(প্রতিষ্ঠান পরিচিতি -০১)
নাম : জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম দারুল হাদীস কানাইঘাট
অবস্থান : বাংলাদেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার অন্তর্গত সুরমা নদীর পশ্চিম পার্শ্বে এক মনোরম পরিবেশে ঐতিহ্যের মূর্তপ্রতীক জামেয়া অবস্থিত।
মাসলাক : আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআত ও সালাফে সালিহীনদের অনুসারী।
প্রতিষ্ঠাকাল : ১৮৯৩ ঈসায়ি।
প্রতিষ্ঠাতা : শায়খুল ইসলাম আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী রাহ.।
মুহতামিম : আল্লামা মোহাম্মদ বিন ইদ্রীস সাহেব শায়খে লক্ষীপুরী দা.বা.।
শায়খুল হাদিস ও শিক্ষাসচিব : আল্লামা আলিমুদ্দীন সাহেব শায়খে দুর্লভপুরী দা.বা.।
ছাত্র সংসদ সভাপতি : আল্লামা শামসুদ্দীন দুর্লভপুরী দা.বা.।
মুহতামিমের দফতর : ১টি।
শিক্ষাসচিবের কার্যালয় : ১টি।
কুতুবখানা : ২টি।
শিক্ষকমণ্ডলী : ৩০ জন।
ছাত্রসংখ্যা : প্রায় ১২০০ জন।
ছাত্রাবাস : ১টি।
জামে মসজিদ : ১টি।
শিক্ষক মিলনায়তন : ১টি।
ছাত্র সংসদ কার্যালয় : ১টি।
পূর্ব সিলেট বেসরকারী বোর্ডের প্রধান দফতর : ১টি
ক্বিরাআত প্রশিক্ষণ কার্যালয়: ১টি।
দ্বিতল বিশিষ্ট পুরাতন ভবন : ১টি।
নির্মাণাধীন ও পরিকল্পনাধীন ত্রিতল বিশিষ্ট ভবন : ১টি
প্রবেশ গেইট : ২টি।
কম্পিউটার প্রশিক্ষণকেন্দ্র : ১টি।
ফান্ড : ৪টি (জেনারেল ফান্ড, মসজিদ ফান্ড, বিল্ডিং ফান্ড, গরিব ফান্ড)।
বার্ষিক ব্যয় : প্রায় ২৭ লক্ষ (নির্মাণ কাজ ছাড়া)
সার্বিক যোগাযোগ : ০১৭১৫ ৩৮৯২৩০, ০১৭৪০ ৯০১০২১, ০১৭১৫ ০২০৬৯৮।
জামেয়া
দারুল উলূম দেওবন্দের সূর্য সন্তান, বাংলাদেশের গর্ব আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী রাহ.-এর পূণ্য স্মৃতিবিজড়িত আসলাফ ও আকাবির তথা উলামায়ে দেওবন্দের চিন্তাধারা ও নযরিয়ার প্রকৃত বাস্তবায়নকে উদ্দেশ্য বানিয়ে ইসলাম ও মুসলমানদের চিরশত্রু ইয়াহুদ ও খৃষ্টানদের লালিত মদদপুষ্ট এনজিও শয়তানদের ইসলাম বিরোধী অপতৎপরতার সঠিক মোকাবেলার লক্ষ্যে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সিপাহসালার বিশ্ববিখ্যাত ইসলামি বিদ্যাপীঠ দারুল উলূম দেওবন্দের কৃতিপুরুষ শায়খুল হিন্দ আল্লামা মাহমুদ হাসান দেওবন্দী রাহ. এবং শায়খুল ইসলাম হুসাইন আহমদ মাদানী রাহ. বুযুর্গদ্বয়ের কর্মময় জীবনের অনুকরণে দারুল উলূম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার পর ১৮৯৩ সনে প্রতিষ্ঠিত হয় কানাইঘাট ইসলামিয়া মাদরাসা। যা পরবর্তীতে দারুল উলূম নামে অভিহিত হয়। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত জামাতে শরহে জামী পর্যন্ত শিক্ষা-দীক্ষা চলতে থাকে। ১৯৫৪ সনে আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী রাহ.-এর প্রচেষ্টায় দাওরায়ে হাদিস এর সূচনা হয়। বৃটিশ আমলে নাম ছিল কানাইঘাট ইসলামিয়া মাদরাসা অতঃপর কানাইঘাট মনছুরিয়া এবং অবশেষে দারুল উলূম কানাইঘাট।
১) আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন এবং সুন্নাতে নববীর পদাঙ্ক অনুসরণ।
২) সাহাবায়ে কিরাম ও আইম্মায়ে দ্বীনের গবেষণা প্রসূত জ্ঞানের আলোকে কুরআন-সুন্নাহর পরিপূর্ণ শিক্ষা প্রদান।
