শাহ আব্দুস সালাম ছালিক
প্রখ্যাত ‘আলিম শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলাওয়ির ছেলে শাহ আব্দুল-আযিয দেহলাওয়ি একবার দিল্লির এক জামিয়া মাসজিদে লেকচার দিচ্ছিলেন। এটা এশিয়ার অন্যতম বড় মাসজিদ। হাজারো লোক এসেছিল তাঁর বক্তৃতা শুনতে। জনারণ্যের শেষ মাথা পর্যন্ত যেন তাঁর কথা শোনা যায় তেমন ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দেড় ঘণ্টাব্যাপী বক্তব্য রাখেন তিনি। বক্তৃতা শেষ করে তিনি তার চেম্বারে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এমন সময় এক লোক এসে বলল, “হাযরাত, দিল্লি থেকে বহু দূরের অমুক গ্রাম থেকে শুধু আপনার কথা শোনার জন্যই এসেছিলাম। আমি যতটা ভেবেছিলাম তার চেয়েও অনেক বেশি সময় লেগে গেছে আসতে। অনেক কষ্ট হয়েছে। কিন্তু এসে দেখি আপনার লেকচার শেষ। খুব খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে আমার সব কষ্ট বিফলে গেল। আমি এখন কী করব?”
শাহ আব্দুল-আযিয তাকে বললেন, “আপনি বসুন। আমি আবার বলছি।“ তিনি উঠে দাঁড়ালেন। যে-উদ্যম ও নিষ্ঠা নিয়ে তিনি হাজারো লোকের সামনে বক্তব্য রেখেছিলেন, সেই একই উদ্যম ও নিষ্ঠা নিয়ে তিনি গ্রামের সেই লোকটির সামনে বক্তৃতা দিলেন। লোকটি তাঁর বক্তৃতা শুনে খুব মুগ্ধ হলেন। শাহ আব্দুল-আযিযকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিয়ে তাঁর জন্য অনেক দু‘আ করে বিদায় নিলেন তিনি।
নোট: আমাদেরকেও আকাবির-আসলাফের আখলাক্ব গ্রহন করতে হবে। ধৈর্য্যের সাথে মানুষের কথা শুনতে হবে। তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা জানতে হবে বুঝতে হবে। সাধারণ মানুষের কথা বলার অধিকার থাকতে হবে।