কমাশিসা ডেস্ক :: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা সকলের ১২৩ ভাগ বেতন বৃদ্ধি করেছি। বাড়ানোর পর অনেকের মধ্যে অসন্তোষ। এত বেতন বাড়ানোর পর কেন এত অসন্তোষ, তা আমার বোধগম্য নয়।’
সিলেকশন গ্রেড বহাল ও বেতন গ্রেডের সমস্যা নিরসনের দাবিতে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে আজ সোমবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ওই জনসভার আয়োজন করে।
নতুন বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড বহাল ও বেতন গ্রেডের সমস্যা নিরসনের দাবিতে আজ সকাল থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এর আগে তাঁরা একই দাবিতে আন্দোলন করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মেট্রোরেল নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা ইচ্ছা করেই একটি স্টেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রেখেছি, যাতে উত্তরা, মিরপুরে থাকা বিভিন্ন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারে। এ মেট্রোরেলের মাধ্যমে বারডেম, বাংলা একাডেমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অল্প সময়ে কর্মস্থলে আসতে পারবে। আবার ফিরে যেতেও পারবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ মেট্রোরেল আধুনিক প্রযুক্তিতে করা হয়। এটা চলে আকাশপথে। যেখানে যেখানে এর সাউন্ড প্রুফ দরকার, তা করা হবে। কিন্তু দেখছি এর বিরুদ্ধে হঠাৎ একেকজন আন্দোলন নেমে গেছে। গ্রাম এলাকায় একটা কথা আছে, যার জন্য করি চুরি, সেই বলে চোর। হঠাৎ এ আন্দোলন কিসের জন্য? আসলে এ দেশে এক শ্রেণির মানুষ আছে, যাই করতে যাবেন তারা সবকিছুতে ‘কিন্তু’ খুঁজে আন্দোলনে নামে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান সংবিধান এবং আর্মি রেগুলেশন লঙ্ঘন করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপ্রধান আবার সেনাপ্রধান ছিলেন। জিয়া যা কিছু করেছেন, তার সবকিছু ছিল অবৈধ। মহামান্য আদালত এ ব্যাপারে রায় দিয়েছেন। ক্ষমতায় গিয়ে জিয়া যে দল গঠন করেছেন, তাকেও অবৈধ হিসেবে গণ্য করা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ নাকি আওয়ামী লীগ সরকারই ঘটিয়েছে। আমরা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার গঠন করেছি। আমরা কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে যাব। তাঁর কাছে আমার প্রশ্ন, বিডিআর বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল সকাল নয়টায়, তিনি কেন ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে সকাল সাতটায় বেরিয়ে গেলেন। তাঁর ছেলে লন্ডন থেকে কেন ৪৫ বার ফোন করে তাঁকে বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে বলেছেন। এতেই বোঝা যায় বিডিআর বিদ্রোহের মাধ্যমে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এ ঘটনার সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। এ ঘটনার বিচার করছি। ষড়যন্ত্রের রহস্য উদঘাটন করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার এত বড় দুঃসাহস তিনি ৩০ লক্ষ শহীদ নিয়ে কটাক্ষ করেন। আসলে ওনার দিল মে হ্যায় পেয়ারে পাকিস্তান। শহীদদের সংখ্যা নিয়ে পাকিস্তান যা বলবে, তাঁর কাছে তা-ই সত্য।’
সূত্র. প্রথম আলো।