পবিত্র কুরআন শিক্ষা প্রসারে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশের সেরা তিনজন গুণিজনকে সম্মাননা স্মারক ২০০১৫ প্রদান করেছে “তাহসীনুল কোরআন ফাউন্ডেশন” হাটহাজারী, চট্টগ্রাম। তন্মধ্যে সিলেটের আঞ্জুমানে তালিমুল কুরআন এর প্রতিষ্ঠাতা শায়খুল কুররা মাওলানা আলী আকবর সিদ্দীক অন্যতম। সম্প্রতি অনুষ্ঠানিক ভাবে আন্জুমান কর্তৃপক্ষের নিকট পদক হস্তান্তর করা হয়।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
মাওলানা ক্বারী আলী আকবর সিদ্দীক একটি নাম, একটি অহংকার যে তাঁর স্বনামে পরিচিত। তিনি সিলেট থেকে শুরু করে সমগ্র বাংলাদেশে সহীহ শুদ্ধ কুরআন শিা দানের এক মহান শিক। কুরআন নাজিলের মাস পবিত্র রমজান এলেই তাঁর প্রতিষ্ঠিত আঞ্জুমানে তা’লীমুল কুরআন পরিচালিত শত-শত কেন্দ্রে সহীহ কুরআন শিা প্রদান করা হয়। এসব কেন্দ্রে হাজার-হাজার কুরআন পিপাসুদের জমায়েত পরিলতি হয়। গত রমজান (১৪৩১ হিজরী) মাসে সারা দেশে প্রায় ছয়শত শাখা কেন্দ্র সমূহে সত্তর হাজার ছাত্র-ছাত্রী কুরআন শিা গ্রহণ করেছে। তাঁর এ খেদমত সকল মহলে প্রশংসিত ও সমাদৃত। একই কারণে তিনি ব্যাপকভাবে পরিচিত ও বিখ্যাত। অন্যদিকে তিনি একজন হক্কানী পীর, আলিম, ওয়ায়েজ, গ্রন্থ প্রণেতা ও একাধিক মাদরাসার মুহতামিম। তাঁর পিতা মরহুম মাওলানা রহীম উদ্দীন পাটওয়ারী (রহ.), দাদা মরহুম মুহাম্মদ মুলাম গাজী পাঠওয়ারী (রহ.)। মাতা মরহুমা বেগম আলতাফুন্নেছা।
জন্ম : ১৯৪৬ সালের ৫ জুন চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার অন্তর্গত বাখরপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১৯৫৩ সালে পিতা-মাতা মৌলভীবাজার জেলাধীন কমলগঞ্জ থানার ভানুগাছ সরইবাড়ী গ্রামে হিজরত করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
শিা : তিনি তাঁর জন্মস্থানেই প্রাথমিক শিা লাভ করেন। পরে সরইবাড়ী মক্তবে আরবী ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। ১৯৬০ সালে বি-বাড়ীয়া জেলার কসবা থানার ধজনগর গ্রামের ইসলামিয়া মাদরাসা থেকে ৫ম শ্রেণী পাশ করেন। ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত হবিগঞ্জ জেলার মিরপুর জামিয়া হুসাইনিয়া মাদরাসায় অত্যান্ত সুনামরে সাথে আলিয়া চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত শিা লাভ করেন। উচ্চ শিা লাভের জন্য ১৯৬৯ সালে ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইসলামিয়া হুসাইনিয়া গহরপুর সিলেটে ভর্তি হয়ে ১৯৭১ সালে কৃতিত্বের সাথে দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) পাশ করেন।
তিনি কয়েকজন বিখ্যাত ক্বারী সাহেবগনের নিকট ইলমুল ক্বিরাআতের উচ্চতর শিাগ্রহণ ও সনদ লাভ করেন। তন্মধ্যে ১৯৬৪ সালে দেশের স্বনামধন্য ক্বারী হযরত ইব্রাহীম রহ. চাঁদপুরীর নিকট পূর্ণাঙ্গ (ক্বিরাআতে হাফস) প্রশিণ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে দারুল উলুম দেওবন্দের ক্বিরাআত বিভাগীয় প্রধাণ আল্লামা আবুল হাসান আ’জমীর কাছ থেকে ক্বিরাআতে “সাবআ আশারার” বিশেষ সনদ লাভ করেন।
