শুক্রবার, ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ১১:৩৭
Home / ইতিহাস ঐতিহ্য / রাসূল সা. মানবজাতির শিক্ষক

রাসূল সা. মানবজাতির শিক্ষক

Muhammadরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক দিন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আমার উম্মাহর মধ্য থেকে কে পাঁচটি গুণের কথা শিখবে সেগুলো নিজে বাস্তবায়ন করার জন্য কিংবা যারা বাস্তবায়ন করবে, তাদের শেখানোর জন্য?
হজরত আবু হুরাইরা রা: বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল সা:, আমি শিখব’। নবীজী সা: তার হাত টেনে নিয়ে এর ওপর পাঁচটি গুণের সংখ্যা গণনা করলেন।

রাসূল সা: বললেন : আমি হারাম কাজ থেকে তোমাকে পাহারা দেই; তুমি হবে সবচেয়ে বেশি ইবাদতকারী বা পরহেজগার মানুষ। আল্লাহ তায়ালা আমাকে যা কিছু দিয়েছেন, তাতেই আমি পরিতৃপ্ত। তুমি হবে সবচেয়ে ধনী লোক। আমি তোমার প্রতিবেশীর প্রতি ভালো আচরণ করি। তুমি হবে একজন মুমিন। আমি মানুষের জন্য সেটাই ভালোবাসি যা তুমি ভালোবাস তোমার নিজের জন্য। তুমি হবে একজন মুসলিম। আমি বেশি হাসি না। হৃদয়কে নির্জীব করে ফেলে অধিক হাসি (তিরমিজি ২৩০৫)।

রাসূল সা: মাটিতে একটি বর্গক্ষেত্র আঁকলেন। এরপর এর মাঝ বরাবর আঁকলেন একটি রেখা যা বর্গক্ষেত্রটিকে ছাড়িয়ে গেল। সেই মধ্যরেখার চার পাশে ছোট ছোট কয়েকটি রেখাও এঁকেছিলেন তিনি। সাহাবীদের বললেন, মধ্যরেখাটি মানবজাতির প্রতীক। আর এই বর্গক্ষেত্র হচ্ছে তাদের পার্থিব জীবনের আয়ুর মেয়াদ, যার অন্যথা হবে না। ছোট রেখাগুলো হচ্ছে সেসব দুঃখ, কষ্ট, যাতনা, যন্ত্রণা, অসুস্থতা প্রভৃতি, যা মানুষ ভোগ করবে।

রাসূলুল্লাহ সা: বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বললেন, ‘যদি এই রেখাটি তাকে ধরতে না পারে, ওই রেখাটি ধরবে তাকে এবং যদি ওই রেখা তার নাগাল না পায়, তাহলে এ রেখাটি তাকে ধরে ফেলবে।’

রাসূল সা:-এর আঁকা যে রেখা বর্গক্ষেত্রের বাইরে পর্যন্ত প্রসারিত, তা ইহজীবনে মানুষের বর্ধিত আকাক্সক্ষার প্রতীক (মৃত্যুর আগে যেসব আকাক্সক্ষা পূরণ হবে বলে মানুষের বিশ্বাস; কিন্তু যা পূরণ হবে না)। বুখারী, ৬৪১৭।

রাসূলে মকবুল সা:-এর চেয়ে উত্তম কোনো শিক্ষক ছিলেন না; কখনো তা হওয়া সম্ভবও নয়। যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী, তিনি মানুষ হিসেবে সর্বোত্তম। তিনিই রাসূল মুহাম্মদ সা:। তার হৃদয়ের মহত্ত্বের মতো চরিত্রের মহত্ত্বও বিপুল। তার মহান গুণাবলি কোনো দিন হ্রাস পায়নি।
সবসময়ই যেন তাঁর জ্ঞান ও কল্যাণের মহাভাণ্ডার পড়ছিল উপচে। সর্বদাই রাসূল সা: মানুষের সাথে সহজ আচরণ করতেন। মানুষ তার নাগাল পেত সহজেই। তিনি মানুষকে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও তথ্য দিতেন; তাদের সমর্থন জোগাতেন। তিনি ছিলেন দয়ালু, উদার, বন্ধুসুলভ এবং উৎফুল্ল। মানুষকে তিনি শেখাতেন তার মহান বাণী, কাজ ও আচরণ এই তিনটি দিয়েই।

