সান ফ্রান্সিসকো ক্রনিকল : প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ১৬ মার্চ আগামীকাল হোয়াইট হাউসে সউদী উপ-যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে সাক্ষাৎ করবেন তখন নয়া কমান্ডার-ইন-চিফ মধ্যপ্রাচ্যের এক প্রভাবশালী দেশ ও বিশে^র শীর্ষ তেল উৎপাদনকারীর সাথে তার প্রশাসনের সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করবেন।
ক্ষমতায় আসার পর এটাই হবে পশ্চিমা মিত্র কোনো উপসাগরীয় দেশের রাজপরিবারের কারো সাথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম সাক্ষাৎ। সউদী প্রিন্সের এ সফর মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সউদী আরবের অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের কাছে এ অঞ্চলের প্রতি তার নীতি উদ্দেশ উপস্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি করবে। সিংহাসনের দ্বিতীয় দাবিদার ৩১ বছর বয়স্ক প্রিন্স মোহাম্মদ সউদী আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং তিনি দেশের অর্থনীতির সংস্কারেরও দায়িত্বে রয়েছেন। ট্রাম্পের সাথে তার বড় ছেলের সম্পর্কের মত প্রিন্স মোহাম্মদেরও তার পিতা বাদশাহ সালমানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
আলোচনা করার মত অসংখ্য বৈশি^ক ও আঞ্চলিক বিষয়ের প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের আমলে মার্কিন-সউদী সম্পর্কের ফাঁক-ফোকর ও বাধা বিষয়ে দৃষ্টি দেয়া যাক :
অভিন্ন লক্ষ্যগুলো কি?
সউদী আরব ইরানের ব্যাপারে ট্রাম্পের কঠোর বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে যা তেহরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি নিশ্চিত করতে ওবামা প্রশাসনের গৃহীত প্রচেষ্টার বিপরীত। সউদী আরবের তীব্র আপত্তি সত্তে¡ও ওবামা প্রশাসন এ চুক্তি করে।
ট্রাম্প প্রশাসন নতুন ভিসা পেতে ইচ্ছুক ইরানি নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
সউদী আরব ইয়েমেন, বাহরাইন, লেবানন, ইরাক ও সিরিয়ায় শিয়া ইরানের প্রভাবকে তার নিরাপত্তার প্রতি বিপজ্জনক হিসেবে দেখে।
সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের গত মাসে বলেন যে ইরানের প্রাধান্য সংযত করার ব্যাপারে ট্রাম্পের বক্তব্য ঠিক সউদী অবস্থানের মতই। তিনি আরো বলেন, সউদী আরব ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যাপারে আশাবাদী।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতি অনুযায়ী জানুয়ারিতে ট্রাম্প ও সউদী বাদশাহ সালমানের মধ্যে ফোনালাপে সিরিয়া ও ইয়েমেনে নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সমর্থন করতে উভয়ে একমত হন।
ট্রাম্পের আমলে ওয়াশিনটন ইয়েমেনে সউদী নেতৃত্বাধীন হস্তক্ষেপকে সমর্থন করা অব্যাহত রেখেেেছ। দারিদ্র কবলিত দেশটিতে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় সউদী আরব ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন।
ট্রাম্পের সময়ে আল-কায়দা ও অন্যান্য উগ্রপন্থীদের ব্যাপারে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় ব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের লক্ষ্যবস্তুগুলোতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় সউদী আরব অংশীদার হিসেবে থাকবে।
ওয়াশিনটনে সউদী দূতাবাসে রাজনৈতিক পরামর্শক ফাহাদ নাজির বলেন, তিনি মনে করেন যে ট্রাম্প প্রশাসন মার্কিন-সউদী সম্পর্কের ইতিহাস এবং মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতায় সউদী আরবের ভূমিকা পালন সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল। তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন যে এ বক্তব্য তার নিজস্ব এবং তা সউদী সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে না।
তিনটি বাধা কোথায়?
