আইএস বাশার ইরান হিজবুল্লাহ ও রাশিয়ার গণহত্যা প্রতিরোধে সিরিয়ায় সেনা হস্তক্ষেপের বিকল্প নেই
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল জুবায়ের বলেছেন, তার দেশ সিরিয়ায় স্পেশাল ফোর্স মোতায়েনের বিষয়ে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। সিরিয়ায় সেনা মোতায়েনের ধরণ কী হবে সে বিষয়ে যেসব দেশ সিদ্ধান্ত নেবে তাদের সঙ্গে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। মরক্কো সফরের সময় বুধবার তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন। খবর প্রেটিভির।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। এর আগে সোমবার তিনি ওয়াশিংটন সফরের সময় সিরিয়ায় সৌদি সেনা পাঠানোর বিষয়ে কথা বলেছিলেন।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমাদ আসিরি সিরিয়ায় সেনা পাঠানোর বিষয়ে তার দেশের প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেছিলেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস বিরোধী জোট রাজি হলে সৌদি আরব সিরিয়ায় স্থল সেনা পাঠাবে। সৌদি আরবের এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে আমেরিকা এবং বিষয়টি নিয়ে চলতি সপ্তাহে ব্রাসেলসে ন্যাটো বৈঠকে আলোচনার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশ্টোন কার্টার।
তবে সিরিয়া, রাশিয়া ও ইরান এ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল-মুয়াল্লেম বলেছেন, সৌদি আরব সেনা পাঠালে তা আগ্রাসন বলে বিবেচনা করা হবে এবং সৌদি আরব শুধু সেনাদের লাশভর্তি কফিন দেখবে। রাশিয়া বলেছে, সিরিয়া সরকারের বিনা অনুমতিতে সৌদি আরব সেনা পাঠালে তাকে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে বিবেচনা করা হবে। আর ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- সিরিয়ায় সৌদি আরব সেনা পাঠালে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের ঘণ্টাধ্বনি বেজে উঠবে।
সুত্র:আন্তর্জাতিক মিডিয়া।