কিন্ডারগার্টেন কি ও কেন?
কিন্ডারগার্টেন মানে হলো শিশু বিদ্যালয়। সাধারণত প্রাইভেট প্রাইমারি স্কুল গুলোকে সংক্ষেপে কেজি স্কুল বলে। শিশুদের জন্য কিন্ডারগার্টেন দেশে খুব সুনাম কুড়িয়েছে। অনেক অভিভাবকগণ পছন্দের কেজিতে শিশুদের ভর্তি করাতে সুখবোধ করেন। কারণ সেখানে চাহিদা মতো অনেক কিছু সংযোগ করা যায়। সরকারি বিদ্যালয় হলে সেখানে সরকারের সেটাপের বাহিরে কিছু করার থাকেনা। আর সরকারি ভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে শিক্ষার আলো পৌছিয়ে দেবার সেই ক্ষমতা এখনো হয়নি। তাই কেজিগুলো তাতে মোক্ষম ভুমিকা পালন করছে।
আফসোসের বিষয় হলো দেশের বৃহত্তর পরিশরে এনজিওগুলো বিদেশী অনুদান নিয়ে শিশুদের কাছে শিক্ষার আলো পৌছানোর কথা বলে ভিন্ন কৃষ্টি কালচার ভিন্ন ধর্মের আচার আচরন ও বিশ্বাস তার আড়ালে প্রচার করছে। ইসলাম ও মুসলমান বিরোধী মানস গড়ার পিছনে এই এনজিও পরিচালিত কিন্ডারগার্টেন গুলো দায়ী। বিশেষ করে সংখ্যালঘু এলাকায় যেমন চিটাগাং বান্দরবন ও পার্বত্য এলাকায় তারা তাদের রাজত্ব কায়েম করে ফেলেছে। এমনকি গোটা উত্তরবঙ্গ এখন তাদের দখলে।
আমরা শুধু ঘৃণা প্রকাশ করছি আর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু বাস্তব উদ্যোগ গ্রহন করছিনা। আর আক্ষরিক অর্থে বাস্তব উদ্যোগ না নিলে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে।
বর্তমান প্রচলিত আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রিক ইবতেদাইয়াহ মাদরাসা গুলোর অবস্থা খুব ভালনা। একদিকে সরকারি হওয়ায় পাবলিকের কিছু করার ক্ষমতা নেই। তাই সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে সেখানে অভাব অনটন দুরাবস্থা করে রেখেছে। জামাত শিবির হওয়ার বদনামও তাদের পিছু ছাড়ছেনা। তবে মাজার ও কবর পুঁজারিরা সেখান থেকে ভাল ফায়দা হাসিল করছে। ইসলামকে বিকৃত করার জন্য কাদিয়ানী বা অন্য কোন দাজ্জাল লাগবেনা; তারাই যথেষ্ট।
অন্যদিকে কওমি মাদরাসা কেন্দ্রিক মক্তবগুলোর মরিমরি বাঁচিবাঁচি অবস্থা। ভাল ঘরের সন্তানরা আসেনা পরিবেশ ভাল না থাকার কারণে, তেমনি জাতীয় শিক্ষার সাথে সংযোগ না থাকার কারণেও। অনেক মাদরাসা মক্তব বিভাগ বন্ধ রেখেছেন ছাত্রের অভাবে। আর যেখানে আছে সেখানে কেবল নিজেদের মাদরাসা টিকিয়ে রাখা বা চালানোর জন্য প্রডাকশন জারি রাখার কসরত স্বরূপ।
অবস্থার পরিবর্তন আস্তে আস্তে হচ্ছে। অনেকেই কিন্ডারগার্টেন খুলতে শুরু করেছেন। মক্তবকে কিছুটা চেন্জ করে কওমি ও স্কুলের বা আলিয়ার ও কওমির সিলেবাস ফলো করে কেজির সিলেবাস প্রণয়ন করে সাফল্যের সাথে এগিয়ে চলেছেন। আমি মনেকরি আলিয়ার চেয়ে স্কুলের সিলেবাস ফলো করা ভাল। কারণ দ্বীনীয়াত থাকবে আপনার পছন্দ মত। আর সাধারণ বই থাকবে স্কুলের।
দেখাগেছে আলেমগণ যারাই কিন্ডারগার্টেন খুলেছেন তাদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা শুধু নয় স্কুল গুলোও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মানুষের আস্থা এবং ভালবাসা উলামাদের উপর আরো বেড়ে যায়। ফলাফলও ভাল হয়। কারণ উলামাগণ মেহনত কাকে বলে তা ভাল করে জানে।
