ভাষান্তর : মুসা আল হাফিজ
ধরার ভূমি কেবল চুমি যান রাজা
যাতে অজর সব মনোহর জন্মে দিনে রাত্রে
দয়াল তিনি দিলেন যিনি নন্দন
তারই প্রিয় সেই অমীয় আলোয় গড়া পাত্রে
ঢেলে দেয়ার, জ্বেলে দেয়ার কর্মটি
করেন তিনি এ ধরণীর মুগ্ধ ধুলির গাত্রে
কোমল হৃদয়, মায়ার নিলয় বন্ধু
নয় সে মরা মাটির গড়া ওষ্ঠ যে যায় সাত্রে
খুশির জলে প্রতি পলে উচ্ছল
লাখো চুমুর বাজায় নুপূর, সে ক্ষণিকে -মাত্রে
সে ওষ্ঠে ফের শীত নামে ঢের যদি
খিন্ন আমার বিষন্নতার ধরা হবে মাত রে!
(মহাসত্যের বাঁশি থেকে) কবিতাটি কয়েকবার না পড়লে গভীরে যাওয়া কঠিন। আনন্দের দর্শন একে দিয়েছে অনন্যতা। প্রাপ্তি – অপ্রাপ্তি, সবকিছুতেই উপচেপড়া আনন্দ, যার ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত পৃথিবীর রাজারা!
একটি কবিতা কতো গভীরভাবে মেটাফিজিক্স স্বভাবে উচ্চকিত, আবার কতো গভীরভাবে কবিতা, তা আমরা বুঝতে পারি রুমীর কবিতায়। হয়তো একারণেই ফরাসী লেখক মরিস ব্যারেস বলেন ” যখন রুমীর কবিতার আনন্দানুভূতির সাথে গভীর লালিত্যের সন্ধান পাই, বুঝতে পারি শেক্সপীয়র গ্যেটে এবং হোগোর মধ্যে কী নেই! “
লেখক : কবি ও গবেষক