রাসূলুল্লাহ সা:-এর দুয়ার বন্ধ হতো না কখনো। আর না ছিল তাঁর কোনো দ্বাররক্ষী। জনগণ সহজেই তাঁর কাছে পৌঁছতে পারত। যে কেউ তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতে চাইত, সহজেই সে তা করতে সক্ষম হতো। তাঁর সহজপ্রাপ্যতা তাঁর উচ্চমর্যাদা বিন্দুমাত্রও ক্ষুন্ন করেনি। রাসূল সা:-কে প্রথম দর্শনেই তার প্রতি কিঞ্চিৎ ভীতিমিশ্রিত ও শ্রদ্ধা জেগে উঠত। এরপর তাঁর সামান্য সাহচর্যেই বোঝা যেত, তিনি কত বেশি মিশুক ও বন্ধুভাবাপন্ন।

এক লোক এসেছিলেন রাসূল সা:-এর সাথে কথা বলতে। তাঁকে দেখে লোকটি কাঁপতে থাকেন। এ অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সা: তাকে বললেন, মোলায়েম ভাষায়, নিজেকে শান্ত করো। আমি তো রাজা নই। আমি একজন নারীর পুত্র যিনি শুকনা গোশত খেতেন।’ (সুনান ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বর ৩৩০৩; আবু মাসউদ বর্ণিত)
রাসূল মুহাম্মদ সা: হাসতেন শব্দ না করেই। দুঃখবোধ করলেও ভ্র কুঞ্চিত করতেন না। তাঁর শক্তি থাকলেও হননি সহিংস। ছিলেন বিনয়ী; কিন্তু দাসসুলভ মানসিকতা থেকে মুক্ত। বদান্যতার অধিকারী ছিলেন বটে, তবে অপচয়ী নন।

রাসূল সা: হাত মেলাতেন ধনী-গরিব, ছেলেবুড়ো নির্বিশেষে সবার সাথে। যার সাথে সাক্ষাৎ হতো, তাকে প্রথমে তিনিই সালাম জানাতেন সে ব্যক্তি তরুণ কি বৃদ্ধ, কৃষ্ণাঙ্গ কি রক্তবর্ণ, মুক্ত কি ক্রীতদাস, যা-ই হোক না কেন।
যদি কোনো লোক রাসূল সা:-এর সাথে সাক্ষাৎকালে তাঁর সাথে হাত মেলাতেন, কখনো আগে হাত সরিয়ে নিতেন না। মোলাকাতকারী তার নিজের হাত সরিয়ে নেয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতেন রাসূল সা:। তিনি প্রথমে মুখ সরিয়ে নিতেন না, যে পর্যন্ত না সাক্ষাৎকারী ব্যক্তিটি তার নিজের মুখ ঘুরিয়ে নিত।

আমাদের রাসূল সা:-এর কাছে কেউ কোনো কিছু চাইলে কখনো ‘না’ বলতেন না। কখনো যদি দু’টি বিষয়ের মধ্যে একটি বেছে নিতে তাঁকে বলা হতো, তিনি অপেক্ষাকৃত সহজটি পছন্দ করতেন। তবে যদি এতে গুনাহ হওয়ার আশঙ্কা থাকত, তিনিই তা পরিহার করতেন সবচেয়ে বেশি।
হজরত মুহাম্মদ সা: সব সময়েই আল্লাহতায়ালাকে স্মরণ করতেন। অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলে কোনোদিন নষ্ট করেননি সময়। সালাতকে করতেন দীর্ঘ, আর খুতবা করতেন সংক্ষিপ্ত। তিনি বিধবা ও গরিব-দুঃখীর অভাব-অভিযোগ দূর করতে সচেষ্ট থাকতেন সবসময়। রাসূল সা:-এর জীবনযাত্রা ছিল সাধারণ একজন মানুষের মতো।

রাসূল সা: নিজে বাজারে গিয়ে জিনিসপাতি কিনতেন এবং নিজের হাতে সেগুলো বহন করতেন। তাঁর উটকে নিজে খাবার দিতেন এবং বেঁধে রাখতেন রশি দিয়ে। নিজেই ঝাড়– দিতেন ঘর। দোহাতেন দুধ। নিজের জুতা সেলাই করতেন। নিজ পোশাক ছিঁড়ে গেলে তালি লাগাতেন। চাকরের সাথে বসে একত্রে খেতেন। চাকর যদি অনুরোধ করত, তখন রাসূল সা: গম পিষে দিতেন।
উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, রাসূল সা: বাড়িতে কী করতেন? তিনি জবাবে বললেন, রাসূল সা: তাঁর পরিবারের খেদমত করতেন। যখনই হতো সালাতের সময়, তিনি তা আদায়ের জন্য যেতেন (বুখারি- ৫৩৬৩)।

রাসূল সা: কখনো ক্ষুধা শতভাগ দূর করে খাননি কিংবা কোনো কিছুর ব্যাপারে কাউকে করেননি অভিযোগ। তাঁর কাছে সম্পদের চেয়ে দারিদ্র্য ছিল উত্তম। এমনভাবে তিনি মানুষকে দান করতেন যে, দারিদ্র্যের কোনো ভীতিই তাঁর মনে জাগত না। আর পরদিনের জন্য কোনো কিছু না রেখেই দান করে দিতেন। রাসূল সা: বলতেন, ‘আল্লাহ তায়ালা সবসময়ই আগামীকালের রিজিকের ব্যবস্থা করে রাখেন’ (আল বায়হাকী, শুয়াব আল ঈমান)।

