সৈয়দ আনোয়ার আব্দুল্লাহ::
হেফাজতের নাস্তিক ব্লগার বিরোধী লংমার্চ হায়নাদের আক্রমনে প্রথম আকান্ত আলোচিত ব্যক্তি হলেন এই ফারুক। লংমার্চের আগের দিন আমীরে হেফাজত আহমদ শফি ঢাকায় এসেছেন খবর পেয়ে অবরোধ ডিঙ্গিয়ে আমাদের সাথে সে পাগল পারা হয়ে ঢাকাতে ছুটে যায়। যাবার পথে সে অবরোধকারীদের নিসংশতা ও নিষ্টুর আক্রমনে শিকার হয়। পরদিন মানবজমিন সহ দেশের শীর্ষ পত্রিকায় তার ছবিটি লিড নিউজ হয়ে পুরো বিশ্বের দৃষ্টি আর্কষন করে। হেফাজত কর্মি ফারুকের ছবি দেখিয়ে আওমী নির্মমতার বর্ণনা দিয়ে সে সময় নেতারা মাটে ময়দানে আন্দোলনকে চাঙ্গা করেন।ফেসবুক, ইন্টারনেটে ছবিটি চেতনার বানিজ্য হিসাবে ব্যাপক আলোচিত হয়। হেফাজতের ইস্যুতে প্রতি বছরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত হওয়া এই ছবিটি কার? তিনি কি করেন? কেমন আছেন? কোথায় থাকেন? আমরা কেউ জানি না।
.
হেফাজতের আহত নিহিতদের নিয়ে কোটি কোটি টাকা দেশ বিদেশে কালেকশন করে নেতারা দামী গাড়ি ও বাড়ির মালিক হলেও হেফাজত কর্মি আহত হাফেজ ফারুক গরিব মানুষটি এক টাকাও পায় নি চিকিৎসার জন্য। সে সময় চট্রগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সুবাদে একবার সে হাটহাজারী মাদরাসাতে গিয়ে হেফাজত মহসচীব জুনাইদ বাবুনগরীর সাথে দেখে করলে, তিনি তাকে পাঁচশত টাকা হাদীয়া দিয়ে দোয়া করে দেন। হাফেজ ফারুকের ভাষায়, এই ৫শ টাকা আর দোয়াই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওন। সবচেয়ে বড় পাথেয়।
হিফজখানার শিক্ষক হাফেজ ফারুক তার বাবা সহ সেদিন গুরুত্বর আহত হন সেদিন। এর পর দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর সুস্থ হলেও মাথায় চাপের জন্য মাদসায় পড়ানোর মতো সুস্থ হতে পারেন নি। আমার চেম্বারের পাশেই একটি তেলের দোকানের কর্মচারী থেকেছেন দু বছর। অভাবের সংসারেরর একমাত্র আয়-রোজগারের ব্যক্তি, হবিগন্জ জেলার বাহুবল উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাবনাকান্দি গ্রামের সহজ সরল, মুখলেছ দ্বীনের কর্মি হাফেজ ফারুক এখন সিলেটের এক মাদরাসার খাদেম। অসুস্থতা নিয়ে মাদরাস চার দেয়ালেই পড়ে আছেন। কারন তার সংসারের বিবি বাচ্চাদের ভরন পোষন আর দরিদ্রতার গ্লানি তাকেই বহন করতে হয়। আলোচিত হাফেজ ফারুককে নিয়ে দেশে বিদেশে চেতনা আর অর্থ বানিজ্য হলেও বাস্তব চিরসত্য হলে হেফাজতের কোন নেতা কোনদিন তার খবর নেন নি। ফারুক ভাইর মোবাইল নাম্বার 01718 320461