বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ দেশের বৃহত্তম কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড। জাতীয় পর্যায়ের এই শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানটির যাবতীয় কার্যক্রম হবে স্বচ্চ, অনিয়ম ও স্বেচ্চাচারিতা মুক্ত। এটাই ওলামায়েকেরামের আশা ও বিশ্বাস। কিন্তু বেফাকের সেই গৌরব ও ইতিবাচক দিক আজ ম্লান। ফলে হারিয়ে ফেলছে তার গ্রহণযোগ্যতা, সততা ও নীতি-নৈতিকতা।
রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেফাকের বেশ কিছু পদে ৩০ জন লোক নিয়োগের ইন্টারভিউ ছিলো। সেখানে নিয়োগ সাব কমিটিসহ আবেদনপত্র গ্রহণ ও পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে চরম সেচ্চাচারিতা ও অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে। নিয়োগ সাব কমিটিতে ছিলেন মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা মোস্তফা আযাদ, মাওলানা আবদুল জব্বার জাহানাবাদী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা যুবাইর আহমদ চৌধুরী, মুফতি আবু ইউসুফ ও মুফতি এনামুল হক জালালাবাদী।
একটি সূত্র কওমীনিউজকে জানায়, নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের উচ্চপর্যায়ের একাধিক ব্যক্তি কমিটিতে থাকায় তাদের সিন্ডিকেট ও বলয় বহির্ভূত প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদনপত্র গ্রহণে আপত্তি জানায় এবং তাদের সঙ্গে নিয়োগ কমিটির এক সদস্য দুর্ব্যবহার করেন। জানা যায়, মাওলানা মাহবুবুর রহমান নামের একজন প্রার্থী এই দুর্ব্যবহারের বিচার দেয়ার জন্য অফিসের অনেক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে গেলে কেউ তা আমলে নেননি। অবশেষে সেই প্রার্থী লিখিত আকারে মহাসচিব ও সাব কমিটি বরাবর অভিযোগ করেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্টাফ জানান, সিন্ডিকেটভিত্তিক লোক নিয়োগ দেয়ার জন্য এমন স্বেচ্চাচারিতা করা হচ্ছে। যোগ্য প্রার্থীদের হয়রানী করা হচ্ছে। আবেদনপত্র তুচ্ছ অজুহাতে বাতিল করা হচ্ছে।
বেফাকের ভিতরগত এই স্বেচ্চাচারিতা ও দুর্নীতি মাদারাসাশিক্ষার্থীরা আগে জানেন বলেই ৩০ জন লোক যেখানে নেয়া হবে সেখানে ৩০টি আবেদন পায়নি বলে একটি সূত্র কওমীনিউজকে জানায়।
সূত্র আরও জানায়, সিন্ডিকেটভিত্তিক একটি নিয়োগ বাণিজ্য চলছে বলে বেফাক মহাসচিবও নিশ্চিত হয়েছেন। তাই মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী ও মোস্তফা আযাদরা সুপারিশ করার পরও বেফাক মহাসচিব কয়েকটি নিয়োগ আটকিয়ে রেখেছেন।
উল্লেখ্য, রোববার ১০ জন প্রার্থী সিলেক্ট করা হয়েছে। বাকি ২০ জন পরবর্তী তারিখে ঠিক করা হবে। নিয়োগপ্রার্থীরা পুরো বেফাককে বিশেষ করে নিয়োগ সাব কমিটি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক বলয় মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
সুত্র: qaominews.com