রাসূল সা:-এর সামনে যারা দণ্ডায়মান থাকতেন যেমন রাজাদের সামনে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে এবং যারা তার পিছু পিছু হাঁটতেন, তিনি তাদের বলতেন, যেন তারা তার অতিরিক্ত প্রশংসায় মেতে না ওঠে। তিনি তাঁর সঙ্গীদের পেছনে থেকে তাদের পদক্ষেপের নির্দেশনা দিতেন এবং যার সাথেই দেখা হতো, তাকেই সালাম দিয়ে জানাতেন স্বাগত।

সাহাবিদের মাঝে রাসূলুল্লাহ সা: বসতেন তাদেরই একজন হয়ে। তাদের থেকে নিজের ভিন্নতা জাহির করতেন না। তারা যা করতেন, তাতে তিনিও অংশ নিতেন।
একজন সাহাবি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল সা:, ‘আমি ভেড়া জবেহ করব।’ আরেকজন বলে উঠলেন, হে আল্লাহর রাসূল সা:, আমি এটার চামড়া ছাড়াব।’ অন্য একজন বললেন, আল্লাহর রাসূল সা:, আমি এটার গোশত রান্না করব। রাসূলুল্লাহ সা: বললেন, আমি জ্বালানি কাঠ জোগাড় করে আনব।’ তখন সাহাবিরা বলে উঠলেন, আল্লাহর রাসূল সা:, আমরা আপনাকে কাজ করা থেকে রেহাই দেবো।’ শুনে রাসূল সা: বললেন, জানি, তোমরা তা করতে পারো। তবে আমি তোমাদের মধ্যে বিশেষ কেউ হিসেবে আলাদা গণ্য হওয়াকে ঘৃণা করি। আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন না যে, তাঁর বান্দা সঙ্গীসাথীদের থেকে পৃথক ও বিশিষ্ট কেউ হয়ে থাকবে। (আল মুহিব আত্ তাবারি, সুবল আল হুদা ওয়া আর রাশাদ ফি সিরাহ খায়রুল আবাদ, আল সালহি আল শামী, সপ্তম খণ্ড)।

অন্যদের প্রতি সর্বাধিক দয়ার্দ্র ছিলেন রাসূল সা:। সালাত দীর্ঘ করার ইচ্ছা নিয়ে তা শুরু করতেন। তবে কোনো শিশুর কান্না শুনে সালাত সংক্ষিপ্ত করে ফেলতেন। কেননা শিশুটির কান্না তার মায়ের চরম দুঃখের কারণ হয়ে ওঠে।’ (আনাস বিন মালিক বর্ণিত; সহিহ আল বুখারী, আজান অধ্যায়, হাদিস নম্বর ৬৬৮)।
ক্ষতি ও হয়রানির শিকার হলে রাসূল সা:-এর ধৈর্য ও কষ্টসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পেত। উহুদের যুদ্ধের সময় যখন শত্রুবাহিনীর আঘাতে তাঁর মুখমণ্ডল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তাঁকে তখন বলতে শোনা যায় (মুখের রক্ত মুছতে মুছতে), হে আল্লাহ, তাদের ক্ষমা করে দাও। কারণ, ওরা অজ্ঞ (আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ বর্ণিত; সহিহ আল বুখারি নবী আ:দের বিবরণ অধ্যায়; ৩২১৮ নম্বর হাদিস)।
পার্থিব জীবনের কোনো বিষয়ে কিংবা কোনো জিনিস নিয়ে রাসূলুল্লাহ সা: কখনো ক্রোধ প্রকাশ করেননি। এসব কিছুকে নেহাত ক্ষণস্থায়ী বলেই বিশ্বাস করতেন। তিনি বলেছেন, ইহকালীন জীবনে আমি একজন মুসাফির মাত্র, যে একটি গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে চেয়েছে। এরপর সে গাছটিকে পেছনে ফেলে চলে গেল (আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ বর্ণিত; সুনান আল তিরমিজি; আজ জুহদ অধ্যায়। হাদিস নম্বর ২২৯৯)।

যখন কোনো অধিকার লঙ্ঘিত হতো, রাসূল সা: সে অধিকারের সপক্ষে দাঁড়িয়ে যেতেন, যতক্ষণ না তা আদায় হতো। অপর দিকে, তিনি ছিলেন একজন কুমারীর চেয়েও অধিক লজ্জাশীল।
কারো কোনো বিষয় অপছন্দ হলেও রাসূল সা: তা নিয়ে তার সাথে সঙ্ঘাত সৃষ্টি করতেন না। বরং বিস্মিত হয়ে বলতেন, ‘ওই লোকগুলোর কী হয়েছে যে, ওরা এমন সব কাজ করছে?’

