আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশের খান শেইখুন শহরে হামলায় কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছেন। এটিকে রাসায়নিক অস্ত্রের হামলা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ কথা জানিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। ওই পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান বলছে, সিরিয়ার সরকার বা রাশিয়ার বিমানবাহিনী এ হামলা চালিয়েছে। এ হামলার কারণে অনেক লোকের শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, ওই হামলার পর স্থানীয় একটি ক্লিনিকে বিমান থেকে রকেট হামলা চালানো হয়। ক্লিনিকটিতে রাসায়নিক হামলায় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা চলছিল।
রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা বারবার অস্বীকার করে আসছে সিরিয়ার সরকার। তবে এটা নিশ্চিত, এই হামলাটি ছয় বছর আগে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে মারাত্মক রাসায়নিক হামলাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
ইদলিবে দাতব্য অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ রাসাউল বিবিসি অ্যারাবিককে বলেন, স্থানীয় সময় সকাল পৌনে সাতটার দিকে তিনি বিমান হামলার খবর পান। ২০ মিনিট পর তাঁদের তিনটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তাঁরা দেখতে পান যে রাস্তায় লোকজন শ্বাসরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
রাসাউল বলেন, ‘আমাদের দল সেখানে কাজ করছে। হাসপাতালগুলোতে স্থানসংকুলান না হওয়ায় দলটি রোগী নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটছে। পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এই হামলার সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছে শিশুরা।’ রাসাউল জানান, এ হামলায় কমপক্ষে ৬৭ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১টি শিশু রয়েছে। এ হামলার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়া, বমি করা এবং মুখ দিয়ে ফেনা ওঠার লক্ষণ দেখা গেছে। তবে বিমান থেকে কী ধরনের রাসায়নিক ফেলা হয়েছে, তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।