ইয়েমেনে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও মিডলইস্ট ইনস্টিটিউটে সেন্টার ফর গাল্ফ এফেয়ার্স-এর পরিচালক জেরাল্ড ফেয়ারস্টেইন বলেন, ওয়াশিনটন ও রিয়াদের মধ্যে এখনো যেখানে আশাবাদী মনোভাব রয়েছে, সেখানে লাল না হলেও কিছুট হলুদ আলো চোখে পড়ে।
তিনি বলেন, এর একটি হচ্ছে হোয়াইট হাউসে এ রকম একটি আশা করা হচ্ছে যে সউদী আরব ও অন্যান্য উপসাগরীয় দেশ মার্কিন সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য আরো অর্থ প্রদান করবে।
এক্সন-এর সাবেক প্রধান রেক্স টিলারসনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ সউদী আরবের জন্য অনুক‚ল হতে পারে। এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের জ¦ালানি পরিকল্পনায় সর্বোচ্চ পরিমাণে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব শেল তেল ও গ্যাস উৎপাদন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা তেলের মূল্য বৃদ্ধি থেকে মুনাফা লাভের সউদী সক্ষমতার প্রতি হুমকি সৃষ্টি করেছে।
অন্যান্য সম্ভাব্য মতবিরোধের ক্ষেত্রের মধ্যে আছে ফিলিস্তিন শান্তি চুক্তির অনুপস্থিতিতে ইসরাইলের সাথে সউদী আরব আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করবে হোয়াইট হাউসের এমন প্রত্যাশা।
ফেয়ারস্টেইন বলেন, সউদী আরবের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক জটিল করে তুলতে ট্রাম্পের অভ্যন্তরীণ বৃত্তের কারো কারো মধ্যে মুসলিমবিরোধী মনোভাবের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো আছে ৯/১১ হামলার ঘটনায় সউদী আরবের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন যা নেবিাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সিরিয়া বিষয়ে কি হবে?
ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক মার্কিন-সউদী সম্পর্কের জন্য সমস্যাজনক হতে পারে। ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রশংসা করেছেন এবং মস্কোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের আশা প্রকাশ করেছেন।
কিন্তু রাশিয়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের জোরালো সমর্থক এবং ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ যুদ্ধকে আসাদের অনুক‚লে নিয়ে যায়। সউদী আরব সিরিয়ার আসাদবিরোধীদের খোলাখুলি সমর্থন দিয়েছে এবং দামেস্কে সরকার পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে।
এখন সিরিয়া সরকার যখন দেশের অভ্যন্তরে ক্রমবর্ধমান ভাবে নিয়ন্ত্রণ লাভ করছে তখন ট্রাম্প ও তার সউদী প্রতিপক্ষ এ ব্যাপারে অভিন্ন অবস্থানে পৌঁছার জন্য লড়াই করতে পারেন।
ক্ষমতায় আসার পর এটাই হবে পশ্চিমা মিত্র কোনো উপসাগরীয় দেশের রাজপরিবারের কারো সাথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম সাক্ষাৎ। সউদী প্রিন্সের এ সফর মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সউদী আরবের অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের কাছে এ অঞ্চলের প্রতি তার নীতি উদ্দেশ উপস্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি করবে। সিংহাসনের দ্বিতীয় দাবিদার ৩১ বছর বয়স্ক প্রিন্স মোহাম্মদ সউদী আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং তিনি দেশের অর্থনীতির সংস্কারেরও দায়িত্বে রয়েছেন। ট্রাম্পের সাথে তার বড় ছেলের সম্পর্কের মত প্রিন্স মোহাম্মদেরও তার পিতা বাদশাহ সালমানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
আলোচনা করার মত অসংখ্য বৈশি^ক ও আঞ্চলিক বিষয়ের প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের আমলে মার্কিন-সউদী সম্পর্কের ফাঁক-ফোকর ও বাধা বিষয়ে দৃষ্টি দেয়া যাক :
অভিন্ন লক্ষ্যগুলো কি?
