খতিব তাজুল ইসলাম:
“দারুল উলুম দেওবন্দের স্বীকৃতি আছে, কিন্তু দেওবন্দের মুহতামিম কে হবে সেটা ঠিক করে মজলিসে শূরা ৷ পাকিস্তান বেফাকের স্বীকৃতি আছে তবে বেফাকের চেয়ারম্যান মহাসচিব ঠিক করে মজলিসে শূরা ৷ আর আমরা হলাম অপদার্থের দল, আমাদের চেয়ারম্যান আল্লামা আহমদ শফী, বলে দিল সরকার ৷ কো-চেয়ার ম্যান, ফরিদ মসউদ সাহেব, বলে দিল সরকার ৷ মহা সচিব, রূহুল আমীন সাহেব, বলে দিল সরকার ৷ আহ্বায়ক কে হবে? বলে দিল সরকার ৷ সদস্য সচিব কে হবে? বলে দিল সরকার ৷ এই দরজা খুলে দিলে হাজার শর্ত দিয়েও অস্তিত্ব রক্ষা হবে না ৷
তাই আসুন, আওয়াজ তুলি লাখো কণ্ঠে “কওমীর চেয়ারম্যান, মহাসচিব, কমিটি নির্বাচনের ক্ষমতা থাকবে কওমীর হাতে -এই শর্ত দিয়ে যে স্বীকৃতি এনে দিবে আমরা কওমী জনতা থাকব তার সাথে।” -হজরত মামুনুল হ্ক্ব সাহেব ।
খুবই গুরুত্বপুর্ণ উচ্চারণ। দুনিয়াতে স্বায়ত্ব শাসিত বহুদেশ প্রদেশ কোম্পানি বিশ্ববিদ্যালয় সবকিছু আছে। নিজেরা স্বাধীন মতো চলছে চালাচ্ছে। আমিও মনে করি এই গুরুত্বপুর্ণ বিষয়টি নিয়ে আগে সিদ্ধান্তে আসা খুব জরুরী। অন্যথায় আমও যাবে সাথে ছালাটও। আমরা বার বার বলে আসছি যে,আগে বসে নিজেদের করণীয় ঠিক করুন। কী করবো? কতটুকু করবো? কিভাবে করবো? কার মাধ্যমে করবো?। কিন্তু দেখাগেলো পদ আর গদি নেতৃত্বের লড়াইটাই হয়ে উঠলো মুখ্য।
যাক হজরত মামুনুল হক্ব সাহেবকে অনুরোধ করবো যে, আপনার মেধা ধীশক্তিটুকু এদিকে মবজুল করুন। কমিটিতে কে আসলো কে না আসলো বা কারা বসছে সে দিকে খেয়াল না করে করণীয় বিষয়ে নিয়মিত আলোকপাত করুন। আমরা তা দেশবাসি সহ উপযুক্ত জাগায় পৌছিয়ে দিতে সচেষ্ট থাকবো।
সকল বোর্ডের অধীপতিগণ যখন বসছেন তাতে ভাল লক্ষণটা ভাল মনে হচ্ছে। এখানে কেউ রাজনীতিকে টেনে নিয়ে আসবেন না প্লীজ। এসব আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। দেশ ও জাতির ভবিষ্যতের প্রশ্ন। অবশ্য আপনার নেকড়ে এবং ভেড়ার গল্পে আমার কিছু ভিন্ন অনুভুতি আছে। কলাগাছের ভেলায় ভেসে বেড়ানো মাঝি যদি বলে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিতে সে বদ্ধপরিকর। তার কাছে আটলান্টিকের পরিমাপ হলো সুরমা কুশিয়ার বুড়িগংগা শীতলক্ষা থেকে বড়জোর একশ বৈঠা দূরত্বের পাড়ি?! আর কিছু বলতে যাবোনা এখন, কারণ ইস্যুটি খুবই স্পর্শকাতর! কথা হবে সামনে ইনশাআল্লাহ।