অধ্যাপনা : ফারেগ হওয়ার পর নিজ এলাকায় ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন সরইবাড়ী ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদরাসা। পরবর্তিতে মৌলভীবাজার সদর থানার ভাদগাঁও ইমদাদুল উলুম মাদরাসার শিা সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। পরে বালাগঞ্জ ফিরোজাবাগ মাদরাসার শিা সচিব ও জামে মসজিদের ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেন। মৌলভীবাজার সদর থানার দামিয়া বাজার জামে মসজিদেও কিছুদিন ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে স্বপ্রতিষ্ঠিত সিলেট নগরীর গোটাটিকরস্থ জামিয়া তা’লিমুল কুরআন মাদরাসার মুহতামিমের দায়িত্ব অত্যন্ত দতা ও নিষ্টার সাথে পালন করছেন।
প্রাতিষ্ঠানিক সংশ্লিষ্টতা : তিনি বেশকিছু প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনার কাজ অত্যন্ত দতার সাথে আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:
প্রতিষ্ঠাতা : আঞ্জুমানে তা’লীমুল কুরআন বাংলাদেশ।
কেন্দ্রীয় সভাপতি : আঞ্জুমানে তা’লীমুল কুরআন বাংলাদেশ।
মহা-পরিচালক : আদর্শ ফুরক্বানিয়া মক্তব এসোসিয়েশন বাংলাদেশ।
প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম : জামিয়া তা’লীমুল কুরআন গোটাটিকর সিলেট।
প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম : সরইবাড়ী ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদরাসা কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার।
প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম : জামিয়া তাজবিদুল কুরআন, ভানুগাছ, মৌলভীবাজার।
মুহতামিম : হাফিজিয়া মাদরাসা, টেবলাই বাজার, দোয়ারা, সুনামগঞ্জ।
প্রধান উপদেষ্ঠা : আঞ্জুমানে জাকেরীন বাংলাদেশ। (তাসাউফ ভিত্তিক সংগঠন)।
সাবেক সভাপতি : আশরাফুল মাদারিস, ফেনিবিল, সুনামগঞ্জ।
উপদেষ্ঠা : ইত্তেহাদ সমাজকল্যাণ পরিষদ সরইবাড়ী, ভানুগাছ।
সাবেক পরিক (ইলমুল ক্বিরাআত): বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ।
সদস্য, শুরা ও আমেলা: তানজীমুল মাদারিস মৌলভীবাজার।
সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগাঠনিক সম্পাদক : হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
সাবেক সভাপতি : জাতীয় ইমাম সমিতি কমলগঞ্জ থানা শাখা, মৌলভীবাজার।
আধ্যাত্বিকতা : তিনি ছাত্রাবস্থায়ই ইলমে তাসাউফের উপর চর্চা শুরু করেন। নিয়মতান্ত্রিকভাবে ইলমে তাসাউফ অর্জনের ল্েয কুতবে জামান শায়খে বর্ণভী রহ.-এর নিকট বাইয়াত গ্রহণ করেন। শায়খের ইন্তেকালের পর তার বিশিষ্ট মুজাজ হযরত মাওলানা শায়খ আব্দুর রহমান শাওক্বীর কাছ থেকে ইজাযত লাভ করেন।
কুতবে জামান শায়খুল মাশাইখ হযরত মাওলানা লুৎফুর রহমান শায়খে বর্ণভী রহ.-এর খেদমতে অনেক সময় কাটাতে পেরে তিনি গৌরবান্বিত। তিনি তাঁর বহু সফরের একান্ত সাথী ছিলেন। তৎসময়ে আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম একটি গতিশীল ও মজবুত সংগঠন ছিল। ধারাবাহিকভাবে তিনি ইউনিয়ন, থানা ও জেলা শাখার দায়িত্ব পালন করেন। এক সময়ে কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনিত হবার ফলে শায়খের সাহচর্য আরো বেশী পাবার সুযোগ হয়। বিভিন্ন স্থানে সাংগঠনিক প্রোগ্রাম ও ওয়াজ মাহফিলে শায়খের সফর সাথী ছিলেন।
