তাইয়ীব আহমাদ::
শ্রমিকদের অধিকারের ব্যপারে সতর্ক হউন! তাদের প্রাপ্য হক তাদেরকে বুঝিয়ে দিন!
আমাদের যাদের শ্রমিক, কাজের মেয়ে বা ছেলে, কর্মকর্তা বা কর্মচারী ইত্যাদি অধীনস্ত লোক রয়েছে, তারা অবশ্যই অধীনস্তদের সাথে সৎ ব্যবহার করবেন এবং নিম্নোক্ত হাদীসটির উপর আমল করার চেষ্টা করবেন:
عن أبي هريرة و ابن عمر رضي الله عنهما قالا : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : «أعطوا الأجير أجره قبل أن يجف عرقه» كذا في مشكل الآثار للطحاوي و سنن البيهقي الكبرى و سنن ابن ماجة و مشكوة المصابيح
অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রা. ও হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, তারা বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমান, ‘ শ্রমিকের ঘাম শুকানোর পূর্বেই তোমরা তার মজুরী বা পারিশ্রমিক দিয়ে দাও।’ কোনো কোনো বর্ণনায় এ কথাটি অতিরিক্ত রয়েছে, ‘এবং শ্রমিক কাজে থাকতেই বা কাজের পূর্বেই তোমরা তার পারিশ্রমিক সম্পর্কে ধারণা দিয়ে দাও।’
মুশকিলুল আছার, তাহাবী, হাদীস নং: ২৫৫৪, (আবু হুরায়রা রা.); বায়হাকী, হাদীস নং: ১১৪৩৪, (আবু হুরায়রা রা.)। ইবনে মাজাহ, হাদীস নং: ২৪৪৩, (ইবনে ওমর রা.); মেশকাত, হাদীস নং: ২৯৮৭, (ইবনে ওমর রা.)। [হাদীসটি সহীহ]
ইসলামই একমাত্র ধর্ম, যে শ্রমিকদের অধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার। উপরোক্ত হাদীসটি তার উপর সুস্পষ্ট প্রমাণ বহন করে। ইসলামী সমাজ ব্যবস্থার অন্তর্নিহিত গুণ এটাই যে, ইসলাম শুধু বড় বড় বুলি আউড়িয়ে বসে থাকেনি, বরং কার্যকরীভাবে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণ করেছে। মানুষের মন ও মগজে তাদের মর্যাদার আসন সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। মালিককে সহনশীল, হৃদয়বান ও সহানুভূতি সম্পন্ন হতে শিক্ষা দিয়েছে। মালিক নিজের মনের মধ্যে শ্রমিককে কোনো প্রকার শোষণের অভিপ্রায় রাখতে পারবে না বলে ইসলামই নির্দেশ দিয়েছে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে সজাগ ও সোচ্চার থাকার তাওফিক দান করুন। আমীন।