নামাজ পড়তে হলে চাকরী ছাড়তে হবে। এই নির্দেশনা সাম্প্রদায়িকতা নয় মুঠেই। এটা গণতন্ত্রের সামান্য চর্চামাত্র। গণতন্ত্রের আদর্শখ্যাত রাষ্ট্র হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ “ডেমোক্রেটিক গভর্ণমেন্ট অব-দ্যা পিপল ফর দ্যা পিপল এন্ড বায় দ্যা পিপল” বলে যে সংজ্ঞাটা পলিটিক্যাল সাইন্সে যুক্ত হয়েছিল সেটা আব্রাহাম লিঙ্কন রেখে গেছেন তার দেশের মানুষের জন্য। এবং সেটা চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। সেখানে গণতন্ত্র চর্চার সাথে সাথে চলছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চর্চাও। পৃথিবীর কোনো জাতিই আমেরিকানদের কাছে সম্প্রীতি আশা করে ফেরেনি খালি হাতে। এমনকি আফগানিস্তান-ইরাক-ফিলিস্তিন-সিরিয়া-লেবাননও তাদের সম্প্রীতি-সৌহার্দ থেকে বঞ্চিত হয়নি। সন্ত্রাসদম আইন পৃথিবীটাকে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করে রেখেছে। তাদের হাত অনেক লম্বা। তারা বাস্তবতার পাশাপাশি স্বপ্নেও মানুষকে সম্প্রীতির হাত বাড়িয়ে দেয়।
এইবার তাদের দেশে বড্ড বড় এক সম্প্রীতির নিদর্শন তৈরী হয়েছে। একদল মুসলিম শ্রমিককে তারা নামাজ পড়তে বারণ করেছে। প্রযোজনে চাকরী ছাড়তে পারেন তবুও নামাজ পড়তে পারবেন না। কলোরাডোর ফোর্ট মরগানে অবস্থিত কারগিল মিট সলিউশন নামের মাংস প্রক্রিয়াজাত ও বিপনন প্রতিষ্ঠানে এই সম্প্রীতির ঘটনা ঘটে।
লেখক : কবি, কলামিস্ট