রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ সন্ধ্যা ৬:৩৫
Home / খোলা জানালা / বিপদজনক ! এড়িয়ে চলুন

বিপদজনক ! এড়িয়ে চলুন

Jamil-Ansariজামিল আনছারী ::
কিছু মানুষ আছে যাদের বাহ্যিক রূপ আর অভ্যান্তরীণ রূপের মধ্যে কোন মিল নেই। হাস্যকর হলো এরা নাকি শান্তির ফেরিওয়ালা। দুঃখজনক হলো আমরা এদের বাহ্যিক রূপ দেখেই পরিচয় নির্ণয় করি। তাদের অভ্যন্তরীন অবস্থা কিংবা লক্ষ্য-উদ্দ্যেশ্য সম্পর্কে অবগত নই। এই তথাকথিত শান্তির ফেরিওয়ালাদের নিয়ে কিছু কথা।

ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। যারা ধর্ম নিরপেক্ষ বলে দাবি করে তারা যদি সত্যি সত্যি ধর্ম নিরপেক্ষ হত তাইলে সব ধর্মের জন্য কতইনা ভালো হত। তাদের ব্যাখ্যা মতে ধর্ম নিরপেক্ষতা মানে সকল ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধা রেখে সমাজ বা রাষ্ট্র পরিচালনা করা। আমরা যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী আমাদের ধর্মের শিক্ষাও তাই। একটি মুসলমান রাষ্ট্রে সকল ধর্মের মানুষ নিরাপদ। অমুসলিমদের নিরাপত্তা দেয়া মুসলমান সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু দুঃখজনক হলো ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতাকে সমাজে প্রতিষ্টিত করার আপ্রান চেষ্টা চলছে। এমনকি রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন পদের দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতা দেখা যায়। মাঝে মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্ম বিদ্বেষও আমরা দেখতে পাই। ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাখ্যা আর ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের কাজ-কর্মের মধ্যে কোন মিল নেই ।যারা ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ দিয়ে সমাজে শান্তি প্রতিষ্টার স্বপ্ন দেখে তাদের স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়ন হবেনা। উল্টো তারাই সামাজিক অশান্তির মূল। কারন তারা ভূল পদ্ধতিতে শান্তি খুজছে। তাছাড়া তাদের কথা আর কাজের মধ্যে কোন মিল নেই। বিশেষত আমাদের বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ মানেই ধর্ম বিদ্বেষ কিংবা ধর্মহীনতা। সুতরাং ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা ধর্ম নিরপেক্ষ নয় বরং ধর্মহীন,ধর্ম বিদ্বেষী। এদের থেকে সাবধান এরা অশান্তির দূত-মানব শয়তান।

চেতনাবাজ
বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে একাত্তর আমাদের প্রেরণা। একাত্তরের চেতনা আমাদেরকে বিজয়ী হতে শেখায়। একাত্তরের ত্যাগ আমাদেরকে ধর্যশীলতার শিক্ষা দেয়। প্রতিকূলতায় মোকাবেলা করার সাহস যোগায়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আজ অনেকে চেতনাধারী বলতে লজ্জা পায়। কারণ একাত্তরকে এমন ভাবে পঁচানো হয়েছে যে চেতনার দুর্ঘন্ধ সয্য করা মুশকিল। চেতনার নামে চলছে ধর্মহীনতা ও নাস্তিকতার লালন। চলছে রাজনৈতিক উন্মাদনা। নিজ দেশের স্বার্থকে পেছনে ফেলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে খুশী করতে চেতনাবাজরা ব্যস্ত ।উন্মাদ ছাড়া কেউকি এমন কাজ করতে পারে ? এই চেতনাবাজদের কারনে রাজনীতি হয়েছে দেউলিয়া। ফলে প্রতিনিয়ত রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে সবুজ শ্যামল বাংলা। চেতনাকে দেশের স্বার্থে ব্যবহার না করে ব্যাক্তি ও দলের স্বার্থে ব্যবহারের ফলে রাজনীতি হয়েছে দেউলিয়া। রাজনীতিবিদরা হয়েছেন উন্মাদ। তবে সবাই নয়। এখনো দেশে সৎ চরিত্রবান রাজনীতিবিদের অভাব নেই। অভাব আছে সাহসিকতার, ঐক্যবদ্ধতার। অবশ্য চেতনাবাজদের বাজারে তাদের কোন মূল্য না থাকায় রাজনীতিতে তারা রাখতে পারছেন না কোন অবদান। কারন দেশের রাজনীতি এখন তথাকথিত চেতনাবাজদের নিয়ন্ত্রণে। চেতনার ঠিকাদাররা একাত্তরকে এমন ভাবে পঁচাইছে যে মুক্তিযুদ্ধকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় যখন বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে রাজাকার বলা হয় তখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন থাকাটা স্বাভাবিক। যারা জীবন বাজি রেখে দেশকে স্বাধীন করলো তারাই আজ হয়ে গেলো স্বাধীনতা বিরুধী। আর যারা ভারতে পালিয়ে জীবন রক্ষা করেছিলো তারাই হয়েগেলো চেতনাবাজ। তাইতো দেখা যায় চেতনাবাজ মানেই ভারত প্রেমী। ভারত প্রেম দোষের কিছু নয় যদি তা দেশের স্বার্থের উপরে না ওঠে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে হিন্দুস্থানের স্বার্থরক্ষায় চেতনাবাজরা ব্যস্ত। এই নামধারী চেতনাবাজ থেকে সাবধান। এরা দেশদ্রোহী দালালে হিন্দুস্থান।

লেখক : গ্রন্থকার ও প্রাবন্ধিক

About Abul Kalam Azad

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...