক।আমাদের মুহাদ্দীসীন বুজুর্গদের ফয়েজ হাসিল করুক। সরকার উচ্চতর ইসলামিক স্টাডির জন্য এই সনদের স্বীকৃতি দিক। না দিলেও আমাদের কিছু যায় আসেনা।
কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করা হবেনা। শুধু মানব বন্ধনের খেলা দেখিয়ে কাজ পুরা হয়ে যাবে? কাল ক্ষেপনে ক্ষতি ছাড়া কোন মংগল বয়ে নিযে আসবেনা। নিবন্ধন নিয়ে আমরা আশংকা করছি। অথচ নিবন্ধন খারাপ কিছু নয়। আমরা সরকারের সাথে কথা বলে নিবন্ধনের একটা সুরাহায়  চলে যেতে পারি।
যারা ভাবছেন আওয়ামীলীগের কাছ হতে নিবেন না অন্য কারো কাছ হতে নিবেন; তারা খেয়ালি পুলাওর আশায় বুক পেতে আছেন। দয়া করে বর্তমান নিয়ে চিন্তা করুন।ভবিষ্যৎ কি হবে না হবে তা আমাদের কর্মফলের উপর বর্তাবে। যত জালিম সরকার হউক ভাল কিছু নেয়া গেলে কেন নিবোনা। তারা চায় জনগণের কাছে আসতে। আমরা এই সুযোগে কেন নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে যাবোনা?
 
বেফাকের সাথে সম্পৃক্ত অনেক বন্ধুদের কাছে আমরা মেসেজ পাঠিয়েছি যে-
৩ শর্তে কমাশিসা বেফাক বিষয় মত পরিবর্তন করবে-
১- কওমি মাদরাসা শিক্ষা সিলেবাস সংস্কারের জন্য মেধাবীদের নিয়ে গবেষণা পরিষদ গঠন করুক। ও পরিকল্পনা গ্রহনে বাস্তব উদ্যোগ নিক।
২- সকল বোর্ড গুলোকে আহব্বান করে একক বোর্ড গঠনে বাস্তব প্রক্রিয়া শুরু করুক।
৩- স্বীকৃতির বিষয়ে সরকারের সাথে যৌক্তিক ডায়লগ শুরু করতে হবে। যাতে কওমির স্বকীয়তা বজায় রেখে ধাপে ধাপে স্বীকৃতি আদায় করা সম্ভব হয়। আমাদের তাতে কোন তাড়া নেই।
(প্রচলিত রাজনৈতিক প্রভাব থেকে বেফাক কে মুক্ত রাখা খুব জরুরী।)
শুধু তা না বেফাক পজিটিব হলে আমরা তার পাশে দাঁড়াবো। সকল কর্মসুচিতে সহযোগিতা করে যাবো এই প্রতিশ্রুতি থাকবে ।
 
কমাশিসা বেফাক নিয়ে আর এক কলম লিখবেনা যদি বন্ধুদের কেউ আমাদের মেইলে এবিষযে সন্তুষ্টজনক জবাব দেন। আমাদের ক্ষোভের প্রকৃত স্থান কোনটি আর আমরা কি বলতে চাইছি আশা করি অনুধাবনে সক্ষম হয়েছেন।আমরা টের পাচ্ছি এখানে আরেকটি ভাংগেনর সুর। তাই দয়া করে ভাংগন টেকাতে বেফাকের কি করণীয় বা কি ভাবনা জানালে আমরা দেশবাসিকে জানাবো ইনশাআল্লাহ।
 
 

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...