যুগেযুগে আল্লাহ তা’আলা মহান মহান ব্যক্তিদের পাঠিয়ে উম্মতে মুহাম্মদির পথের দিশা বাতলে দেন এবং পীর-ওলী আউলিয়াদের দ্বারা তার দ্বীনের খেদমত জারি রাখেন। বাংলাদেশে অনেক পীর-ওলীগণ আছেন, যারা দ্বীনের কাজে ইসলামের বাণী প্রচারে নিয়োজিত। উল্লেখযোগ্য বুযুর্গদের মধ্যে শায়খুল কুররা মাওলানা আলী আকবর সিদ্দীক ও একজন খালেছ পীর-ওলী। তাঁর অসংখ্য ভক্ত-মুরীদ বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে বিরাজমান। বিশেষ করে তাঁর ভক্ত-মুরীদ সিলেটে, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, রাজশাহী জেলাতে উল্লেখযোগ্য হার। তিনি তাঁর ভক্ত-মুরীদদেরকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আক্বীদা সহ চার তরিক্বার প্রশিণ দিয়ে থাকেন।
আঞ্জুমান প্রতিষ্ঠা: মাওলানা ক্বারী আলী আকবর সিদ্দীক ছাত্র অবস্থায়ই ইলমুল ক্বিরাআতের প্রতি বেশ আগ্রহী ছিলেন। মুসলিম উম্মাহ’র অশুদ্ধ কুরআন তিলাওয়াত দেখে তাঁর মনে এক অশান্তির দাবানল সৃষ্টি হয়। মুসলিম উম্মাহকে কিভাবে সীমাবদ্ধতার জাল ছিন্ন করে সহীহ কুরআনের তা’লীম দেয়া যায় সেই ফিকিরে তিনি রাত দিন ব্যস্ত হয়ে পরেন।
এমনি একদিন বালাগঞ্জ জামে মসজিদে তাঁ স্বীয় উস্তাদ আল্লামা নূর উদ্দীন আহমদ গহরপুরী রহ. এর নিকট গিয়ে অশ্র“ সজল নয়নে অত্যন্ত মিনতির সুরে আরজ করলেন, হুজুর! আপনারা দুনিয়ায় থাকতে আমরা মাহরুম হতে চলছি।
হুজুর বললেন: আলী আকবর তোমার কি হয়েছে? কাঁদছো কেন?
(হুজুরের ভাষায় : আলী আকবর তোমার কিতা অইছে? খানরায় কিতাল্লাগি?)
জবাবে তিনি বললেন : হুজুর….আজ আপনারা দুনিয়ায় থাকতে আমরা জিম্মি। কুরআন পড়তে গেলে আমাদেরকে বহিষ্কারের হুমকি দেয়া হচ্ছে। বিশেষ এক জনগোষ্ঠির সংকীর্ণ মনোভাবে আক্রান্ত হয়ে বলেন, তাহলে আপনি কেন! আর আমরা কেন?
মাওলানা আলী আকবর সিদ্দীকের শরীর তখন দুঃখে আর ােভে কাঁপছিলো। আঁখি যুগল বেয়ে পড়ছে ফোটা ফোটা অশ্র“ কনা।
গহরপুরী হজুর বললেন : আলী আকবর তুমি কি করতে চাও?
তিনি বললেন : হুজুর! প্রয়োজন কেবল আপনার ইজাজত আর দু‘আ। আমি আগামী রমজান থেকে আল্লাহর এই যমিনে কেউ স্থান না দিলে প্রয়োজনে যে কোন গাছ তলায় কুরআনের সহীহ তা’লীম শুরু করতে চাই।
হজুর বললেন : যাও! কাজ শুরু কর। (সুবহানাল্লাহ!!!)
তিনি (আলী আকবর) অনেক আগে থেকেই কিছু একটা করবেন তা তাঁর মনের মাঝে পোষে রাখেন। দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে একটি সুন্দর পথ খুজছিলেন। আর সে সুবাধে একটি কাগজে লিখে রেখেছিলেন “আঞ্জুমানে তা’লীমুল কুরআন বাংলাদেশ”। আজ তার বাস্তবায়ন হতে চলছে। গহরপুরী হুজুরকে বললেন- হুজুর! কাজ শুরু করবো ঠিকই তবে আপনাকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে চাই। আবদারের সাথে সাথে গহরপুরী হুজুরের দিকে বাড়িয়ে দিলেন কাগজ-কলম। হুজুর আনন্দচিত্তে তাতে স্বার করে নিলেন।
গহরপুরী হুজুরের ইজাজত পেয়ে সেদিন থেকে শুরু হয় আঞ্জুমানের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। সেদিন ছিলো ১৪০২ হিজরীর ৫ জুমাদাল উলা, ২৬ ফাল্গুন ১৩৮৮ বাংলা, ১০ মার্চ ১৯৮২ ইংরেজি। একে একে দেশ বরন্য উলামা, মাশাইখ ও সুধী মহলের সু-পরামর্শে হাটি হাটি পা পা করে আঞ্জুমান আজ সফলতার এ প্রান্তে।
