বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ দুপুর ১২:২১
Home / আন্তর্জাতিক / এরদোগান পুতিন মিলে তুরস্কের পারমাণবিক প্লান্ট উদ্বোধন

এরদোগান পুতিন মিলে তুরস্কের পারমাণবিক প্লান্ট উদ্বোধন

ভাবছেন এরদুগান কেন গণহত্যাকারী পুতিনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করে পরমাণু চুল্লি তৈরি করছে, আমরা সবাই জানি বড় কিছু পেতে হলে সাময়িক ক্ষতিকে মেনে নিতে হয়। কারণ বর্তমানে পরমাণু শক্তি চীনের প্রাচীরের মত ঢাল হিসেবে কাজ করে, তাই তা যেকোন পন্থায় অর্জন করা বুদ্ধিমানের কাজ, রাশিয়া তুর্কিকে পরমাণু চুল্লি বানিয়ে দেবে এর বদলে রাশিয়া তুরস্ক দিয়ে পাইপ-লাইনের মাধ্যমে ইউরোপে গ্যাস রপ্তানী করবে, এতে পরাশক্তি রাশিয়ার কাছে তুরস্কের গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যাবে ফলে সিরিয়ায় আসাদ বাহীনিকে জব্দ করতে পারবে এরদুগান। তাছাড়া এরদুগান সিরিয়ার মুসলিমদের জন্য একেবারে কিছু করেনি তা বলতে পারবেননা কারণ গৌতাবাসীকে আল-বাবে আশ্রয় দিচ্ছে তুরস্ক নিশ্চয় তারা যেখানে সুরক্ষিত থাকবে ও শিক্ষা, চিকিৎসাও পাবে। মূল সংবাদটি>>
তুরস্কের প্রথম পরমাণু কেন্দ্র ‘আকুইয়ু’উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির মারসিন প্রদেশে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ প্রকল্প উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন উপলক্ষে আঙ্কারা এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

তুরস্কের এ পরমাণু কেন্দ্রটি নির্মাণ করে দিচ্ছে রাশিয়া। এ উপলক্ষে আঙ্কারা জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। খবর আনাদলু এজেন্সির। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হবে ভূমধ্যসাগর উপকূলীয় শহর মারসিনে।আকুইয়ু পরমাণু স্থাপনাটি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি সংস্থা রোজাটম নির্মাণ করবে। তুর্কি এ স্থাপনায় চারটি ইউনিট থাকবে এবং প্রতিটি ইউনিট ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে।

পরমাণু স্থাপনাটি নির্মাণ করতে মোট ব্যয় হবে দুই হাজার কোটি ডলার এবং প্রতিষ্ঠানটি বছরে আট হাজার ঘণ্টা কাজ করতে পারবে। পরমাণু স্থাপনাটি নির্মাণের বিষয়ে ২০১০ সালে রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের চুক্তি হয়েছিল।

আল-জাজিরা টেলিভিশন জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে দুটি ইউনিটের কাজ শেষ করা হবে যা থেকে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। পরবর্তীতে বাকি দুটি ইউনিটের কাজ শেষ করা হবে।

স্থাপনাটি পুরোপুরি চালু হলে সেখান থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে যা তুরস্কের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার শতকরা ১০ ভাগ। এই পরিমাণ বিদ্যুৎ লাগে শুধু ইস্তাম্বুল শহরেই।

পরমাণু স্থাপনাটি চালু করার জন্য প্রাথমিক সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৩ সাল এবং পূর্ণ মাত্রায় চালু হবে ২০২৫ সালে। স্থাপনাটি নির্মাণের জন্য পুরোপুরি কাজ শুরু হলে ১০ হাজার লোক নিয়োগ পাবে আর বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলে সেখানে সাড়ে তিন হাজার ব্যক্তি চাকরির সুযোগ পাবে।

এ স্থাপনায় কাজ করার জন্য তুরস্কের ২৪৮ জন ছাত্রকে রাশিয়ায় লেখাপড়া করানো হয়েছে। এর মধ্যে গত মাসে ৩৫ জন ছাত্র গ্র্যাজুয়েট হয়েছে যাদের লেখাপড়া শেষ করতে সময় লেগেছে সাড়ে ছয় বছর।

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...