আমেরিকান ধর্মান্তরিত মুসলিমদের প্রতি পাঁচজনের মধ্য একজন ধর্মান্তরিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে প্রকৃতপক্ষে অন্য ধর্ম সম্পর্কে বিস্তর গবেষণা করেন কিংবা আদৌ কোনো বিশ্বাসে বিশ্বাসী ছিলেন না। পিউ রিসার্চ সেন্টারের নতুন এক গবেষণা এ তথ্য ওঠে এসেছে।
সম্প্রতি মার্কিন মিডিয়া ‘বাজফিড নিউজ’ পৃথক চারজন মুসলমানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় কেন তারা ইসলামে ধর্মান্তরিত হলেন এবং এই প্রক্রিয়া কিভাবে তাদের জীবনকে প্রভাবিত করেছে।
তাদের কাছে আরো জানকে চাওয়া হয় বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে কেন তারা মুসলিম হওয়ার বিষয়টি বেছে নিলেন এবং কিভাবে তারা তাদের নতুন ধর্মে নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নিচ্ছেন।
অ্যানিকা হ্যাকফেল্ড ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার আগে একজন ধার্মিক খ্রিস্টান ছিলেন। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ১৮ বছর বয়সে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। যদিও তার পরিবারের সদস্যদের সবাই ট্রাম্পের গোঁড়া সমর্থক।
গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করলে অন্যদের সঙ্গে অ্যানিকাও এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন।
ক্রিস সেন্ট লুই ৯/১১ এর বিয়োগান্ত ঘটনার পর ইসলাম সম্পর্কে জানার সিদ্ধান্ত নেন।
সেন্ট লুই ইসলামি বিশ্বাসের অনুসারী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন যখন তিনি অনুভব করতে পারেন যে, এর সংস্পর্ষ তার মনে অন্যরকম শান্তির অনুভূতি নিয়ে আসে। তিনি তার সারা জীবনে যেসব কষ্টের মুখোমুখি হয়েছিলেন ইসলামের পরশে তা মুহূর্তে উধাও হয়ে যায়।
ক্যাসান্ড্রা ভিলারাল আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলে বেড়ে ওঠেন এবং ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো মুসলমান সম্পর্কে তিনি জানতেন না।
হিজাব পরতে পছন্দ করার কারণে তিনি বেশ কিছু বাধার মুখোমুখি হয়েছেন কিন্তু এসব বাধা তাকে হিজাব পরা থেকে বিরত রাখতে পারেনি।
রেমন্ড মার্টিনেজ এক সময় তিনি তার জীবনের অনুভূতি হারিয়ে ফেলেন এবং বেঁচে থাকার তাগিদে ও জীবনের দিক-নির্দেশনার প্রয়োজনে ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি এখন বলছেন যে ইসলাম গ্রহণ করার পরে তার জীবন সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তিত হয়েছে; কারণ তার নতুন বিশ্বাস তাকে একটি ভালো চাকরি খুঁজে পেতে সক্ষম করে এবং সেইসঙ্গে যে নারীকে তিনি মনে মনে পছন্দ করতেন তার প্রেমে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত তিনি তাকে বিবাহ করতে সক্ষম হন।