উল্লেখযোগ্য শাগরিদ : এ পর্যন্ত সাত হাজারের অধিক পুরুষ/মহিলা তাঁর থেকে ইলমুল ক্বিরাআতের সনদ লাভ করেন। বিভিন্ন পর্যায়ে তাঁর কৃতি ছাত্রদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক’জন হলেন- মাওলানা ক্বারী আবুল বাশার, মুফতি শফিকুর রহমান, মাওলানা ক্বারী আব্দুর রহমান বিন মুশাহিদ রহ., মাওলানা ক্বারী শাহ নজরুল ইসলাম, মাওলানা ক্বারী মুফতি আজীজুল হক, মাওলানা ক্বারী হারুনুর রশীদ, মাওলানা ক্বারী আশরাফ আলী মিয়াজানী, মাওলানা ক্বারী জালালুদ্দীন গবিনপুরী, মাওলানা ক্বারী ফয়জুর রহমান, মাওলানা ক্বারী আব্দুর রহীম, মাওলানা জয়নুল আবেদীন, মরহুম রমিজ উদ্দীন রহ. লন্ডন প্রবাসী মৌ: ক্বারী আব্দুল মুকিত আজাদ, মুফতি তাজুল ইসলাম প্রিন্সিপাল দারুস সুন্নাহ বার্মিংহাম ইউকে, মাওলানা ক্বারী শাহ নূর লন্ডন, মুফতী সেলিম আহমদ লন্ডন, ক্বারী আব্দুল জলিল লন্ডন প্রমূখ। সৌদীআরব প্রবাসী মাওলানা ক্বারী নজির আহমদ, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মৌলভী মুশাহিদ আলী, ক্বারী হোসাইন আহমদ, ইন্ডিয়া প্রবাসী মাওলানা ক্বারী মুখলিছুর রহমান, মাওলানা ক্বারী হারুনুর রশীদ প্রমূখ ছাত্র-শাগরিদ পৃথিবীর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে। যারা নিরলসভাবে কুরআনের খেদমতে নিয়োজিত।
দেশ সফর : পবিত্র হজব্রত পালনের উদ্দেশ্যে তিনি একাধিকবার পবিত্র মক্কা নগরীতে গমণ করেন। ওয়াজ নসিহত ও আঞ্জুমানের সাংগঠনিক কর্মসূচী পালনের নিমিত্তে একাধিকবার লন্ডন, ভারত এবং সংপ্তি সময়ের জন্যে দুবাই ও কাতার সফর করেন।
লেখালেখি : ইলমুল ক্বিরাআত বিষয়ের উপর তা’লীমুস সিবইয়ান, তা’লীমুল ক্বিরাআত, তাজবীদুল কুরআন সহ বিভিন্ন কিতাব রচনা করেন। এছাড়াও তাঁর সম্পাদিত জামালুল কুরআন, হাদইয়াতুল ওয়াহিদ, ফাওয়াইদে মাক্কিয়্যাহ এবং ইলমে তাসাউফের উপর প্রণীত মুনাজাতে মাক্ববুল (একটি শাজারাহ) নামীয় পুস্তক প্রকাশ হয়। এছাড়াও বিষয় ভিত্তিক প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও দারস বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে আসছে। একসময়ে তরুন সাংবাদিক হিসেবে অত্যন্ত দতার সাথে তিনি মাসিক হেফাজতে ইসলামের ষ্টাফ রিপোর্টারের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ত্রৈমাসিক দা’ওয়াতুল কুরআন-এর সম্পাদনার কাজে নিয়োজিত আছেন।
বৈবাহিক জীবন: ১৯৭৫ সালে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার অন্তর্গত যশমঙ্গল (মুন্সিবাড়ী) নিবাসী মরহুম ওয়াছিল আলী চৌধূরীর ৪র্থ কন্যা শামসুন নাহার চৌঁধূরীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে তিনি ৪ পুত্র ও ৪ কন্যা সন্তানের জনক।
অবস্থান: তাঁর স্থায়ী বাড়ী ভানুগাছ মৌলভীবাজার হলেও, তিনি বর্তমানে তার স্বপ্নের ফসল আঞ্জুমান কমপ্লেক্সে থেকেই যাবতীয় কার্জক্রম আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন জায়গায় সফরের শুরু আঞ্জুমান কমপ্লেক্স থেকেই করেন, আবার সফর শেষে ফিরে আসেন আপন ঠিকানা আঞ্জুমান কমপ্লেক্সে।
মুহাম্মদ রুহুল আমীন নগরী, সিলেট রিপোর্ট::