সউদী আরব ইরানের ব্যাপারে ট্রাম্পের কঠোর বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে যা তেহরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি নিশ্চিত করতে ওবামা প্রশাসনের গৃহীত প্রচেষ্টার বিপরীত। সউদী আরবের তীব্র আপত্তি সত্তে¡ও ওবামা প্রশাসন এ চুক্তি করে।
ট্রাম্প প্রশাসন নতুন ভিসা পেতে ইচ্ছুক ইরানি নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
সউদী আরব ইয়েমেন, বাহরাইন, লেবানন, ইরাক ও সিরিয়ায় শিয়া ইরানের প্রভাবকে তার নিরাপত্তার প্রতি বিপজ্জনক হিসেবে দেখে।
সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের গত মাসে বলেন যে ইরানের প্রাধান্য সংযত করার ব্যাপারে ট্রাম্পের বক্তব্য ঠিক সউদী অবস্থানের মতই। তিনি আরো বলেন, সউদী আরব ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যাপারে আশাবাদী।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতি অনুযায়ী জানুয়ারিতে ট্রাম্প ও সউদী বাদশাহ সালমানের মধ্যে ফোনালাপে সিরিয়া ও ইয়েমেনে নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সমর্থন করতে উভয়ে একমত হন।
ট্রাম্পের আমলে ওয়াশিনটন ইয়েমেনে সউদী নেতৃত্বাধীন হস্তক্ষেপকে সমর্থন করা অব্যাহত রেখেেেছ। দারিদ্র কবলিত দেশটিতে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় সউদী আরব ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন।
ট্রাম্পের সময়ে আল-কায়দা ও অন্যান্য উগ্রপন্থীদের ব্যাপারে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় ব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের লক্ষ্যবস্তুগুলোতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় সউদী আরব অংশীদার হিসেবে থাকবে।
ওয়াশিনটনে সউদী দূতাবাসে রাজনৈতিক পরামর্শক ফাহাদ নাজির বলেন, তিনি মনে করেন যে ট্রাম্প প্রশাসন মার্কিন-সউদী সম্পর্কের ইতিহাস এবং মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতায় সউদী আরবের ভূমিকা পালন সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল। তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন যে এ বক্তব্য তার নিজস্ব এবং তা সউদী সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে না।
তিনটি বাধা কোথায়?
ইয়েমেনে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও মিডলইস্ট ইনস্টিটিউটে সেন্টার ফর গাল্ফ এফেয়ার্স-এর পরিচালক জেরাল্ড ফেয়ারস্টেইন বলেন, ওয়াশিনটন ও রিয়াদের মধ্যে এখনো যেখানে আশাবাদী মনোভাব রয়েছে, সেখানে লাল না হলেও কিছুট হলুদ আলো চোখে পড়ে।
তিনি বলেন, এর একটি হচ্ছে হোয়াইট হাউসে এ রকম একটি আশা করা হচ্ছে যে সউদী আরব ও অন্যান্য উপসাগরীয় দেশ মার্কিন সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য আরো অর্থ প্রদান করবে।
এক্সন-এর সাবেক প্রধান রেক্স টিলারসনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ সউদী আরবের জন্য অনুক‚ল হতে পারে। এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের জ¦ালানি পরিকল্পনায় সর্বোচ্চ পরিমাণে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব শেল তেল ও গ্যাস উৎপাদন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা তেলের মূল্য বৃদ্ধি থেকে মুনাফা লাভের সউদী সক্ষমতার প্রতি হুমকি সৃষ্টি করেছে।
অন্যান্য সম্ভাব্য মতবিরোধের ক্ষেত্রের মধ্যে আছে ফিলিস্তিন শান্তি চুক্তির অনুপস্থিতিতে ইসরাইলের সাথে সউদী আরব আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করবে হোয়াইট হাউসের এমন প্রত্যাশা।
ফেয়ারস্টেইন বলেন, সউদী আরবের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক জটিল করে তুলতে ট্রাম্পের অভ্যন্তরীণ বৃত্তের কারো কারো মধ্যে মুসলিমবিরোধী মনোভাবের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো আছে ৯/১১ হামলার ঘটনায় সউদী আরবের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন যা নেবিাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সিরিয়া বিষয়ে কি হবে?
ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক মার্কিন-সউদী সম্পর্কের জন্য সমস্যাজনক হতে পারে। ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রশংসা করেছেন এবং মস্কোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের আশা প্রকাশ করেছেন।
কিন্তু রাশিয়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের জোরালো সমর্থক এবং ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ যুদ্ধকে আসাদের অনুক‚লে নিয়ে যায়। সউদী আরব সিরিয়ার আসাদবিরোধীদের খোলাখুলি সমর্থন দিয়েছে এবং দামেস্কে সরকার পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে।
এখন সিরিয়া সরকার যখন দেশের অভ্যন্তরে ক্রমবর্ধমান ভাবে নিয়ন্ত্রণ লাভ করছে তখন ট্রাম্প ও তার সউদী প্রতিপক্ষ এ ব্যাপারে অভিন্ন অবস্থানে পৌঁছার জন্য লড়াই করতে পারেন।