শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ২:২৮
Home / অনুসন্ধান / রাজন হত্যা মামলার রায় ৮ নভেম্বর

রাজন হত্যা মামলার রায় ৮ নভেম্বর

রাজন হত্যাসিলেটের শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার রায় হবে আগামী ৮ নভেম্বর। আজ মঙ্গলবার দুপুরে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আকবর হোসেন মৃধা রায়ের তারিখ দিয়েছেন।

রাজনের আইনজীবী এমাদউল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম ও আরও দুজন পলাতক আসামির পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। তাঁদের প্রশ্নের জবাব দেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ছিলেন মফুর আলী।

গত ৮ জুলাই চুরির মিথ্যা অপবাদে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শেখপাড়ায় নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয় সবজিবিক্রেতা শিশু সামিউল রাজনকে। তার বাড়ি সিলেটের জালালাবাদ থানা এলাকার বাদেয়ালি গ্রামে। লাশ গুম করার চেষ্টার সময় ধরা পড়ে একজন। রাজনকে নির্যাতন করার ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে আসামিদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করার অভিযোগ ওঠে।। জালালাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম, এসআই জাকির হোসেন ও জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেনকে ২৫ জুলাই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

ঘটনার প্রায় এক মাস আট দিনের মাথায় ১৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার ১৩ জনের বিরুদ্ধে মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ৭ সেপ্টেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য মুখ্য হাকিম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছিল।

মামলার আসামিরা হলেন, কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড পার্শ্ববর্তী শেখপাড়ার বাসিন্দা কামরুল ইসলাম, তাঁর তিন ভাই-মুহিত আলম, আলী হায়দার ও শামীম আলম, কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডের চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আয়াজ আলী, রুহুল আমীন, দুলাল আহমদ, তাজউদ্দিন আহমদ ওরফে বাদল, নির্যাতন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ফিরোজ মিয়া, আজমতউল্লাহ, জাকির হোসেন ওরফে পাবেল ওরফে রাজু ও ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ।

মামলার অভিযোগপত্রে কামরুলসহ দুজনকে পলাতক দেখানো হয়। গত ১৫ অক্টোবর কামরুলকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে পরদিন আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়। ১৮ অক্টোবর কামরুলের পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে তাঁর উপস্থিতিতে সব আসামির সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন জানান। এর পর গত রোববার থেকে ১১ সাক্ষীর যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছিল।

সূত্র : প্রথম আলো

About Abul Kalam Azad

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...