লিখেছেন: আবিদ রাহমান-
অর্ধ শতাব্দিরও আগে নতুন ও পুরান ঢাকার সংযুগস্হলে বিশাল আয়তনে পবিত্র কাবা ঘর সদৃশ প্রতিষ্ঠিত মসজিদটিই আমাদের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম।
পূর্বপাশে বিশাল সবুজ মাঠ, উত্তর দক্ষিণে প্রশস্ত জায়গা নিয়ে চল্লিশ হাজার মুসল্লি একসাথে নামাজ পড়ার ব্যবস্হা নিয়ে মসজিদটি ১৯৬০ সালে উদ্ভোধন করা হয়। যখন মসজিদটি নির্মান করা হয় তখন এ মুসলিম জনপদে যে পরিমান নাগরিক ছিলো বর্তমানে তার চারগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। দিন দিন এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কমে আসছে মসজিদের আয়তন। জাতীয় মসজিদকে ঘিরে রেখেছে কয়েকটি স্টেডিয়াম। পূর্বপাশ চেঁপে ধরেছে ক্রিড়া পরিষদ ভবন। চতুর্দিকে চাতুরতার সাথে বানিজ্যালয় মসজিদের ভাবগাম্ভির্য পরিবেশকে তিলে তিলে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
চিত্রে প্রদর্শিত দক্ষিণগেটে যে দৃষ্টিনন্দন হাউজটি ছিলো তা আজ ইতিহাসের পাতায় ঘুমিয়ে আছে। এখানে গড়ে উঠেছে মার্কেট। অবশ্য উপরের তলায় নামাজের ব্যবস্হাও করা হয়েছে।
মসজিদের মূল নকশাকে বারবার পরিবর্তন করা হলেও কেউ এ ব্যাপারে কথা বলছেন না। অথচ সংসদ ভবনের উভয় পাশে বিশাল বিশাল মাঠ পড়ে আছে, এখানে মার্কেট তো দূরের কথা স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন করতে গেলে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর প্রতিবাদ হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে।
সরকার কতৃক পরিচালিত মসজিদটিতে সরকারের রাজস্ব থেকে ব্যয় না করে আয়ের উৎস বানানো হয়েছে। জাতীয় মসজিদের ঐতিহ্য রক্ষায় সরকারের প্রতি আমাদের দাবী এখান থেকে সব বাণিজ্যালয় সরিয়ে ইসলামী গ্রন্থাগার, সেমিনার হল,গবেষণা কেন্দ্র ও প্রয়োজনে সুন্নাহ সামগ্রীর কিক্রয় কেন্দ্র করা হোক।
এটাও পড়তে পারেন
এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরাও পাবেন ৫% সুদের গৃহঋণ
কমাশিসা: সরকারি চাকরীজীবিদের মত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদেরও গৃহ নির্মাণে ৫ শতাংশ ...