আবু হুরায়রা [রা.] থেকে বর্ণিত, নবী [সা] বলেছেন- কোনো নারীর জন্য বৈধ নয়, যে আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে মাহরাম ব্যতীত এক দিন ও এক রাতের দূরত্ব সফর করা।
মাওলানা মনযূরুল হক:: নারীকে মাহরাম ব্যতীত সফর করতে না দেওয়া ইসলামের ব্যাপক এক কুশলী বিধান। মাহরাম পুরুষ এজেন্যেই সঙ্গে থাকবে হবে, যেনো সে তাকে লোলুপ ও পাপাচারীদের থেকে সংরক্ষণ করতে ও নিরাপত্তা দিতে পারে ।
বিশুদ্ধ হাদীসে নারীকে মাহরাম পুরুষ ব্যতীত সফর করতে নিষেধ করা হয়েছে। যেমন ইবন উমার [রা.] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসূলুল্লাহ [সা] বলেছেন- নারী তিন দিনের সফর মাহরাম ব্যতীত করবে না। আবু সাঈদ খুদরি [রা.] থেকে বর্ণিত, নবী [সা] নারীর দু’দিন অথবা দু’রাতের সফরকে নিষেধ করেছেন, যদি তার সাথে স্বামী অথবা মাহরাম না থাকে।
আবু হুরায়রা [রা.] থেকে বর্ণিত, নবী [সা] বলেছেন- কোনো নারীর জন্য বৈধ নয়, যে আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে মাহরাম ব্যতীত এক দিন ও এক রাতের দূরত্ব সফর করা।
এসব হাদীসে তিন দিন, দু’দিন ও এক দিন এক রাত সফর না করার যে পরিমাণ এসেছে তা মূলত সে সময় সফর করার প্রচলিত রেওয়াজের ভিত্ততে। তখন মানুষ পায়ে হেঁটে ও বাহনে চড়ে এক দিন, দু’দিন ও তিন দিন সফর করত। হাদীসে উল্লেখিত তিন দিন, দু’দিন ও এক দিন এক রাত দ্বারা হাদীসের বাহ্যিক অর্থ উদ্দেশ্য নয়, বরং উদ্দেশ্য হচ্ছে যার নাম সফর সেটাই মাহরাম ব্যতীত নারীদের জন্য নিষেধ।
ইমাম নাওয়াওয়ী রহ. বলেন- “মোটকথা, যার নাম সফর তার থেকে নারীকে বারণ করা হবে স্বামী অথবা মাহরাম ব্যতীত, হোক সেটা তিন দিন অথবা দু’দিন অথবা এক দিন এক রাত অথবা এক সকাল অথবা অন্য কিছু। কারণ, ইবন আব্বাস থেকে বর্ণিত নিষেধাজ্ঞার হাদীসটি ব্যাপক, তাতে নির্দিষ্ট কোনো সময়ের উল্লেখ নেই । (শরহে সহিহ মুসলিম-৯/১০৩)
মুসলিমের হাদিস- মাহরাম ব্যতীত নারী সফর করবে না”। এ হাদীস সকল প্রকার সফরকে অন্তর্ভুক্ত করে, যার নাম সফর।
মূল : ড. সালেহ ইবনে ফাওজান
ভাষান্তর : মাওলানা মনযূরুল হক
সুত্র: ইসলামপ্রিয় ডটকম