তিনি বলেন, এত নোংরা নোংরা কথা কেন লিখবে? আমি আমার ধর্ম মানি, যাকে আমি নবি মানি তার সম্পর্কে নোংরা কথা কেউ যদি লেখে সেটা কখনোই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ঠিক তেমনি অন্য ধর্মের যারা তাদের সম্পর্কে কেউ কিছু লিখলে তাও কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না। যারা এগুলো করে তা তাদের সম্পূর্ণ নোংরা মনের পরিচয়, বিকৃত মনের পরিচয়।
শেখ হাসিনা বলেন, এটা পুরোপুরিই তাদের চরিত্রের দোষ এবং তারা বিকৃত মানসিকতার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বিশিষ্ট আলেম, চিন্তাবিদ, গবেষক ও লেখক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন তার ফেসবুক পাতায় লিখেছেন,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যকে আমরা স্বাগত জানাই। এ দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের কথা ফুটে উঠছে এ মন্তব্যে। এ কথাটাই বিগত ২০ বছর যাবত মাঠে-ময়দানে ও সংবাদপত্রের পাতায় আমরা বলে আসছি। তথ্য ও প্রযুক্তি আইন ২০১৩ এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও যুৎসই বলে আমরা মনে করি।
তবে মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে ধর্মাবমাননার ১৮৬০ সালের আইন যথেষ্ট নয়। এ অাইন সংশোধন পূর্বক অপরাধীর কঠোর শাস্তির বিধান করা জরুরি। যেসব নাস্তিক্যবাদী চক্র কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তরুণদের ‘মুক্তচিন্তা’-এর নামে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার জন্য প্ররোচিত করছে তাদের চিহ্নিত করে অাইনের আওতায় আনার জন্য আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নাস্তিক্যবাদী শক্তি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ১ম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বিভিন্ন পাঠ্য বইয়ে ধর্মীয় ও নৈতিকতানির্ভর অনেক নিবন্ধ ও কবিতা বাদ দিয়ে দিয়েছে কৌশলে। জাতিকে ধর্মহীন করার এবং প্রগতি, আধুনিকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার নামে বিজাতীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তড়িৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন এটা গোটা জাতির প্রত্যাশা। ইনসাফ বিডির সৌজন্যে।