অনেকে ভাবেন হয়তো বিষয়টা খুব জটিল বা ব্যয়বহুল। তাই কল্পনা করতে পারেন না। বা কোন প্রকার আইডিয়া না থাকার কারণে ইতস্তবোধ করেন। তাদের সকলের জন্য আজকের এই অবতারণা। দেখবেন কিছু মুর্খ ফতোয়াবাজ এসে বাঁধা দিবে। বলবে তুমি মাদরাসা ছেড়ে স্কুল করতোছো? গোমরাহী তোমাকে পেয়ে বসেছে! দেখবেন তাকে যদি বলেন চলো অমুক প্রফেসর খুব দানশীল। হাত পাতলেই দান করেন। তিনি তখন ছাতা লাঠি রাস্তায় রেখেই ভুঁ দৌড় দিবেন সেই স্কুল কলেজ পড়ুয়া প্রফেসরের বাড়ির দিকে। তার কাছ হতে দান গ্রহন করতে। এগুলো হচ্ছে একপ্রকার মুর্খতা। তাই এসবকে পায়ে মেড়ে এগুতে হবে। সে জানেনা আজ আটারো কোটি বাংলাদেশিদের সন্তানদের ভবিষ্যত কোথায় যাচ্ছে? তার মুর্খতাই তাকে অন্ধ করে ফেলেছে। অতএব বাঁধা বিপত্তি মাড়িয়ে এগুনোর সাহস থাকতে হবে বুকে।
কিভাবে করবেনঃ
অন্যান্য বেসরকারি মক্তব মাদরাসা যেভাবে কায়েম হয় সেভাবেই করবেন। যাদের কাছে মক্তব আছে তারাতো খুব সহজে শুরু করতে পারেন। ভাড়া ভবন বা দানশীলদের দান হউক কিংবা পুরানা কোন শিক্ষালয়। এমনকি আপনি স্থানীয় কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে এভাবে চুক্তিতে আবদ্ধ হতে পারবেন যে, তারা তো ভোর সকালে কোন ক্লাস নিচ্ছেন না। তাহলে দ্বীনের খেদমতের জন্য অথবা কিছুটা ভাড়ায় হলেও নিয়ে নিতে পারেন। আগেকার সবাহী মক্তবের সময়কে বেছে নিবেন কিন্ডার গার্টেনের জন্য। শহরে তো খুব ইজি। গ্রামে কারো টংগি ঘরেও করতে পারবেন। এমনকি জামে মসজিদ বা স্থনীয় মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলে জোহরের আগের সময়টা নিয়ে নিলেন।
ক্লাসের সময় নির্ধারণঃ
সময়টা নির্ভর করে স্থান কাল ভেদে। মসজিদ সংশ্লীষ্ট হলে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। শিশু শ্রেণীর জন্য সপ্তাহে চার দিনের উপর ক্লাস রাখবেন না। বয়স ৪/৫ থেকে ৭ পর্যন্ত। প্রয়োজনে ছাত্র/ছাত্রী বেশি হলে তিন দিন করে দুই সিপ্টে করবেন। ৩য় শ্রেণী থেকে ৫দিন করে ক্লাস নিবেন ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত। একই জায়গায় সকালে হবে শিশু ক্লাস। দুপুরের পর হবে। ৩য়-৫ম‘র ক্লাস।
ক্লাস রুম, বসা ও অন্যান্য পরিবেশঃ
বাংলাদেশে ধুলাবালি বেশি। তাই মাটিতে বসে ক্লাস করানো স্বাস্থ্যকর নয়। শিশুদের জন্য মাটিতে বসা সহ সাথে ছোট প্লাস্টিকের চেয়ার ও কাঠের ডেস্ক রাখবেন। আরেকটু বড় হলে মানে ৩য় ক্লাস হতে চেয়ারে বসে সামনের ডেস্কে বই রেখে পড়াবেন। মসজিদে সাধারণত চেয়ার টেবিল ও ডেস্ক রাখা মুশকিল। তাই সেখানে ইউরোপে এক প্রকারের প্লাস্টিকের ডেস্ক ব্যবহার হয়। যা ৩ ফুট লম্বা ১ফুট উচ্চতা এবং ১ফুট প্রসস্থ। যা কার্পেটে রেখে পড়ানো যায়। ক্লাস শেষে একটির উপর আরেকটি তুলে রাখা যায়। খুব অল্প জাগায় সব সংকোলান হয়। পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ফ্লোরে বসিয়েও পড়ানো যায় তবে ধুলাবালি মুক্ত হতে হবে। উন্নত দেশেগুলোর মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারগুলোতে যে সুবিধা পাওয়া যায় তা বাংলাদেশে পাওয়া মুশকিল। অতএব মসজিদ আপাত এড়িয়ে চলবেন।
