জুলফিকার মাহমুদী : হযরত কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী (র.) ইন্তেকাল করলেন। তাঁর জানাযার জন্য পঙ্গপালের মতো ছুটে এলো বহু.মানুষ। বিশাল মাঠে জানাযার আয়োজন করা হলো। জনসমুদ্রে পরিণত হলো মাঠ। জানাযার সময় হলে একজন ঘোষক ঘোষণা করলেন, হযরত বখতিয়ার কাকী (র.) ইন্তেকালের পূর্বে আমাকে ওসিয়ত করে গেছেন, যার মাঝে চারটি গুন থাকবে তিনি যেন বখতিয়ার কাকী (র.) এর জানাযা পড়ান।
গুন চারটি হলো:
১. যার জীবনে কোনদিন তাকবীরে উলা ছোটেনি।
২. যার কোনদিন তাহাজ্জুদ কাযা হয়নি।
৩. যে কোনদিন গায়রে মাহরামের দিকে বদনজরে তাকাননি ।
৪. এমন ইবাদতগুযার, যার কোনদিন আসরের সুন্নতও ছোটেনি।
একথা শোনার পর পুরো মাঠে নিরবতা ছেয়ে গেলো। সবাই নিস্তব্ধ। কে আছেন এমন? এভাবেই কেটে গেলো বেশ কিছুক্ষণ। এরপর ভীড় ঠেলে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে এলেন একজন। সবার দৃষ্টি তাঁর দিকে। ধীরে ধীরে জানাযার দিকে এগিয়ে এলেন। লাশের মুখ থেকে চাদর সরিয়ে বললেন, কুতুবুদ্দীন ! তুমি নিজে তো চলে গেলে কিন্তু। আমাকে অপদস্ত করে গেলে। তারপর তিনি জনসম্মুখে আল্লাহ তা‘য়ালাকে সাক্ষী রেখে কসম খেয়ে বললেন, আমার মাঝে এই চারটি গুণ আছে। জনতা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলো। আরে !! ইনি কে?? তিনি আর কেউ নয়। তিনি হলেন তৎকালীন বাদশাহ শামসুদ্দীন আলতামাশ (র.)। সুবহানাল্লাহ ! একজন বাদশাহ যদি নিজের সকল ব্যস্ততা সত্বেও এমন আবেদের জীবন যাপন করতে পারেন । তাহলে আমরা যারা বিভিন্ন চাকরি বা ব্যবসা কিংবা অন্য কোন পেশায় নিয়োজিত, আমরা কি পারিনা এভাবে নিজেকে ইবাদতে ব্যস্ত রাখতে ! হে আল্লাহ! আমাদের সবাইকে বেশী বেশী ইবাদত করার তাওফীক দান করুন। আমীন !!