
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:: প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা এ দেশ স্বাধীন করেছি। বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। আমরা এই ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে প্রত্যেকটা নাগরিকের একটা কর্তব্য আছে। এখানে যারা মেজরিটি আছেন তাদেরও একটা কর্তব্য আছে। যারা মাইনরিটি কমিউনিটি তাদেরও কর্তব্য আছে। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে কারো ধর্মে প্রতি আঘাত করা নয়।
সোমবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রামকৃষ্ণ সেবা আশ্রমে দুর্গাপূজা পরিদর্শনে এসে ভক্তবৃন্দের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা এখানে কীর্তন করেন, ঢোল বাজান। কিন্তু অন্য ধর্মের যারা আশপাশে আছেন যাদের মসজিদ আছে, গির্জা আছে। এমন কিছু করবেন না যাতে অন্য ধর্মে বা নামাজের ব্যাঘাত ঘটে। আমি ঠিক তদ্রুপভাবে যারা মেজরটি আছেন তাদেরকেও অনুরোধ করব এখানে গুটিকয়েক যারা আছেন তাদের সঙ্গে ভ্রাতৃত্ববোধে সহযোগিতা করবেন।
তিনি আরো বলেন, আমি আগেই জেনেছি, এখানে যারা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আছেন তারা পূজায় বেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এখানে এত সুন্দরভাবে আপনারা ধর্মীয় উৎসব ভাবগার্ম্ভীয্যের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে পালন করছেন। এতে আমি খুবই খুশি।
এর আগে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শ্রীমঙ্গল উপজেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অজয় কুমার দেব শ্রীমঙ্গলে এসে পূজামন্ডপ পরিদর্শন করায় প্রধান বিচারপতির প্রতি ভক্তবৃন্দের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান। এসময় মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. শাহজালাল, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন, শ্রীমঙ্গল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম ইদ্রিস আলী, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের শ্রীমঙ্গল উপজেলা কমিটির সভাপতি ডা. হরিপদ রায়, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শ্রীমঙ্গল উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুশীল শীল, পৌর পূজা উদযাপন কমিটির সম্পাদক সঞ্জয় রায় রাজু, শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহর তরফদারসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধান বিচারপতি শহরের কালীবাড়ী মন্দির, শাপলাবাগ পূজামন্ডপ ও ফুলছড়া চাবাগানে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে প্রধান বিচারপতি প্রতিটি পূজামন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।