মসজিদ শিশু শ্রেণীগুলোর জন্য খুব উপযুক্ত। তবে উপরের ক্লাসগুলোর জন্য আলাদা কেম্পাস খুব জরুরি। ক্লাস রুম থাকতে হবে আলোকিত। সুর্যের আলোতে যেন আলোকিত থাকে। বাহিরের ফ্রেস বাতাস আসা যাওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। আলাদা অফিস রুম, আলাদা লাইব্রেরি থাকবে। থাকবে প্রতিটি ক্লাস রুমে শিশুতোষ শিক্ষণীয় ওয়াল পেইন্টিং। পোস্টার বানিয়ে লাগাতে পারেন।
এমন ভাবে ডেস্ক বানাবেন না, যা সরানো যায়না। ছোট ছোট চেয়ার ও টেবিল হলে তা সরানো যায়। বাহিরে উঠোন থাকা খুব জরুরি। যেখানে তারা পিটি করবে। দৌড়াবে। বেয়াম করবে। খেলাধুলা করবে। দুলনা ঝাম্প বেড ফুটবল সহ খেলনা সামগ্রি রাখবেন। বিরতির সময় টিপিনের খাবারের আলাদা রুম থাকা জরুরি নয়। তবে স্বেচ্ছাসেবক কেউ থাকবেন তাদের দেখাশোনা করার জন্য।
মনে রাখবেন শিশুদের প্রতি দেড় ঘন্টা পর বিরতি ও দৌড়ানো ও উলট পালটের সুযোগ দিতে হবে। সাবজেক্ট পরিবর্তন ও স্থানের পরিবর্তন করতে হবে। পানি ও সাধারণ চকলেট ইত্যাদির আয়োজন রাখবেন। অভিভাবকদের জন্য বসার আলাদা আরামদায়ক জায়গা রাখবেন। যেখানে বসে তারাও যেন কিছু শিখতে পারে। প্রয়োজনে সেখানেও বিশেষ কোর্স চালু করতে পারেন।
আসবাব পত্র কিভাবে যোগাড় করবেন?
ইহা খুব সস্তা নয়। অনেক অর্থ লাগে। তাই দ্বীনদার শিক্ষানুরাগীদের কাছ হতে দান গ্রহন করবেন। কাউকে বলুন চেয়ার দিতে। কাউকে টেবিল। কাউকে ডেস্ক। এভাবে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কালেকশন করতে পারেন। অথবা যারা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বিদেশ যেতে চাইছেন তাদের বলবো এখানে দশজন মিলে দশলক্ষ টাকা ইনভেস্ট করুন। দেখবেন তা উঠতে সময় লাগবেনা।
আপনাকে কিছু প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখতে হবে। আরো দু একটি কিন্ডারগার্টেন পরিদর্শন করে আসুন। মাদরাসার মতো নাম না দিয়ে সাধারণ নাম রাখুন। নামটা যেন এভাবে না হয় যেমন: জামেয়া মাদানিয়া নুরানিয়া ইসলামিয়া হুসাইনিয়া হাফিজিয়া মজিদিয়া কিন্ডারগার্টেন? ছোট নাম রাখুন । যেমন- ইবনে খালদুন একাডেমি। শাহ ওলিউল্লাহ কিন্ডারগার্টেন ইত্যাদি।
প্রথমে বড় কিছু করার প্রয়াস নিবেন না। আর তাড়াহুড়া করবেন না। ৫বছর অপেক্ষা করতে হবে যাতে আপনার শিশুরা সরকারি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। শিশু শ্রেণীতে বেশি শিক্ষার্থী হলে ক বিভাগ খ বিভাগ এভাবে আলাদা করুন। পনের জনের উপরে একটি ক্লাসে ছাত্র/ছাত্রী রাখবেন না।
নিয়মিত আর্থিক যোগানঃ
আপনার প্রতিষ্ঠানে যারা পড়বে তাদের অভিভাবকরা ভর্তি ফী ও মাসিক টিওশন ফী পরিশোধ করবে। শুরুতে ভর্তি ফী ১০০/২০০/৩০০/৪০০/৫০০ মত রাখুন। মাসিক এভাবে বুঝে শোনে ৫০০/৬০০/৭০০/১০০০। সেটা নির্ভর করে আপনার এরিয়ার উপর। আমি খুব সাধারণ এলাকার কথা বললাম। শহরে তো অনেক বেশি ফী গ্রহন করা হয়। ফ্রি ভর্তি হলে আরো ভাল। ভাল লেখাপড়া হলে মানুষ বাচ্চাদের নিয়ে উপচে পড়বে। টাকার বস্তা নিয়ে আপনার পিছনে ঘুরবে। তবে মনে রাখবেন শুধু টাকার নেশায় যেন আপনাকে পেয়ে না বসে। উন্নত লেখাপড়ার নেশায় যেন ধরে। প্রথম দিকে ভর্তুকি লাগবে। তা কুলিয়ে নিতে পরিচালক বৃন্দকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