৩) ফরযন্দানে ইসলামকে জীবনের সূচনালগ্নেই ইসলামি শিক্ষার ধাঁচে গড়ে তোলা।
৪) ইলমে দ্বীন হাসিলের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জীবনে নেক আমল ও সুন্দর আখলাক ফুটিয়ে তোলা।
৫) যুগ জিজ্ঞাসার আলোকে ইসলামের আদর্শ ও শিক্ষা-ব্যবস্থার প্রশিক্ষণ দান।
৬) শিক্ষার্থীদেরকে দেশ, জাতি ও ধর্মের জন্য আত্মনিবেদিতপ্রাণ সুযোগ্য আলেম, বিজ্ঞ মুহাদ্দিস, প্রাজ্ঞ মুফাসসির, যোগ্য মুফতি, হাফিয, বক্তা, বিদগ্ধ কলমসৈনিক, মুবাল্লিগ ও বীর মুজাহিদ রূপে গড়ে তোলা।
৭) আল্লাহ ভুলা জনতাকে আল্লাহর সঙ্গে সুসম্পর্ক কায়েমে মেহনত অব্যাহত রাখা।
জামেয়ার অবস্থান
বাংলাদেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার অন্তর্গত সুরমা নদীর পশ্চিম পার্শ্বে এক মনোরম পরিবেশে ঐতিহ্যের মূর্তপ্রতীক জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম দারুল হাদীস কানাইঘাট অবস্থিত। জামেয়ার আঙিনায় রয়েছে বিশ্ববরেণ্য শায়খুল হাদিস, জামেয়ার প্রথম মুহতামিম শায়খুল ইসলাম আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী রাহ.-এর সমাধি। যার কারণে মাদরাসার অবস্থানকে করেছে আরও দৃষ্টিনন্দন।
শিক্ষা প্রকল্প
জামেয়ার শিক্ষা প্রকল্প মোট ৬টি বিভাগে বিভক্ত :
(২) হাদিস বিভাগ (২) আলিয়া বিভাগ (৩) সাফেলা বিভাগ (৪) ইবতেদাইয়া বিভাগ (৫) তাহফীযুল কুরআন বিভাগ (৬) তাখাসসুস ফী উলুমিল হাদিস বিভাগ।
বর্তমান মুহতামিম
বর্তমানে জামেয়া দারুল উলূমের মুহতামিম, উন্নয়ন, আর প্রগতির স্থপতি, যার পরশে বেগবান হয়েছে জামেয়ার অগ্রগতি, তিনি হচ্ছেন আল্লামা লক্ষীপুরী দা.বা.। আল্লামা ফয়যুল বারী মহেশপুরী রাহ. এহতেমামের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়ার পর এহতেমামের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে আঞ্জাম দেয়ার জন্য দেশবাসী, মুরব্বিয়ানে কেরাম সর্বসম্মতিক্রমে আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী রাহ.-এর অত্যন্ত আদরের জামাতা আল্লামা মুহাম্মদ বিন ইদ্রীস লক্ষীপুরী দা.বা.কে ২০০৭ সালে জামেয়ার মুহতামিম হিসেবে নিযুক্ত করেন। তাঁর কাছে এ মহান দায়িত্ব চলে আসলেও হুজুর নিজেকে মুহতামিম হিসেবে পরিচয় না দিয়ে মাদরাসার খাদিম হিসেবে পরিচয় দেন। মাদরাসার গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজে কিংবা জরুরী বিষয়ের সম্মুখীন হলে তিনি মাদরাসার সকল আসাতিযায়ে কেরামের শরণাপন্ন হয়ে সবার মতামতের ভিত্তিতেই ফায়সালা করেন।
যাই হোক ২০০৭ ঈসায়িতে হতে অদ্যাবধি পর্যন্ত এ গুরুদায়িত্ব তিনি যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছেন। তাঁকে সার্বিক কাজে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন মাদরাসার শায়খুল হাদিস ও শিক্ষাসচিব আল্লামা আলিমুদ্দীন শায়খে দুর্লভপুরী দা.বা.। হযরতদ্বয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং দ্বীন-দরদী এলাকাবাসীর নিরলস সহযোগিতায় দারুল উলূম কানাইঘাট মাদরাসা আজ উন্নতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
আল্লাহ তাঁদের দীর্ঘায়ূ দান করুন। আমীন।
সংগ্রহে- ইলিয়াস মশহুদ