আচ্ছা এই কথাটি শুধু উৎসবের বেলায় প্রযোজ্য কেনো? সবকিছুতে প্রয়োগ করা হলে তো আরো ভালো জমতো। যেমন ধর্ম যার যার বৈবাহিক সম্পর্ক সবার…
কথাগুলো শুনে অনেকের চোখ কপালে উঠে থাকলে আমি দুঃখিত। এর জন্য আপনার অজ্ঞতাই দায়ী। তবে এরকম বিশ্বাস লালন করা লোক বর্তমানে আছে। যদিও খুব অল্প। এরা চুড়ান্ত ধাপে পৌছে গেছে আর আপনি প্রথম ধাপে। আপনি এভাবে চালিয়ে গেলে হয়তো আপনার নাতিপুতিরা এই বিশ্বাস ধারণ করে ভিন্নধর্মী কারো সাথে সংসার করবে।
♣উৎসব যেভাবে একটি ধর্মীয় সংস্কৃতি বিবাহও ধর্মীয় সংস্কৃতির অংশ। আর একটি ধর্ম বা মতবাদের অন্যতম উপাদান হলো তার নিজস্ব সংস্কৃতি। সংস্কৃতির মাধ্যমেই প্রতিটি ধর্মের স্বকীয়তা বজায় থাকে। এজন্য প্রতিটি ধর্মই তার স্বকীয় সংস্কৃতিকে বিধানরূপে আরোপ করেছে।
সুতরাং প্রতিটি ভিন্ন মতবাদের ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি থাকা অপরিহার্য।
সংস্কৃতির গুরুত্ব সম্পর্কে এই নুন্যতম ধারনা যার আছে সে কখনোই ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার ‘ কথাটি সমর্থন করতে পারেনা।
তবে ধর্ম যাদের চক্ষুশূল তারাই এই অযৌক্তিক কথাটি প্রচার করেছে। এরা আবাল শ্রেণীর মাঝে এজাতীয় কথা প্রচার করে সব ধর্মের মধ্যে তালগোল পাঁকিয়ে ধর্মকে অকার্যকর করার পায়তারায় লিপ্ত।
সুতরাং সকল ধর্মাবলম্বীরা নিজ ধর্মের স্বকীয়তা বজায় রাখতে নাস্তিকদের দূরভিসন্ধি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
♣ইসলাম কখনোই ভিন্ন ধর্মের সংস্কৃতি বা রীতিনীতি পালন করা সমর্থন করেনা। ভিন্ন ধর্মের সাথে সম্প্রীতি রক্ষা করার গুরুত্ব ইসলামে রয়েছে। কিন্তু ভিন্ন ধর্মীয় সংস্কৃতির সামান্য বিষয়েও সামঞ্জস্য না রাখতে ইসলাম সতর্ক করে দিয়েছে। এমনকি পোষাক পরিচ্ছদেও। আর উৎসব পালন করাতো চরম ঔদ্ধত্য।
তাই একজন মুসলিম হিসেবে এজাতীয় ভ্রান্ত বিশ্বাস প্রতিরোধ করাই আমাদের কর্তব্য।