নকশায় বিশ্ব ইজতেমা
কমাশিসা ডেস্ক :: গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামী শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্যে দিয়ে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ। আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে তা শেষ হবে ১০ জানুয়ারি। দ্বিতীয় ধাপ ১৫ জানুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হবে ১৭ জানুয়ারি।
এবারের বিশ্ব ইজতেমায় প্রথম ধাপে দেশের ১৭টি জেলার মুসল্লিরা অংশ নেবে। দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেবেন ১৬টি জেলার মুসল্লিরা। প্রত্যেক জেলার মুসল্লিদের জন্য আলাদা আলাদা খিত্তার ব্যবস্থা থাকবে। কোন জেলার মুসল্লিদের খিত্তা কোথায় ইজতেমার প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের নকশা দেখে তা জেনে নেওয়া যাবে।
প্রথম ধাপে অংশ নেয়া ১৭ জেলার মুসল্লিদের মধ্যে ঢাকা জেলা ১ থেকে ৬ নং খিত্তায়, শেরপুর ৭ নং খিত্তা, নারায়ণগঞ্জ ৮ ও ১১ নং খিত্তা, নীলফামারী ৯ নং খিত্তা, সিরাজগঞ্জ ১০ নং খিত্তা, নাটোর ১২ নং খিত্তা, গাইবান্ধা ১৩ নং খিত্তা, লক্ষীপুর ১৪ ও ১৫ নং খিত্তা, সিলেট ১৬ ও ১৭ নং খিত্তা, চট্টগ্রাম ১৮ ও ১৯ নং খিত্তা, নড়াইল ২০ নং খিত্তা, মাদারীপুর ২১ নং খিত্তা, ভোলা ২২ ও ২৩ নং খিত্তা, মাগুড়া ২৪ নং খিত্তা, পটুয়াখালী ২৫ নং খিত্তা, ঝালকাঠি ২৬ নং খিত্তা এবং পঞ্চগড় ২৭ নং খিত্তা।
এছাড়া ১৫ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমায় অংশ নেবে ১৬ জেলার মুসল্লিরা। তাদের মধ্যে ঢাকা জেলা ১ থেকে ৭ নং খিত্তা, ঝিনাইদহ ৮ নং খিত্তা, জামালপুর ৯ ও ১১ নং খিত্তা, ফরিদপুর ১০ নং খিত্তা, নেত্রকোনা ১২ ও ১৩ নং খিত্তা, নরসিংদী ১৪ ও ১৫ নং খিত্তা, কুমিল্লা ১৬ ও ১৮ নং খিত্তা, কুড়িগ্রাম ১৭ নং খিত্তা, রাজশাহী ১৯ ও ২০ নং খিত্তা, ফেনী ২১ নং খিত্তা, ঠাকুরগাঁও ২২ নং খিত্তা, সুনামগঞ্জ ২৩ নং খিত্তা, বগুড়া ২৪ ও ২৫ নং খিত্তা, খুলনা ২৬ ও ২৭ নং খিত্তা, চুয়াডাঙ্গা ২৮ নং খিত্তা এবং পিরোজপুর ২৯ নং খিত্তা। এবারের ইজতেমায় ঢাকা জেলার মুসল্লিরা দুই ধাপেই অংশ নিতে পারবেন।
ইজতেমার নিরাপত্তা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার দুপুরে পরিদর্শনকালে ইজতেমার শীর্ষ মুরুব্বিদের সঙ্গে সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।
এর আগে ইজতেমা উপলক্ষে গঠিত পুলিশ কন্ট্রোলরুমে এক ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। এজন্য অনেক ষড়যন্ত্রের পরও এদেশের মানুষ নাশকতাকে ঘৃণা করছে। এজন্য নাশকতা এবং জঙ্গিবাদকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।’
পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, পুলিশের ডিআইজি মাহফুজুল হক নূরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক এসএম আলম, পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ইজতেমার মুরুব্বিরা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি প্রথম পর্ব ও ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় পর্বের ৫০তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে বিদেশি প্রায় ৪ হাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে এসে পৌঁছেছেন।
সূত্র:বাংলানিউজ