অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ ইসহাক আমীর ও ড. আহমদ আবদুল কাদের মহাসচিব পুনঃনির্বাচিত
সঙ্কট উত্তরণে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেইঃ মির্জা ফখরুল।
রোহিঙ্গার মুসলমানদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে সবাইকে গর্জে উঠতে হবেঃ অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ ইসহাক
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে এক দুর্বিসহ অবস্থা বিরাজ করছে। গুম, খুনসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ভয়াবহ পর্যায়ে রয়েছে।
আজকের (রবিবার)পত্রিকায় জঙ্গি বোমায় আহত ৪ বছরের এক শিশুর কাতর চাহনি সবাইকে ব্যথিত করেছে। এ অবস্থা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। আমাদের নেত্রী সুষ্ঠু নির্বাচনের একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। সংকট উত্তরণে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই। একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর সম্ভভ।
আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছেও আমাদের পরামর্শ তুলে ধরেছি। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার নিশ্চিত করতে হবে।
নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। সত্যিকার অর্থে একটি অবাধ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একটি গণতান্ত্রিক ও জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, শিক্ষার অধিকার, ধর্মীয় অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের ৯ম অধিবেশনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, আমরা আন্দোলন সংগ্রাম রাজনীতি করি অাল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে।
দেশ ও জনগণের কল্যানের জন্যে আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত। আমরা সবসময় জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের পক্ষে। আমরা সারা দুনিয়ার মজলুমের মুক্তি কামনা করি। বিশেষ করে রোহিঙ্গার মজলুম মুসলমানদের উপর মিয়নমার সরকার যে অবমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে সবাইকে গর্জে উঠতে হবে।
২৫ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ৯টায় ঢাকাস্থ কাজী বশির মিলনায়তনে খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অধিবেশনে সম্মানিত মেহমান হিসেবে বক্তব্য পেশ করেন খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাসউদ খান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল(অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম, বীর প্রতীক, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা সৈয়দ মজিবুর রহমান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপা’র সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপি’র চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্তুজা, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি এডভোকেট আজহারুল ইসলাম চৌধুরী, সাম্যবাদি দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাঈদ আহমদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আজিজুল হক প্রমুখ।
সংগঠনের যুগ্মমহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, শেখ গোলাম আসগর এবং সংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ মুনতাসির আলীর যৌথ পরিাচালনায় অনুষ্ঠিত অধিবেশনে স্বগত বক্তব্য রাখেন অধিবেশন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক সংগঠনের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন। এতে একটি শোক প্রস্তাবসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৮টি প্রস্তাব পেশ করেন যথাক্রমে সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শফিউল আলম, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল হালিম, মাওলানা নোমান মাযহারী, এডভোকেট মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক কে এম আলম, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল। গৃহীত প্রস্তাবের বিষয়গুলি হচ্ছে-
প্রসঙ্গ ১)-
নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন।
প্রসঙ্গ ২)-
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা ও দেশে দেশে মুসলিম নির্যাতন প্রসঙ্গ।
প্রসঙ্গ ৩)-
হত্যা, সন্ত্রাস, উগ্রবাদ প্রসঙ্গ।
প্রসঙ্গ ৪)-
শিক্ষানীতি ও পাঠ্যসূচীর অনৈসলামীকরণ ষড়যন্ত্র।
প্রসঙ্গ ৫)-
পরিবেশ ও সুন্দরবনের জন্যে ক্ষতিকর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মান।
প্রসঙ্গ। ৬)-
সামাজিক অবক্ষয় ও রাজনৈতিক সংকট।
প্রসঙ্গ ৭)-
আর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অস্থিরতা প্রসঙ্গ
অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আবদুল করিম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান, ইসলামকি পার্টির মহাসচিব এডভোকেট আবুল কাশেম, ডা: আবদুল্লাহ খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা ফজলুল করিম, ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা শওকত আমীন, এনপিপি’র আলী, মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা এ কে এম আইউব আলী, মাওলানা নূরুজ্জামান খান, আমিনুর রহমান ফিরোজ, মাষ্টার সাইফ উদ্দিন আহমদ, মাওলানা শামসুজ্জামান চৌধুরী, মাষ্টার সিরাজুল ইসলাম, এ বি এম সিরাজুল মামুন, ডা: শরীফ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক, মাওলানা নূরুল আলম আল-মামুন, অধ্যাপক আবদুস সবুর, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন, মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।
আরো বক্তব্য পেশ করেন যুগ্মমহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, অধ্যাক এম কে জামান, অধ্যাপক সিরাজুল হক, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল বাসিত আজাদ, মাওলানা আবুল কাশেম শাহজাহান, মাওলানা সাঈদ আহমদ, খুলনা মাহনগর ষবাপতি মাওলানা গোলাম কিবরিযা, সিলেট মহানগর সভাপতি অধ্যাপক বজলুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি অধ্যাপক এস এম খুরশীদ আলম, যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি মাওলানা শাহ মিজানুল হক, জেদ্দা মহানগরী শাখার প্রতিনিধি বি এম দেলোয়ার হোসাইন, রিয়াদ শাখার মাওলানা আবুল হোসাইন, দুবাই শাখার মাওলানা আবদুস শহিদ জহির, ওমান শাখার মাওলানা ইলিয়াস বিন হাসেম, রাজরগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওরানা আহমদ বেলাল, বালাগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী আসগর, মানিকগঞ্জ সদন উপজেলার ভাইসচেয়ারম্যান মাওলানা শাসসুল ইসলাম, রূপসা উপজেলার ভাইসচেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল্লাহ জোবায়ের, শ্রমিক মজলিস সভাপতি হাজী নূর হোসাইন প্রমুখ।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন,
খেলাফত মজলিসের রাজনৈতিক লক্ষ্য হচ্ছে খেলাফতে রাশেদার আদলে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিনত করা। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। একটি গণপ্রতিনিধিত্বশীল ও জবাবদিহীমূলক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা। দারিদ্রবিমোচন ও উন্নয়ন সুনিশ্চিত করা।
“এ লক্ষ্যে খেলাফত মজলিস আলেম উলামা ও দ্বীনদার আধুনিক শিক্ষিত শ্রেণীর সমন্বয়ে সমাজের সাধারন লোকদের অংশ গ্রহন, সমর্থন ও সহযোগিতায় একটি মজবুত সংগঠন ও আন্দোলন গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তৎসঙ্গে বিভিন্ন ইসলামি দল ও সমমনা রাজনৈতিক দলের সাথে বৃহত্তর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
অধিবেশনে খেলাফত মজলিসের ২০১৭-২০১৮ সেশনের জন্যে আমীরে মজলিস ও মহাসচিব নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করেন প্রধান র্বিাচন কমিশনার অধ্যাপক এম কে জামান। সংগঠনের শূরা সদস্য ও সদস্যদের ভোটে আমীরে মজলিস নির্বাচিত হন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক এবং শূরা সদস্যদের ভোটে মহাসচিব নির্বাচিত হন ড. আহমদ আবদুল কাদের।
আগামী জানুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিতব্য মজলিসে শূরার অধিবেশনে নবর্বিাচিত নির্বাচিত আমীর ও মহাসচিব শপথ গ্রহন করবেন এবং ২০১৭-১৮ সেশনের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গঠিত হবে।