যারা পরিচালনা করবেন তাদের মধ্যে নীতিমালা প্রণয়ন হবে। প্রতিষ্ঠানের জন্যও নীতিমালা তৈরি করবেন। প্রয়োজনে আমাদের প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা চাইলে দেয়া যাবে। এখানে তা আলোচানার অবকাশ নেই। পরিচালক বৃন্দ যোগ্য হলে নিজে শিক্ষকতায় যোগদিন। পার্টটাইম অনেক স্কুল কলেজ মাদরাসা পড়ুয়া স্টুডেন্ট শিক্ষক হিসাবে পাওয়া যায়। তবে শিশুদের জন্য মহিলারা খুব উপযোগী। মহিলাদের জন্য ভাল উপযুক্ত আয়োজন থাকলে তাদের খেদমত নিবেন। যারতার দক্ষতার উপর প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত নির্ভর করে। তাই সবসময় ভাল যোগ্য শিক্ষক রাখার চেষ্টা করবেন।
আপনি যখন শুরু করবেন তখন আস্তে আস্তে জানা হবে কিভাবে কেমনে কি। প্রথম প্রথম হয়তো অন্য কারো রেজিস্টার প্রতিষ্ঠানের নামে ৫ম শ্রেণীতে পরীক্ষা দেয়া হতে পারে। পরে তো আপনার নিজের করে নিলেই হলো। কিভাবে কি তা অন্য সময়। সাঁতার শিখতে পানিতে নামলে সাাঁতার শিখা হয়ে যায়। তাই আপনিও পথঘাট শিখে নিবেন।
সিলেবাসঃ
নার্সারিতে আপনার পছন্দের বই যোগ করবেন। বই খুব অল্প রাখবেন। ইসলামিক নার্সারি সিলেবাস আমাদের কাছে আছে চাইলে ইনবক্সে দেয়া যাবে। আর যখন ১ম ক্লাস হবে তখন স্কুলের মেইন বইর সাথে অতিরিক্ত ইসলামিক বই যোগ করবেন। এভাবে ৪র্থ শ্রেণী পর্যন্ত। ৫ম শ্রেণী যেহেতু ফাইনাল পরীক্ষা দিবে সেখানে স্কুলের বইর সাথে প্রয়োজনীয় দ্বীনী বই সংযোগ করা হবে। অনেক কেজির তৈরি সিলেবাস আছে চাইলে আপনাকে দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ। শুধু কাগজে কলমে বললে চলবে না, কিছু ইসলামিক কেজি পরিদর্শন করা আপনার জন্য আবশ্যক।
বাংলাদেশের ৬৭ হাজার গ্রামে এভাবে ৬৭ হাজার ইসলামিক কেজি করে শিক্ষার বিপ্লব ঘটাতে হবে আমাদের। ফেদায়ে মিল্লাত হজরত আসাআদ মাদানী রাহ:‘র শেষ জীবনের ওসীয়ত হলো মুসলমানদের উদ্দেশ্যে যে, ভাই মসজিদ মাদরাসা অনেক হয়েছে এখন সময় ইসলামিক স্কুল কলেজ কায়েম করার। কারণ স্কুল কলেজকে মুসলমান বানানো এখন আমাদের কর্তব্য।
সাহস করে আপনি আগাইয়া আসেন দেখবেন আল্লাহর নুসরাত আপনার পাশে চলছে। যারা দাঁড়িয়েছে তারা সফল হয়েছে। আপনি স্কুল কলেজ/ কওমি/মাদরাসার ফারেগ হলে অসুবিধা কি? আপনি পরিচালক হবেন। প্রধান শিক্ষক থেকে প্রিন্সিপ্যাল আপনি নিয়োগ দিবেন তাতে কোন অসুবিধা নেই। আপনার প্রতিষ্ঠান আপনি চালাবেন তাতে কেউ এসে নাক গলাতে পারবে না।
বিশ্বাস করুন অনেক মানুষের যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে তেমনি স্কুল কলেজে আপনার দাওয়াত পৌছে যাবে ইনশা আল্লাহ। আপনি দেখবেন আপনার প্রতিষ্ঠানে ডাক্তার প্রফেসার পুলিশ অফিসার সকলের সন্তানরা এসে পড়ছে। সকলের সাথে একটা মৈত্রী তৈরি হবে সন্দেহ নেই।
ইউনিফর্ম লগো খাতা সহ অনেক কিছু আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রডাক্ট হবে। তা থেকে একটা আয়ও করতে পারবেন। একটা শাখা খুলে সফল হলে অন্য জায়গায় আরেকটি করুন। সফলতা আপনার পায়ে এসে চুমো খাবে। নাসরুম মিনাল্লাহি ওয়া ফাতহুন ক্বারীব।
খতিব তাজুল ইসলাম
প্রিন্সিপ্যাল: মাদরাসাতুন নূর আল-ইসলামিয়া, লন্ডন।
২৫/১০/২০১৭