রাসূল সা: সর্বদা দৃষ্টি অবনত রাখতেন এবং তা কারো ওপর স্থির করে রাখতেন না। আকাশের দিকে যত না তাকাতেন, এর চেয়ে বেশি তাকিয়ে থাকতেন মাটির দিকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাঁর দৃষ্টি ছিল ধ্যানমূলক।
রাসূল সা: তাঁর উম্মাহর জন্য নিরন্তর উদ্বিগ্ন থাকতেন এবং চিন্তা করতেন। তিনি সামান্য বিশ্রাম নিতেন; দীর্ঘ সময় থাকতেন নীরব; কখনো বেদরকারি কথা বলতেন না।

রাসূল সা: সব সময়ে তাঁর কথা শুরু ও শেষ করতেন আল্লাহর নাম নিয়ে। তাঁর কথা যাতে অন্যরা ভালোভাবে বুঝতে পারেন; সে জন্য তিনবার উচ্চারণ করতেন। বলতেন স্পষ্ট করে, সংক্ষেপে, মোলায়েম ভাষায়। তবে তার বক্তব্য হতো পূর্ণাঙ্গ। প্রয়োজনের বেশি বা কম কথা এতে থাকত না। তাঁর কথাগুলো সহজেই মনে রাখা যেত। তিনি ভালো বিষয়ের সমর্থন ও প্রশংসা করতেন। আর নিন্দা ও সমালোচনা করতেন মন্দের। তিনি সবসময় অন্যদের ব্যাপারে ভাবতেন। সঙ্গীসাথীদের খোঁজখবর নিতেন। লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নিতেন তাদের সমস্যা কী। তার চিন্তাভাবনার বিষয়ই ছিল মানুষের কল্যাণ। মানুষের সমস্যার সমাধান হয়ে যাতে জীবনটা সুস্থ-স্বাভাবিক ধারায় চলতে পারে, এ জন্য রাসূল সা: দিতেন নির্দেশনা। লোকজন যা জানতে চাইত এর জবাব দিতেন এবং প্রয়োজনীয় কথা তাদের বলতেন।
রাসূল সা:-এর বৈঠক বা সমাবেশগুলো ছিল জ্ঞান, সহিষ্ণুতা, বিনয়, সত্যবাদিতা ও ধৈর্যের। সেখানে তিনি থাকতেন সর্বদাই উৎফুল্ল, নমনীয় এবং সুন্দর আচরণকারী। কখনো হননি রুক্ষ ও কঠোর। হইচই করা তাঁর স্বভাবে ছিল না। অন্যের দোষ খুঁজে বেড়াননি। কিংবা প্রশংসায় কাউকে ভাসিয়ে দিতেন না।

রাসূল সা: সদুদ্দেশ্য ছাড়া কথা বলতেন না। কখনো কাউকে ভর্ৎসনা বা সমালোচনা করেননি। কারো খুঁত বা ত্রুটি জানতে চাননি।
রাসূল সা:-এর বৈঠকে তার বক্তব্যের সময়ে অন্য কেউ কথা বলতেন না। তখন অন্যরা মাথা নিচু করে সব কথা মনোযোগের সাথে শুনতেন। মনো হতো তাঁদের মাথায় পাখি বসে বিশ্রাম নিচ্ছে। রাসূল সা:-এর কথা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা মুখ খুলতেন না। তখন কেউ কারো কথা বলায় বাধা দিতেন না। উপস্থিত লোকজন হাসলে রাসূল সা:ও হাসতেন এবং তারা যে বিষয়ে প্রশংসা করতেন, তিনিও তা করতেন।
আল্লাহ তায়ালার নাম উল্লেখ করা ছাড়া রাসূল সা: কখনো বসতেন না অথবা উঠতেন না। বিশেষ কোনো স্থানে নয়, বসার মতো জায়গা পেলেই তিনি বসে পড়তেন। অন্যদেরও বলতেন তা করার জন্য।
অন ইসলাম ডট নেট-এর সৌজন্যে। ভাষান্তর- মীযানুল করীম

সৌজন্যে : অন্যদিগন্ত

About Abul Kalam Azad

mm

এটাও পড়তে পারেন

‘দেওবন্দের মূলনীতির ওপর ভিত্তি করেই স্বীকৃতি বাস্তবায়ন হচ্ছে’

কমাশিসা ডেস্ক: বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সহকারী মহাসচিব ও জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসার শাইখুল হাদিস মাওলানা ...