হযরত ইমাম গাযালী রহ. এর বাল্যকালের ঘটনা। তখন তিনি মাদরাসা নিযামিয়ার ছাত্র। একদিন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মাদরাসা পরিদর্শনের জন্য যান এবং প্রত্যেক ছাত্রের কাছ থেকে নিজ নিজ পড়াশুনার উদ্দেশ্য জিজ্ঞাসা করেন । সকল ছাত্রগন প্রত্যেকের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলে দিলো, কেউ কেউ বলল, আমার পিতা একজন কাজী, তাই আমিও কাজী হবো। কেউ বললো আমি একজন বড় অফিসার হবো। আবার কেউ বললো আমার পিতা মুফতি/মুহাদ্দিস তাই আমারও একজন মুফতী/মুহাদ্দিস হতে হবে। সকল ছাত্রদের এই উদ্দেশ্য শুনার পর প্রতিষ্ঠাতা সাহেব আক্ষেপের সাথে এই চিন্তা করলেন যে, আর এ মাদরাসা এখানে রাখবো না, ভেঙ্গে ফেলবো। কিন্তু বাদশা লক্ষ্য করলো ঘরের এক পাশে একটি ছেলে মনোযোগ সহকারে কিতাব পড়ছে। মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ভাবলো সর্বশেষ এই ছেলেটার উদ্দেশ্যটা একটু শুনি। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, বাবা তুমি কি উদ্দেশে লেখাপড়া করছো? বালকটি উত্তরে বলে দিলো আমি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে লেখা-পড়া করতেছি। ছোট্ট এই ছেলেটির উওর শুনে মুগ্ধ হয়ে গেলো মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সাহেব। তিনি বললেন আজ তোমার অসিলায় এই মাদরাসাকে ঠিক রাখলাম ,না হয় আমার নিয়্যত ছিল ভিন্ন।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ: রাসূল সা. বলেছেন, সকল কাজের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। ছোট্ট ঐ ছেলেটিই ছিলো ইমাম গাযালী রহ.। আর তার ইখলাছসহ নিয়তই তাকে এত উঁচু বানিয়েছে। আজ ও যদি কোন মানুষ তার ইখলাছ রেযায়ে মাওলার জন্য হয়, তাহলে এখনো ইমাম গাযালী রহ. এর মতো ছেলে জন্ম নিবে। আল্লাহ আমাদের কে সকল কাজ ইখলাছের সাথে করার তাওফিক দান করুক।
পাঠিয়েছে: নূর মুহাম্মদ মুল্লা: জামিয়া মুহাম্মদিয়া ইসলামিয়া, বনানী, ঢাকা।
সুত্র: মাসিক আল-জান্নাত