বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ৯:০৫
Home / অনুসন্ধান / ক্ষমা করো কবি ; আমরা আবাল হয়ে গেছি

ক্ষমা করো কবি ; আমরা আবাল হয়ে গেছি

মুহা.আবিদুর রহমান:
14212176_302770176751774_7115638255663506252_nবিএনপি সরকারের ক্ষমতার শেষের দিকে বেফাক নেতৃবৃন্দ গিয়েছিলো শিক্ষামন্ত্রীর কাছে কওমি সনদের সস্বীবৃতির দাবী নিয়ে। মন্ত্রী তাদেরে একটি কমিটি ঘটনের পরামর্শ দেন। এবং এও বলে ছিলেন যে এতে যেনো মুহিউদ্দিন খান সাহেবকে রাখা হয়। এর উত্তরে বেফাক নেতৃবৃন্দ তখন বলেছিলেন উনি – মুহিউদ্দিন খান সাহেব তো কওমির লোক নন। আলীয়ার। কথাটা জানার পর খান সাহেব দুঃখ করে বলে ছিলেন সারা জীবন কওমির অঙ্গনে কাজ করেও কওমি – দেউবন্দী হতে পারলাম না।
.
ফেসবুকে গত কাল কবি উপন্যাসিক গবেষক সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ এর একটি গঠন মুলক লেখা নিয়ে কিছু আলু আর মুলাচাষী আবালের উশৃঙল মন্তব্য দেখে এ বিষয়টি বারবার মনে পড়েছে। আসলে আমরা আমাদের লোকদের থাকতে চিনি না। আমাদের দুর্ভাগ্য। কিন্ত তাঁর চলে যাবার পর তাকে নিয়ে আমরা আফসোস করতে কসোর করি না। আবাল বলে কথা!
.
বিশিষ্ট কবি সৈয়দ আনোয়া আবদুল্লাহ কওমি অঙ্গনের এমন এক তরুণ যিনি কাজ করেন সমাজের স্রোতধারার নানান অঙ্গনে। তাবুও পরে আছেন কওমি মাদরাসায়। মাদরাসার চার দেয়ালই তার আপন ঠিকানা। কওমিতে পড়েও পড়েছেন ঢাবিতে। যতদূর জানি তার চোখে কোন রঙ্গিন চশমা নেই। বাস্তবতার নিরিখে যৌক্তিক তার কলম। যে কলমের শ্বানিত চেতনায় আলোর সন্ধান পায় হাজারো তরুণ। লেখালেখির ক্ষেত্র বাংলা সাহিত্যে এক নতুন অধ্যায়ের নির্মাতাও তিনি। কথা সাহিত্যে মাওলানাদের ফুটিয়ে তোলতে তার জুরি নেই। উলামায়ে দেউবন্দকে নিয়ে তিনিই সর্ব প্রথম উপন্যাস লিখেন। রাজ মহলের নন্দিনীর নান্দনিক নায়ক তিনি।
.
দুঃখীত কবি সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ আপনাকে আমরা চিনতেই পারলাম না। কারণ যুগযুঘ ধরে আমরা আবাল হয়েই আছি। যেভাকে জীবিত থাকতে চিনতে পারিনি আবুল কালাম আজাদকে, মাওলানা ভাসানীকে, আল্লামা ইকবালকে, কাজি নজরুল ইসলামকে। তাদের সামান্য বিষয়াকে সামনে এনে দূরে ঠেলে দিয়েছি। অথচ তাঁরা ছিলেন আমাদের আপনজন। আমরা এতটাই হতবুদ্ধি ওয়ালা লোক যে তাঁদের কাউকে বলেছি কাফের। কাউকে নাস্তিক। আবার কাউকে বলেছি কমরেড। এভাবেই আপনালয়ে ফতোয়ার তোফান চালিয়েছি। আজ আপনার বিরুদ্ধে যারা নানান ফতোয়া দিচ্ছে তারা সেই হতবুদ্ধি ওয়ালাদের উত্তর পুরুষ। চাটারের দল।
.
গতকাল বিশেষ একটি দলের কর্মীদের দলবাজি কমেন্ট, গালির মহড়া, চিন্তার দন্যতা, ভাষার অসভ্যতা ও হীনমানসিকতা স্তব্দ করে দিয়েছে কওমি অঙ্গনের হাজারো চিন্তাশীল তরুণদের। কবি আপনি ব্যাথা পেয়েছেন জানি। আমরাও সুখে নেই।
.
সমালোচকদের বলবো মানুষ কেউ ভুলের উর্দে নয়। ভুল হলে পরামর্শ দিন। যৌক্তিক সমালোচনা করুন। কিন্তু যা হয়েছে তা তো কেবল হিংসারর বহিঃপ্রকাশ। বলি কারো লেখা কপি করে অন্যরা যদি শিরো নামে বদলিয়ে নিজেদের পত্রিকা কিংবা ম্যাগাজিনে ছাপে মূল লেখককে কি এজন্য দায়ী করা যায়? এতোটুকু বোধের গিলোও যদি মাথায় না থাকে তো চাষাবাবা ক্ষেতেই পড়ে থাক্ কে বল্লো তোদের অনলাইনে আসতে?
.
কথা আরো আছে __তিনি তার সেই পোষ্টে যৌক্তিক কথাই তো বলে ছিলেন। আমাদের এটা নিয়ে ভাবা উচিত ছিলো। কিন্তু আমরা করলাম কি? এখানে আবদুল্লা আল ফারুকসহ কিছু চিন্তাশীল তরুণদের ধন্যবাদ না দিলেই নয়। আশার কথা তাঁদের অংকটাও ছোট না। যারা যৌক্তিক সমালোচনা করে ছিলেন। কিন্তু দেউবন্দের কতি ঠিকাদার কিছু দলবাজ মহানুভব! হযরাতদের!! ইতর শ্রেণীর কমেন্টের প্রেক্ষিতে স্ট্যাটাসটি আবদুল্লাহ আল ফারুক ভাইসসহ অনেকেই ডিলেট করতে বাধ্য হয়েছেন। আমি ভেবে কুল পাই না তারা ফেসবুকে এসে হিংসার বিষবৃক্ষ কেনো ছড়িয়ে দেয়। তারচে বরং ভালো হতো তারা যদি আলু মুলা আর সবজি গবেষণায় নূয়ে থাকলে। ফালিহাজা আমি মনে করি এই গালবাজ দলবাজ আবালদেরকে স্যোসাল মিডিয়ায় বয়কট করা সময়ের দাবী।

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...