রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ সকাল ১০:৫১
Home / আন্তর্জাতিক / সৈাদী ইরান যুদ্ধ অত্যাসন্ন!

সৈাদী ইরান যুদ্ধ অত্যাসন্ন!

আমেরিকার প্রচ্চন্ন ইংগিতেই ইরান হুথিদের দিয়ে মক্কা মদীনার দিকে মিসাইল মারে …

যাইদ হারিস:
আমরা এমন একটি বিচক্ষণ যুবরাজই চাই যিনি সবসময় তার লক্ষ্যবস্তুতে অনড় থাকবেন। বিশ্বের একমাত্র শির্ক ও বেদাদমুক্ত দেশ হল সৌদি আরব। তাওহীদের পতাকার ছায়াতলে যার প্রতি ইঞ্চি মাটি সুরক্ষিত। তিনি এবার ইহুদিদের জাতভাই শীয়া ইরানকে নিশানায় রাখলেন। মক্কা ও মদিনার হেফাজতের দায়িত্বে থাকা সৌদিকে আমরা সমর্থন দেওয়া থেকে বিরত থাকবনা বৃহৎতর স্বার্থের জন্য, কারণ ইরান তার কলুষিত আক্বিদা নিয়ে মুসলিমদের ধ্বংস করার জন্য লিপ্ত, তাই আপনারা যারা সৌদি বিরুধী তারা আরেকটিবার ভেবে দেখুন। এবার মূল সংবাদটি পড়ুন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
সৌদি যুবরাজ আন্তর্জাতিক মহলকে ইরানের ওপর আরো চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন যাতে দেশটির সঙ্গে সশস্ত্র যুদ্ধ এড়ানো যায়। মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ‘সশস্ত্র সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য আমাদের এতে সফল হতে হবে। আমরা যা করতে চাইছি তাতে সফল না হলে, আমরা ১০-১৫ বছরের মধ্যে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারি।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগে বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করা হয়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য, জার্মানি এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে করা চুক্তিতে অবরোধ শিথিল করার বিনিময়ে ইরান তাদের পরমাণু কার্যক্রম সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ওই চুক্তির ফলে খামেনির সরকার আরব দেশগুলোর আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সুযোগ পেয়েছে। পরমাণু চুক্তির পর ইরান সিরিয়া ও ইরাকে তাদের প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। তারা সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধা ও বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করছে। সম্প্রতি সৌদি বাহিনী ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। পরে তারা দেখতে পান ওই ক্ষেপণাস্ত্র ইরানের তৈরি।
সাক্ষাৎকারে সৌদি যুবরাজ বলেন, ‘হুথি বিদ্রোহীরা নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার আগে যতটা সম্ভব ক্ষয়ক্ষতি করে যেতে চায়।’ তিনি আরো বলেন, ইয়েমেনে তাদের হস্তক্ষেপ না করে কোনো উপায় ছিল না। তা না হলে সেখানে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন সেখানে আস্তানা তৈরি করত। সৌদি যুবরাজ বলেন, ‘আমরা পদক্ষেপ না নিলে ইয়েমেন হুথি ও আল কায়েদার বিদ্রোহীরা দুই ভাগ করে নিত।’

সুত্র: ইসলামিক ইউনিটি

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...